ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে ৪০ কিমি যানজট

মীরসরাই প্রতিনিধি | শনিবার , ৫ মার্চ, ২০২২ at ৭:৪৮ পূর্বাহ্ণ

ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লা ক্যান্টনমেন্ট থেকে চান্দিনা এবং গৌরীপুর থেকে সৈয়দপুর পর্যন্ত গতকাল শুক্রবার অন্তত ৪০ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে যানজটের সৃষ্টি হয়। এতে করে ভোগান্তিতে পড়েন যাত্রীরা। শুক্রবার সকালে ইলিয়টগঞ্জ এলাকায় একটি লরি দুর্ঘটনার কারণে সড়কে এ যানজট তৈরি হয়।
এদিকে, সড়ক সংস্কারের কারণে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের চট্টগ্রাম থেকে মীরসরাই অংশে যানজট লেগে ছিল। সকাল থেকে রাত অবধি দীর্ঘ যানবাহনের সারি স্থবির হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। ফলে এই পথে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন স্থানে যাতায়াতকারী যাত্রী সাধারণ, যাত্রীবাহী বাস ও পণ্যবাহী গাড়ীগুলোর দীর্ঘ সারি সড়কে ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এতে করে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে যাত্রী সাধারণ।
গতকাল ময়নামতি হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বেলাল উদ্দিন জাহাঙ্গীর জানান, লরি দুর্ঘটনায় সড়কে যানবাহন ধীরে চলছে। যার কারণে যানজট বেড়ে কুমিল্লার চান্দিনা থেকে দাউদকান্দি টোল প্লাজা পর্যন্ত বিস্তৃত হয়েছে।
সরেজমিনে দেখা যায়, চট্টগ্রামের মীরসরাইয়ের মিঠাছরা ও ঠাকুরদিঘী এলাকায় সড়কের সংস্কার কাজ চলছে। এসময় একটি ইউটার্ন অংশে কাজ চললেও সড়ক সংষ্কারের কাজে নিয়োজিত ঠিকাদারের লোকজন দুইটা আবার কখনো তিনটা ইউটার্ন বন্ধ করে রেখেছে। ফলে যানজট দীর্ঘ থেকে দীর্ঘতর হচ্ছে। এই যানজট কখনো ঢাকামুখি লাইনে আবার কখনো চট্টগ্রামমুখী লাইনে হচ্ছে। এ সময় বড়তাকিয়া এলাকায় ঢাকামুখি ট্রাক চালক আমির হোসেন বলেন, সকালে চট্টগ্রাম থেকে ট্রাক ছেড়েছি। এই পর্যন্ত সবপথ ভালোভাবে এসেছি। এখানে এসে আটকা পড়েছি প্রায় কয়েক ঘন্টা। কবে এখান থেকে বের হতে পারবো তা জানিনা। চট্টগ্রামমুখী যাত্রীবাহী বাসের যাত্রী আনোয়ার হোসেন বলেন, সকালে কুমিল্লা থেকে রওয়ানা হয়েছি। ধুমঘাট এলাকায় যানজটে আটকা পড়েছি। কয়েক ঘন্টা পর এখন বড়তাকিয়ায় এসেছি। বাকী পথ কখন যাব তাও জানিনা। এ বিষয়ে জোরারগঞ্জ হাইওয়ে পুলিশের অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এ. কে. এম. শরফুদ্দিন বলেন, সড়ক সংস্কারের কাজে প্রায় প্রতিনিয়ত এখানে যানজট সৃষ্টি হচ্ছে। আমি আমার ফোর্স নিয়ে এই যানজট নিরসনে কাজ করে যাচ্ছি। ঠিকাদারের বলন্টিয়ার রয়েছে কম। ইউটার্নগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্য আমার পুলিশ ডিউটি করছে। এমনিতে আমাদের পুলিশ কম। তাও সেখানে পুলিশ দিতে হচ্ছে। তারা আধা কিলোমিটার কাজ করলে প্রায় ৫-৭ কিলোমটিার রাস্তা বন্ধ করে রাখে। ফলে যানজট দীর্ঘ হচ্ছে। এ বিষয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের (সওজ) চট্টগ্রামের নির্বাহী প্রকৌশলী পিন্টু চাকমা বলেন, চট্টগ্রাম অংশে ৬৬ কিলোমিটার সংস্কার কাজ করতে হবে। দৈনিক হাফ কিলোমিটার কাজ করতে পারছি। এই কাজ কবে নাগাদ সম্পন্ন হবে তা নিধিষ্ট করে বলা যাচ্ছে না। তবে আগামী অর্থ বছরে এই কাজ সম্পন্ন করতে পারবো। তিনি আরো বলেন, সামনে বর্ষা মৌসুম আসছে। এখন যদি এই সংস্কার কাজগুলো করতে না পারি, তাহলে বর্ষায়তো এই সড়কে গর্ত সৃস্টি হলে তখন ভোগান্তি আরো বেশি হবে। সড়কের সংস্কার কাজ করতে গেলে একটুতো কষ্ট হবেই। তবে সাময়িক এই কষ্টকে মেনে নিয়ে সড়কের সংস্কার কাজে সহযোগিতা করার জন্য সবার প্রতি তিনি অনুরোধ জানান।

পূর্ববর্তী নিবন্ধইউক্রেনে পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে হামলা
পরবর্তী নিবন্ধছেলেসহ নাবিকদের ফিরিয়ে আনতে মায়ের আকুতি