আমাদের ছাত্রলীগের রাজনীতি বনাম বর্তমান ইমেজ
১৯৬৫ সালে চট্টগ্রাম কলেজে এইচএসসি প্রথম বর্ষে পড়ার সময় আমার ছাত্র রাজনীতিতে আসা। চট্টগ্রাম কলেজে তখন ছাত্রলীগ কিংবা ছাত্র ইউনিয়ন সরকারী নিষেধাজ্ঞার কারণে স্বনামে রাজনীতি করতে পারত না। ছাত্রলীগের চট্টগ্রাম কলেজের স্থানিক নাম ছিল ‘যাত্রিক’, আর ছাত্র ইউনিয়নের নাম ছিল ইউএসপিপি। চট্টগ্রাম কলেজিয়েট স্কুলের ফার্স্টবয় হিসেবে আমি পরিচিত মহলে ব্যাপক স্নেহ ও ভালবাসার পাত্র ছিলাম। ১৯৬৫ সালে এসএসসি পরীক্ষায় সবার আশা ছিল কুমিল্লা বোর্ডে আমি ফার্স্ট হবো, কিন্তু হয়ে গেলাম ফোর্থ। ঐ ব্যর্থতায় অঝোরে কাঁদলাম আমি, আমার সাথে কান্নায় যোগ দিয়েছিলেন বেশ কয়েকজন শিক্ষকও। চট্টগ্রাম কলেজে ভর্তি হয়ে হোস্টেলে থাকার সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছিল রেসিডেন্সিয়াল স্কলারশীপ পাওয়ার কারণে। বাবা তখন চট্টগ্রাম কলেজের লাইব্রেরিয়ান। আমাদের বাসা যদিও কলেজ-ক্যাম্পাসে, তথাপি পরিবারের আর্থিক সংগতি হবে ভেবে ঐ সিদ্ধান্তটা নিয়েছিলেন বাবা। আমার দু’বছরের সিনিয়র বড়দা (ইঞ্জিনিয়ার মুঈনুল আহসান) মুসলিম হাই স্কুলের প্রাক্তন মেধাবী ছাত্র আ,ফ,ম, মাহবুবুল হকের সাথে পরিচয় করিয়ে দিলেন প্রথম দিনেই। ১৯৬৪ সালের এসএসসি পরীক্ষায় মুসলিম হাই স্কুলের ফার্স্টবয় হিসেবে তিনিও ফোর্থ স্ট্যান্ড করেছিলেন। বড়দা চট্টগ্রাম কলেজের ছাত্র হিসেবে যাত্রিক করতেন, আপাও যাত্রিক করতেন। অতএব, তাঁদের দেখানো পথে আমিও ভিড়ে গেলাম যাত্রিকের সাথে। মাস তিনেক পর কলেজের নির্বাচনে ক্লাস প্রতিনিধির মনোনয়ন নিতে হলো যাত্রিক থেকে। কিন্তু, প্রার্থী হওয়ার ফরমে ক্যাপিটাল লেটারে নাম স্বাক্ষর করায় আমার প্রার্থিতা বাতিল হয়ে গেল। ১৯৬৬ সালে বঙ্গবন্ধু পাকিস্তানী ঔপনিবেশিক শোষণ-লুন্ঠন থেকে বাঙালির মুক্তির সনদ ছয়দফা ঘোষণার পর যাত্রিকে আমার সক্রিয়তা বেড়ে গিয়েছিল।
১৯৬৭ সালের এইচএসসি পরীক্ষায় কুমিল্লা বোর্ডে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগে ভর্তি হয়ে জিন্নাহ হলেই সীট নিলাম। স্থাপত্য-সৌকর্যের দিক্ থেকে ওটাই বিশ্ববিদ্যালয়ের সবচেয়ে আকর্ষণীয় হল ছিল ঐ সময়। তখন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে চলছে আইউব-মোনায়েমের মাস্তান বাহিনী এনএসএফ এর ত্রাসের রাজত্ব। এনএসএফ এর বেশ কয়েকজন মাসলম্যান জিন্নাহ হলে থাকত। মেধাবী ছাত্র হিসেবে পরিচিতির কারণে ১৯৬৮ সালে অনুষ্ঠিত হলের নির্বাচনে এনএসএফ এর সভাপতি সাইফুল্লাহর কক্ষে আমাকে ধরে নিয়ে সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে নির্বাচনের প্রার্থিতা ফরমে স্বাক্ষর নিল এনএসএফ। ওখান থেকে ছাড়া পেয়েই আমি হলের একজন হাউস টিউটরকে সঙ্গে নিয়ে প্রভোস্টের বাসায় গিয়ে মনোনয়ন প্রত্যাহার করলাম, অতএব তখন থেকেই তাদের কোপদৃষ্টিতে পড়ে গেলাম। ছাত্রলীগের বিশ্বস্ত কর্মী হিসেবে আমাকে হলের সবাই চিনতে শুরু করেছিল ঐ ঘটনার পর থেকে। ১৯৬৮ সালের জুলাইয়ে হলের মেসে এনএসএফ এর কয়েকজন মাস্তানের ডাবল কাপ খাওয়ার বিরুদ্ধে আন্দোলন গড়ে তোলায় আমাকে এক রাতে ধরে নিয়ে যাওয়া হলো এক মাস্তানের রুমে, মারধর করার জন্যে। খবর পেয়ে হলের ছাত্রলীগের নেতারা ঘটনার কিছুটা দূরে অবস্থান নিল। মাস্তানরা যখন ছাত্রলীগের ভাইদেরকে দেখতে পেল তখন আমাকে শারীরিক নির্যাতন করলো না, অকথ্য গালাগাল করে ছেড়ে দিল। এর মাসখানেকের মধ্যেই এনএসএফ এর সবচেয়ে বড় মাস্তান ‘পাসপাত্তু’ খুন হয়ে গেল, বিশ্ববিদ্যালয় অনির্দিষ্টকালের জন্যে বন্ধ হয়ে গেল। ২০২২ সালে ছাত্রলীগের মাস্তানির কাহিনী সেজন্যই আমাকে ভয়ানক পীড়িত করে। কারণ, এখন নব্য-এনএসএফ এর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়ে গেছে ছাত্রলীগ।
১৯৬৯ সালের জানুয়ারীতে যখন বিশ্ববিদ্যালয় খুলল তখন গণঅভ্যুত্থানের সংগ্রাম শুরু হয়ে গেছে, শেষ হয়ে গেছে এনএসএফ এর রাজত্ব। আমরা তখন ছাত্রলীগের রাজপথের আন্দোলন-সংগ্রামের সৈনিক। একটা নতুন অভিজ্ঞতা হলো, আমাদের নেতা মাহবুব ভাইরা আমাদেরকে মিছিলগুলোতে ছয় দফার পাশাপাশি বাংলাদেশের স্বাধীনতার একদফার স্লোগান দিতে উদ্বুদ্ধ করতেন নিয়মিতভাবে। যদিও সিরাজুল আলম খান আমাদের প্রধান নেতা ছিলেন, কিন্তু আমাদের মত মাঠ পর্যায়ের কর্মীদের কোন যোগাযোগই ছিল না তাঁর সাথে। শুধু মিছিলে এবং সভাগুলোতে তাঁর দেখা মিলত। মিছিলগুলোতে মাঝে মাঝে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে হাতাহাতি হত স্লোগান নিয়ে। ১৯৬৯ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি বঙ্গবন্ধু আগরতলা মামলা থেকে অব্যাহতি পাওয়ার পর ২৩ ফেব্রুয়ারি তদানীন্তন রেস কোর্স ময়দানের ঐতিহাসিক সভায় তাঁকে ‘বঙ্গবন্ধু’ উপাধি দেওয়ার প্রস্তাবে দু’হাত তুলে আমিও সমর্থন দিয়েছিলাম। ১৯৬৯ সালের মাঝামাঝি সময়ে একদিন মাহবুব ভাই আমাকে এবং আমার ঘনিষ্ঠ বন্ধু সুজনকে (প্রয়াত পদার্থবিজ্ঞানী ডঃ রিজওয়ানুল করিম) ডাকসু অফিসে ডেকে নিয়ে গেলেন এক গোপন সভায়। ওখানে ছাত্রলীগের আরো অনেককে দেখলাম। আমাদেরকে বলা হলো, ঐ সভা সম্পর্কে কারো কাছে কিছু বলা যাবে না। ওখানে দীর্ঘ স্টাডি সেশন পরিচালনা করলেন ছাত্রলীগের কাজী আরেফ এবং মার্শাল মনি। এরকম মোট চারটি সভায় অংশগ্রহণ করেছিলাম আমরা ১৯৬৯-৭১ সময়ে। ঐ সভাগুলো পরিচালনা করত ‘স্বাধীনতা নিউক্লিয়াস’। আর আমাদেরকে নিউক্লিয়াসের সদস্য করা হয়েছিল বাংলাদেশকে সশস্ত্র যুদ্ধের মাধ্যমে স্বাধীন করার সৈনিক হিসেবে। ১৯৭১ সালের ১ মার্চ স্বাধীনতার সংগ্রাম শুরু হওয়ার সাথে সাথে সলিমুল্লাহ হলের সীমানা প্রাচীরের একটি লোহার রড খুলে মিছিলে শরীক হয়ে মতিঝিলের পূর্বাণী হোটেলে চলে গেলাম বঙ্গবন্ধুর নির্দেশ শোনার জন্যে। পরদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বাংলাদেশের পতাকা উড়ালেন আ.স.ম. রবের নেতৃত্বে ছাত্রলীগের চার নেতা, পতাকাটি গোপনে তৈরি করা হয়েছিল স্বাধীনতা নিউক্লিয়াসের উদ্যোগেই। আমরা ইতিহাস রচনা করলাম ঐ সভায় অংশগ্রহণ করে। পরদিন ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে স্বাধীনতার ইশতেহার ঘোষণার জনসভায়ও যোগ দিয়ে স্বাধীনতার ইশতেহার পাশ করে দিলাম। সভায় কিছুটা বিলম্বে যোগ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু। তিনি আসার পর আবারো পাঠ করা হলো ইশতেহার, আবারো পাশ হলো ঐ ইশতেহার। খরচের টাকা ফুরিয়ে যাওয়ায় পরদিন ৪ মার্চ যখন ঢাকা-চট্টগ্রাম ট্রেন চলাচল শুরু হলো তখন চট্টগ্রাম চলে আসায় ৭ মার্চের ঐতিহাসিক জনসভায় যোগ দিতে পারিনি। ৮ মার্চ চট্টগ্রামে রেডিওতে শুনলাম ঐ ভাষণ, শুরু হয়ে গেল আমার স্বাধীনতার সংগ্রাম। পরদিনই বাংলাদেশের মানচিত্র-খচিত পতাকা টাঙিয়ে দিলাম বাসার বারান্দার রেলিঙ’য়ে।
আমার দুর্ভাগ্য, স্বাধীনতা নিউক্লিয়াসের সদস্য হয়েও পারিবারিক কারণে মুক্তিযুদ্ধে অংশগ্রহণের সুযোগ পেলাম না। আমাদের পরিবারের তখন একমাত্র আয়-উপার্জনকারী ছিলেন বড়দা। তিনি টাকেরঘাট চুনাপাথর খনি প্রকল্পে প্রকৌশলী হিসেবে কর্মরত ছিলেন। মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার সাথে সাথে তিনি ভারতে গিয়ে মুক্তিযুদ্ধে যোগদান করেছিলেন। ওদিকে চট্টগ্রামে জটিল অপারেশনের কারণে শয্যাশায়ী বৃদ্ধ বাবা, মা এবং তিন বোনের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নিতে হলো আমাকে, আমি আটকে গেলাম। ডিসেম্বরে বিজয় অর্জনের পর বিশ্ববিদ্যালয় খুলল ১৯৭২ সালের ফেব্রুয়ারী মাসের প্রথম সপ্তাহে। প্রথম দিনেই মাহবুব ভাইয়ের নেতৃত্বে জিন্নাহ হলের নাম পাল্টে ‘মাস্টারদা সূর্য সেন হল’ করে নামফলক লাগিয়ে দিলাম। কিন্তু, কিছুক্ষণ পর সার্জেন্ট জহুরুল হক হল থেকে একটি মিছিল এসে নামফলক ছিঁড়ে ফেলল। তাদের দাবি, পাকিস্তানের জাতির পিতার নামের জিন্নাহ হলের নতুন নাম বাংলাদেশের জাতির পিতার নামে হতে হবে। মিছিল চলে যাওয়ার পর আবার আরেকটি কাগজে আমরা ‘মাস্টারদা সূর্য সেন হল’ লিখে টাঙিয়ে দিয়ে পাহারা বসালাম রাতভর। পরদিন সকালে বঙ্গবন্ধুর সিদ্ধান্ত এসে গেল, মাস্টারদা সূর্য সেন হল নামটাই থাকবে। ১৯৭২ সালের ২৫ মার্চ বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশে ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র’ প্রতিষ্ঠার ঘোষণা দিলেন, আমরা বিজয় মিছিল নিয়ে ঢাকা শহর প্রদক্ষিণ করলাম।
কিন্তু, ১৯৭২ সালের এপ্রিল মাস থেকে শুরু হলো দুঃখের দিন। ছাত্রলীগ ভেঙে গেল বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র বনাম মুজিববাদ বিতর্কে। আমাদের হলের ছাত্রলীগের প্রায় সকল নেতা-কর্মী বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্রের পক্ষে অবস্থান নিলাম। ১৯৭২ সালের মে মাসে ডাকসুর নির্বাচনে আলাদা প্যানেল দিল দুই গ্রুপ। সবচেয়ে ভাল করল ছাত্র ইউনিয়ন, তারপর ছাত্রলীগের ‘বৈজ্ঞানিক সমাজতন্ত্র গ্রুপ’। আমরা মাস্টারদা সূর্য সেন হল সহ চারটি হলে জিতলাম, মুজিববাদী ছাত্রলীগ জিতেছিল মাত্র একটি হলে। বিজয় র্যালী করা হল আমাদেরকে নিয়ে, গন্তব্য গণভবন। গণভবনের লনে আমাদেরকে বসানো হলো। বঙ্গবন্ধু এসে বারান্দায় আসন গ্রহণ করলেন। বঙ্গবন্ধুকে সালাম করলাম সকলে, পায়ে হাত দিয়ে। তিনি বক্তব্য রাখলেন। বারবার শুধু বলছিলেন, ‘তোরা আমাকে ছেড়ে যাসনে। আমাকে তোরা কার্ কাছে রেখে যাচ্ছিস? তোরা আমাকে বিশ্বাস করতে পারছিস্ না কেন?’ একবুক কান্না নিয়ে হলে ফিরলাম। জুলাইয়ে দুই গ্রুপের আলাদা আলাদা সম্মেলন–পল্টন ময়দানে আমাদের, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে মুজিববাদীদের। সকাল এগারটার সময় বঙ্গবন্ধুর সমর্থন কোন্ দিকে সে প্রশ্নের জবাব মিলল, বঙ্গবন্ধু মুজিববাদীদের সম্মেলন উদ্বোধন করলেন।
আগস্ট মাসের শেষে আমাদের হলের ছাত্রলীগ শাখার সম্মেলন অডিটরিয়ামে। অনুষ্ঠানের এক ফাঁকে মাহবুব ভাই আমাকে বাইরে ডেকে নিয়ে বললেন, ‘তোমাকে হল ইউনিটের প্রেসিডেন্ট হতে হবে’। ঘোরতর আপত্তি জানালাম, ‘আমি অনার্সে ফার্স্ট ক্লাস মিস্ করে ফেলেছি। এবার মাস্টার্সে আমাকে ফার্স্ট ক্লাস পেতেই হবে’। মাহবুব ভাই বললেন,‘তোমার পড়াশোনায় সময় দাও, এর ফাঁকে যতখানি পার্টির কাজ করতে পারবে তাতেই চলবে’। অতএব, আমি হল ইউনিটের প্রেসিডেন্ট হয়ে গেলাম একান্তই অনিচ্ছায়। দু’মাস পর অক্টোবর মাসে দুর্গাপূজার বন্ধে চট্টগ্রামে অবস্থানের সময় শুনলাম, ৩১ অক্টোবর জাসদের জন্ম হয়েছে। এক ভুল থেকে আরেক ভুল। নভেম্বরের প্রথম সপ্তাহে ঢাকা গিয়ে সরাসরি জাসদের প্রধান কার্যালয়ে গিয়ে পাকড়াও করলাম মাহবুব ভাইকে। আমাকে উত্তেজিত দেখে মাহবুব ভাই নিচে নেমে এসে ভবনের পাশের পার্কিং লটে নিয়ে গেলেন। আমি সরাসরি কৈফিয়ত চাইলাম,‘ স্বাধীনতা নিউক্লিয়াসের স্টাডি সেশনগুলোতে আমাদেরকে যে পরিকল্পনার কথা শেখানো হয়েছিল সেখানে জাসদের মত রাজনৈতিক দল গঠনের কথা তো বলা হয়নি’। এক ঘন্টারও বেশি মাহবুব ভাই আমাকে বোঝাবার চেষ্টা করলেন। আমি আমার মতে অটল, ‘আপনারা ভুল করছেন। আপনারা ডুববেন, আমাদেরকেও ডোবাবেন’। আলোচনা ভেস্তে গেল। আমার শেষ কথা, ‘আমি জাসদ করব না, আমাকে জাসদের কোন কাজে ডাকবেন না’। এরপর ১৯৭২ সালের ডিসেম্বরে আমাদের মাস্টার্সের ক্লাস শেষ হলো, ১৯৭৩ সালের জানুয়ারীতে পরীক্ষা শুরু হয়ে মার্চে শেষ হলো। ১৯৭৩ সালের ২৫ জুলাই রেজাল্ট বের হলো। আমি ফার্স্ট ক্লাস পেয়ে ১ আগস্ট ১৯৭৩ তারিখে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতার জীবন শুরু করলাম এই অঙ্গীকার নিয়ে–যদ্দিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক থাকব আমি কোন রাজনৈতিক দল করব না। আমি এই নীতিতে অটল ছিলাম পুরো শিক্ষকতার জীবনে।
লেখক : সাবেক সভাপতি, বাংলাদেশ অর্থনীতি সমিতি, একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর, অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়।