ঢাকা–চট্টগ্রাম মহাসড়কে থেমে নেই সিএনজিচালিত টেক্সির চলাচল। কখনও প্রকাশ্যে আবার কখনও কৌশলে চলছে এসব যান। মহাসড়কে চলাচল নিষিদ্ধ হলেও অবরোধে মহাসড়কে অটোরিকশার রাজত্ব ছিল চোখে পড়ার মতো।
আবার অবরোধ হরতাল ছাড়াও মহাসড়কে রহস্যজনকভাবে বেড়েছে সিএনজি অটোরিকশার দৌরাত্ম। সেই সাথে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে দুর্ঘটনাও। সরেজমিনে দেখা গেছে, মহাসড়কের বারইয়াহাট থেকে সিটিগেট পর্যন্ত যেমন অবাদে চলছে সিএনজি অটোরিকশা। সীতাকুণ্ডের ফৌজদারহাট এলাকায় গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় ও কাভার্ডভ্যান এবং সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষে দুজন নিহত ও একজন আহত হয়েছে।
সীতাকুণ্ড উপজেলার সলিমপুর ইউনিয়নের বায়েজিদ লিংক রোডের বেঙ্গল ব্রিক ফিল্ডের সামনে এই দুর্ঘটনা ঘটে। কিছুদিন পূর্বে মীরসরাইয়ের ঠাকুরদীঘি এলাকায় ও ট্রাক চাপায় কয়েকজন স্থানীয় সিএনজি চালকের মর্মান্তিক মৃত্যু ঘটে। বারইয়ারহাট থেকে সীতাকুণ্ড যাওয়া ব্যবসায়ী বিপুল বণিক বলেন, অনেক সময় স্ট্যান্ডে দাঁড়ালে সিএনজি চালকরা দাঁড়িয়ে ডেকে নিচ্ছে। তাই উঠে যায়। ফাহমিদা আক্তার নামে এক নারী বলেন, ১০ টাকার ভাড়া এখন ৩০ টাকা নিচ্ছে, তবে বসে যেতে পারছি তাই সিএনজিতে উঠে যাচ্ছি। সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ করে মীরসরাই উপজেলার বিএসআরএম গেইট, মস্তাননগর বাইপাস, ঠাকুরদীঘি, মিঠাছরা, বড়তাকিয়া এলাকায় প্রায়সই মহাসড়কে সিএনজিকে যাত্রী নিয়েই চলাচল করতে দেখা যাচ্ছে। পাম্পে যাওয়ার নামে নয়তো মিথ্যা বাহানার বিষয়ে কাউকে তদারকি করতেও দেখা যায় না। ট্রাফিক পুলিশ ও হাইওয়ে পুলিশের নাকের ডগা দিয়েই ওরা দিব্যি চলছে রহস্যজনক সাহসি উদ্যমে। এ বিষয়ে মীরসরাই থানার ওসি কবির হোসেন বলেন, মহাসড়কেরএই বিষয়টি দেখার দায়িত্ব হাইওয়ে পুলিশের। জোরারগঞ্জ হাইওয়ে থানার ইনচার্জ সোহেল সরকার বলেন, অবরোধের কারণে মহাসড়কে কিছু অটোরিকশা চলতে পারে। তবে খুব বেশি না। কারণ বাস যেহেতু নেই, মানুষ তো আসা–যাওয়া করতে হবে। হরতাল অবরোধ না থাকলে আমরা এই বিষয়ে কঠোর নজরদারী করে থাকি। এই বিষয়ে কুমিরা হাইওয়ে ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, মহাসড়কে সিএনজির বিষয়ে আমরা প্রায়ই অভিযান এবং ধরপাকড় করে থাকি। আগামীতে আরো জোরদার করা হবে।