ঢাকাকে হারিয়ে ঘুরে দাঁড়াল চট্টগ্রাম

ক্রীড়া প্রতিবেদক | রবিবার , ১৫ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৫:৫৬ পূর্বাহ্ণ

এবারের বিপিএলের প্রথম ম্যাচে হার দিয়ে শুরু করলেও দ্বিতীয় ম্যাচে জিতে ঢাকা পর্ব শেষ করেছিল চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। ঢাকার সে সুখ স্মৃতি নিয়ে চট্টগ্রামে এলেও নিজেদের মাঠে শুরুটাও হয় হার দিয়ে। তবে দ্বিতীয় ম্যাচে আবার জয়ে ফিরল চট্টগ্রামের দলটি। তরুণ আফিফের দুর্দান্ত ব্যাটিংয়ে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স দ্বিতীয় জয় পেল এবারের বিপিএলে। আর নিজেদের মাঠে তুলে নিল প্রথম জয়। গতকাল ঢাকা ডমিনেটরসকে ৮ উইকেটে হারিয়েছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। এবারের বিপিএলে প্রথম হাফ সেঞ্চুরি তুলে নিয়ে দলকে জেতালেন আফিফ। আর তাকে দারুন সঙ্গ দিয়ে দলকে জিতিয়েছেন আফগান তরুণ ডরউইচ রসুলি। নিজেদের মাঠে আরো দুটি ম্যাচ খেলবে চ্যালেঞ্জার্সরা। তাই সুযোগ রয়েছে নিজেদের পয়েন্ট আরো বাড়িয়ে নেওয়ার।

টসে জিতে ব্যাট করতে নামা ঢাকার শুরুটা ছিল মন্থর গতির। দুই ওপেনার ওসমান গনি এবং মিজানুর রহমান ৬০ রান যোগ করলেও খরচ করে ৯.২ ওভার। ৩৩ বলে ২৮ রান করা মিজানুর রহমানকে ফিরিয়ে এজুটি ভাঙ্গেন নিহাদুজ্জামান। ওসমান গনি এরপর চড়াও হয়ে খেলার চেষ্টা করলেও সফল হননি। নিহাদুজ্জামানের দ্বিতীয় শিকার হয়ে ফিরেন এই পাকিস্তানী ৩৩ বলে ৪৭ রান করে। তিনি ২টি চার এবং ৪টি ছক্কা মারেন। দুই ওপেনারের গড়ে দেওয়া ভিত্তির উপর দাড়িয়ে দলকে এগিয়ে নিতে পারলেন না সৌম্য সরকার এবং মোহাম্মদ মিথুন। দুজন ফিরেছেন যথাক্রমে ৪ এবং ৯ রান করে।

পাওয়ার প্লের ৬ ওভারে ৩৬ রান এবং প্রথম ১০ ওভারে ১ উইকেটে ৬২ রান করে ঢাকা। পরের ৫ ওভারে অবশ্য ৪৭ রান যোগ করে ঢাকা। কিন্তু এই ৫ ওভারে উইকেট হারায় ৩টি। শেষ ৫ ওভারে দলকে টানার চেষ্টা করছিলেন অধিনায়ক নাসির হোসেন। কিন্তু তাকে বেশিদুর এগুতে দেননি চট্টগ্রামের বোলার মেহেদী হাসান রানা। ২২ বলে ৩০ রান করে ফিরেন নাসির। শেষ দিকে আরিফুল হকের ১৮ বলে ২৯ রানের ক্যামিওর উপর ভর করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১৫৮ রান করে ঢাকা ডমিনেটরস। চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের পক্ষে ২টি করে উইকেট নিয়েছেন মেহেদী হাসান রানা এবং নিহাদুজ্জামান।

১৫৯ রানের লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে দ্বিতীয় বলেই আল আমিনকে হারায় চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। তবে দ্বিতীয় উইকেটে ওসমান খান এবং আফিফ মিলে সে ধাক্কা সামাল দেওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। ৫৫ রান যোগ করেছিলেন দুজন। নিজের প্রথম ওভারেই ২১ বলে ২২ রান করা ওসমানকে ফিরিয়ে এ জুটি ভাঙেন আরাফাত সানি। এরপর আফিফের সাথে জুটি বাধেন ডরউইচ রসুলি। আফিফ আক্রমণাত্নক থাকলেও রসুলি ছিলেন ধীর গতির।

তবে ইনিংসের ১৭ তম ওভারে গিয়ে ম্যাচের চেহারা পাল্টে দেন রসুলি। আল আমিনের সে সে ওভারে ৩টি ছয় আর একটি চারের সাহায্যে নেন ২৪ রান। পরের ওভারে তাসকিনের কাছ থেকে ১৫ রান নিয়ে ম্যাচ শেষ করে আসেন রসুলি এবং আফিফ। আফিফ ৫২ বলে ৬৯ আর রসুলি ৩৩ বলে ৫৬ রান করে অপরাজিত থাকেন। দুজন মিলে তৃতীয় উইকেটে অবিচ্ছিন্ন ১০৩ রান যোগ করে দলের জয় নিয়ে তবেই ফিরেন।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপটিয়ায় হাসপাতালে দুই নেতাকে কুপিয়ে জখম করার ঘটনায় মামলা, গ্রেপ্তার ১
পরবর্তী নিবন্ধআজ নতুন মুদ্রানীতি ঘোষণা করবে বাংলাদেশ ব্যাংক