ড.মইনুল ইসলামের কলাম

| বৃহস্পতিবার , ১১ ফেব্রুয়ারি, ২০২১ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

বাংলাদেশে বিদ্যুৎ খাতের ওভার-ক্যাপাসিটি বনাম সৌর-বিদ্যুতের প্রতি অবহেলা
ইংরেজি জাতীয় দৈনিক পত্রিকা দি ডেইলি স্টারের ৩ ফেব্রুয়ারি ২০২১ সংখ্যায় প্রকাশিত ইন্সটিটিউট ফর এনার্জী ইকনমিক্স এন্ড ফিনান্সিয়াল এনালাইসিস (আই ই ই এফ এ) এর ‘এনার্জী ফিনান্স এনালিস্ট’ সাইমন নিকোলাস এর উপ-সম্পাদকীয় ‘Why Bangladesh shouldn’t count on a fossil fuel future’ আমাকে বক্ষ্যমাণ কলামটি লিখতে উদ্বুদ্ধ করেছে। এনার্জী সেক্টরের গত মাসের দুটো বিস্ময়কর তথ্যকে গুরুত্বের সাথে উল্লেখ করে সাইমন তাঁর নিবন্ধটি শুরু করেছেন: ১) ২০২০ সালের এপ্রিলের রেকর্ড দাম-হ্রাসের তুলনায় গত জানুয়ারি মাসে এলএনজি’র দাম দশগুণ বেড়ে গেছে, ২) গত বার মাসে ভিয়েতনাম বাড়ির ছাদের সোলার প্যানেলের মাধ্যমে বিদ্যুৎ উৎপাদন ৯০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে। এই দুটো অবাক-করা তথ্য বাংলাদেশের ভবিষ্যতের এনার্জী-সম্পর্কিত সঠিক পথ নির্ধারণের জন্য বিশেষভাবে গুরুত্ববহ বিবেচনা করছেন সাইমন। কারণ, এলএনজি সম্পর্কিত প্রথম তথ্য বাংলাদেশের প্রধানত ফসিল-ফুয়েল বা জীবাশ্ম জ্বালানি-নির্ভর বর্তমান বিদ্যুৎ উৎপাদন খরচকে আগামী দিনগুলোতে প্রচণ্ডভাবে বাড়িয়ে দেবে আর ভিয়েতনামের সোলার-এনার্জী উৎপাদনে গত বার মাসের অবিশ্বাস্য সাফল্য অর্জনের খবরটি চোখে আঙ্গুল দিয়ে বাংলাদেশকে দেখিয়ে দিচ্ছে কীভাবে সোলার এনার্জীকে যথাযথ অগ্রাধিকার দিলে বাংলাদেশও অদূর ভবিষ্যতে এলএনজি-নির্ভরতা থেকে বেরিয়ে এসে সুলভে বিদ্যুৎ উৎপাদনে স্বয়ম্ভরতা অর্জনে সক্ষম হবে। সাইমন বলছেন, এশিয়ায় প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগে নির্মীয়মান বিদ্যুৎ প্রকল্প এলএনজি’র এই অবিশ্বাস্য দামবৃদ্ধির শিকার হয়ে পরিত্যক্ত হতে যাচ্ছে।
বাংলাদেশের বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলো প্রধানত প্রাকৃতিক গ্যাস-নির্ভর হলেও দেশের প্রাকৃতিক গ্যাসের রিজার্ভ যেহেতু দ্রুত ফুরিয়ে যাচ্ছে তাই এলএনজি আমদানি অদূর ভবিষ্যতে বাড়ানো ছাড়া বাংলাদেশের বিকল্প নেই। সুতরাং, এলএনজি’র দামের এহেন নাটকীয় উল্লম্ফন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতকে অচিরেই সংকটে ফেলবে। আরো গুরুতর হলো, ভবিষ্যতের প্রায় ১৫,০০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনের জ্বালানি হিসেবে বাংলাদেশ এলএনজি অথবা কয়লা আমদানির উপর নির্ভর করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছিল। যদিও সম্প্রতি বেশ কয়েকটি কয়লা-ভিত্তিক বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট-নির্মাণ বাতিল ঘোষণা করা হয়েছে, কিন্তু কয়লা বাদ দিয়ে এলএনজি আমদানিকে যেহেতু অদূর ভবিষ্যতের বিদ্যুৎ উৎপাদনের প্রধান-বিকল্প কৌশল হিসেবে ব্যবহারের পরিকল্পনা করা হয়েছিল তাই এই কৌশল-পরিবর্তন এখন এলএনজি’র এহেন দাম-উল্লম্ফনের কারণে ব্যয়বহুল হয়ে পড়বে এবং বিদ্যুৎ খাতে অস্থিরতা সৃষ্টি করবে। বাংলাদেশে ২০২০ সালের একাধিক এলএনজি আমদানির টেন্ডারে এই দামবৃদ্ধির ফলে কোন সাড়া মেলেনি, যার ফলে এখন প্রাকৃতিক গ্যাসচালিত বিদ্যুৎ প্রকল্পগুলোতে চাহিদার বিপরীতে মাত্র ২৫ শতাংশ গ্যাস সরবরাহ করা হচ্ছে। (শীতকালে বিদ্যুতের চাহিদা অনেকখানি কম থাকায় এখনো লোডশেডিং তেমন বাড়েনি, কিন্তু ফাগুন-চৈত্র মাসে লোডশেডিং বাড়বে।)
একটা বড়সড় সমস্যা সম্পর্কে অনেকেই জ্ঞাত নন: বাংলাদেশের বিদ্যুৎ খাতে সাম্প্রতিককালে মারাত্মক ওভার-ক্যাপাসিটি সমস্যা দেখা দিয়েছে। এর প্রধান কারণ, বিদ্যুতের চাহিদা দেশে ক্রমশ যে হারে বাড়বে বলে প্রাক্কলন করা হয়েছিল তাতে মারাত্মক গলদ ছিল। ফলে, প্রয়োজনের তুলনায় গত কয়েক বছরে অনেক বেশি বিদ্যুৎ-প্ল্যান্ট স্থাপনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। আর, যে হারে বিদ্যুৎ প্ল্যান্ট স্থাপিত হয়েছে তার সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণভাবে বিদ্যুৎ ট্রান্সমিশন লাইনও সম্প্রসারিত হয়নি। উপরন্তু, ভারত থেকে বিদ্যুৎ আমদানি হওয়ায় দেশের অনেক প্ল্যান্টকে বসিয়ে রাখতে হচ্ছে। আরো দুঃখজনক হলো, ডিজেল ও ফার্নেস অয়েল-চালিত রেন্টাল ও কুইক-রেন্টাল বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোর সাথে সরকারের চুক্তির মেয়াদ বহুদিন আগেই উত্তীর্ণ হয়ে গেলেও লবিয়িং এবং ঘুষ-দুর্নীতির মাধ্যমে এসব প্ল্যান্টের মালিকরা তাঁদের চুক্তির মেয়াদ বারবার বাড়িয়ে নিতে সক্ষম হচ্ছেন। এসব প্ল্যান্টে এক ইউনিট বিদ্যুৎ উৎপাদনে খরচ পড়ছে চৌদ্দ থেকে সতেরো টাকা, যেখানে ঐ এক ইউনিট বিদ্যুৎ সরকারকে বিক্রয় করতে হচ্ছে সাত টাকারও কম দামে। এসব প্ল্যান্ট থেকে সরকার বিদ্যুৎ না কিনলেও ‘মিনিমাম ক্যাপাসিটি চার্জ’ দিতে হয়। অতএব, ২০০৯-১২ সালের বিদ্যুৎ-ঘাটতির মহাসংকট মোকাবেলার জন্য বিপুল ভর্তুকি দিয়ে এসব রেন্টাল/কুইক রেন্টাল বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলো থেকে সরকারকে বিদ্যুৎ কিনতে হলেও ওগুলোর প্রয়োজন পাঁচ বছর আগেই ফুরিয়ে গেছে! এখন দেশের বিদ্যুৎ উৎপাদন-ক্যাপাসিটি ২০,০০০-২২,০০০ মেগাওয়াটে পৌঁছে গেছে, অথচ বিদ্যুতের দৈনিক চাহিদা ৯,০০০-৯,৫০০ মেগাওয়াটের মধ্যেই ঘুরপাক খাচ্ছে। এর মানে, বিদ্যুতের দৈনন্দিন ব্যবহার ‘ইন্সটলড ক্যাপাসিটির’ ৪০ শতাংশেরও কম । ভারত থেকে যেহেতু ১৬০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আমদানি করা হচ্ছে তাই দেশের বিদ্যুৎ প্ল্যান্টগুলোর ওভার-ক্যাপাসিটি আরো বেশি। এমতবস্থায়, রেন্টাল/কুইক রেন্টাল প্ল্যান্টগুলোর সাথে সরকারের চুক্তি বারংবার নবায়নের আসল মরতবা যে স্রেফ দুর্নীতি সেটা কি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বুঝতে পারছেন না? দুর্নীতি দমন কমিশন ব্যাপারটি খতিয়ে দেখছে না কেন?
দেশের বিদ্যুৎ খাতের এই জীবাশ্ম জ্বালানি-নির্ভরতা এবং ওভার-ক্যাপাসিটি সমস্যা থেকে নিষ্কৃতি পেতে হলে ভিয়েতনামের ছাদভিত্তিক সোলার পাওয়ারের সাফল্য কীভাবে অর্জিত হয়েছে তা সরেজমিনে দেখে এসে এদেশের সোলার-পাওয়ার নীতিকে অবিলম্বে ঢেলে সাজাতে হবে। আমরা দুর্গম এলাকায় সোলার হোম সিস্টেমের দ্রুত প্রসারে সাফল্য অর্জন করেছি বলে সরকার দাবি করলেও আমাদের মোট বিদ্যুৎ উৎপাদনের অতি ক্ষুদ্র অংশ এখনো সোলার পাওয়ার থেকে পাওয়া যাচ্ছে। ভিয়েতনাম যেখানে ছাদভিত্তিক সোলার পাওয়ার উৎপাদনকে ৯,০০০ মেগাওয়াটে উন্নীত করেছে সেখানে এদেশের ছাদভিত্তিক সোলার পাওয়ার উৎপাদন এখনো পাঁচ’শ মেগাওয়াটেও পৌঁছাতে পারেনি। এক্ষেত্রে সুনির্দিষ্ট অগ্রাধিকার এদ্দিনেও কেন দেওয়া হলোনা তা বোঝা যাচ্ছে না। বাংলাদেশের ‘সাসটেইনেবল এন্ড রিনিউয়েবল এনার্জী ডেভেলপমেন্ট অথরিটি’ (SREDA) তাদের নব্যঘোষিত ন্যাশনাল সোলার এনার্জী রোডম্যাপে ৩০,০০০ মেগাওয়াটের সোলার এনার্জীর টার্গেট অর্জনের সুপারিশ করেছে, যার মধ্যে ১২,০০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ ছাদভিত্তিক সোলার প্যানেল থেকে আহরণের পরিকল্পনা করা হয়েছে। কিন্তু, এই রোডম্যাপ ঘোষণার পর বেশ কিছুদিন অতিবাহিত হলেও বাস্তবে এই টার্গেট পূরণের কোন কর্মসূচি আজো গৃহীত হলো না! সাইমন বলছেন, ১২,০০০ মেগাওয়াটের মধ্যে ৫,০০০ মেগাওয়াট শুধু পোশাক ও বস্ত্র কারখানাগুলোর ছাদ ব্যবহার থেকে পাওয়া যেতে পারে, আর সরকারি বিভিন্ন ভবনের ছাদ ব্যবহারের মাধ্যমে আরো ২,০০০ মেগাওয়াট পাওয়া যাবে। দেশের বড় বড় নগর ও মফস্বল শহরগুলোর প্রাইভেট ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও বসতবাড়িগুলোর ছাদ ব্যবহারের মাধ্যমে বাকি ৫,০০০ মেগাওয়াট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন মোটেও অসম্ভব মনে হচ্ছে না, প্রয়োজন হবে সোলার প্যানেল ও ব্যাটারীর ভর্তুকি-দাম কর্মসূচি বাস্তবায়ন এবং যুগোপযোগী ‘নেট মিটারিং’ পদ্ধতি চালু করা। ‘নেট মিটারিং’ থেকে যেহেতু জনগণ সরাসরি ব্যয়সাশ্রয়ের মাধ্যমে উপকৃত হয় তাই ছাদভিত্তিক সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন জনপ্রিয় হতে মোটেও বিলম্ব হবে না।
ভিয়েতনাম ছাড়াও গণচীন, থাইল্যান্ড, ভারত এবং জার্মানি ছাদভিত্তিক সোলার পাওয়ার উৎপাদনে চমকপ্রদ সাফল্য অর্জন করেছে। সোলার প্যানেল ও ‘ব্যাটারি’ স্থাপনে সুনির্দিষ্ট ভর্তুকি প্রদান এবং ভর্তুকি-দামে ‘নেট মিটারিং’ স্থাপনে প্রণোদনা প্রদান এসব দেশের সাফল্য অর্জনের প্রধান উপাদান হিসেবে চিহ্নিত হয়েছে। ‘নেট মিটারিং’ ব্যবস্থায় যেহেতু জাতীয় গ্রিড থেকে বিদ্যুৎ ব্যবহারকারীদের মাসিক বিদ্যুৎ বিল প্রায় শূন্যের কোটায় নামিয়ে আনার পাশাপাশি উদ্বৃত্ত সোলার-পাওয়ার সরকারের কাছে বিক্রয় করে আয়বৃদ্ধির ব্যবস্থা করা যায় সেজন্য এই ছাদভিত্তিক সোলার-এনার্জী উৎপাদনকে এসব দেশে দ্রুত জনপ্রিয় করা সম্ভব হয়েছে। এই ‘নেট-মিটারিং’ প্রযুক্তি গণচীন থেকে এখন সুলভে আমদানি করা যাচ্ছে। অথচ, এক্ষেত্রে আমাদের অগ্রগতি একেবারেই নগণ্য রয়ে গেল কেন? রূপপুর পরমাণু শক্তি কেন্দ্র স্থাপন করার জন্য আমরা প্রায় তের বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করছি, যেখান থেকে ২০২৪ সাল নাগাদ আমরা নাকি ২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ পাব। কিন্তু, এই মহা-বিপজ্জনক আণবিক প্রযুক্তি বাংলাদেশের মত একটি ঘনবসতিপূর্ণ দেশের সীমানার মাঝখানে স্থাপনের দুর্বুদ্ধি যার মাথা থেকেই আসুক না কেন এটাকে আমি কখনোই সমর্থনযোগ্য মনে করিনি। আমার সুনির্দিষ্ট অভিমত, ছাদভিত্তিক সোলার-পাওয়ার প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিলে ২,৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদনে সরকারের ভর্তুকি রূপপুর আণবিক কেন্দ্রের মোট ব্যয়ের অর্ধেকও হবে না। অথচ, সৌরবিদ্যুৎ সবচেয়ে পরিবেশ-বান্ধব এবং ঝুঁকিমুক্ত প্রযুক্তি। কিন্তু, এই প্রযুক্তিকে অগ্রাধিকার দিলে কায়েমী স্বার্থের পুঁজি-লুন্ঠন যেহেতু খুব জমজমাট হওয়ার সম্ভাবনা নেই সেজন্যই হয়তো এদেশের ক্ষমতাসীন মহলে এই জনবান্ধব প্রযুক্তিটির উৎসাহী প্রমোটার পাওয়া যাচ্ছে না! ভিয়েতনামের জনসংখ্যা বাংলাদেশের অর্ধেক, কিন্তু সেখানে ছাদভিত্তিক সোলার পাওয়ার উৎপাদন ৯,০০০ মেগাওয়াটে পৌঁছাতে পারল ভিয়েতনামের ক্ষমতাসীন সরকার সত্যিকারভাবে জনবান্ধব হওয়ার কারণে। সাম্প্রতিক গবেষণায় প্রমাণিত, এক ইউনিট সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন খরচ ইতোমধ্যেই গণচীন, ভিয়েতনাম এবং থাইল্যান্ডে বাংলাদেশি সাত টাকার নিচে নেমে এসেছে। এর মানে, এলএনজি’র সাম্প্রতিক নাটকীয় দামবৃদ্ধির আগেই গ্যাসভিত্তিক বিদ্যুতের চাইতে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয়সাশ্রয়ী হয়ে গিয়েছিল। এলএনজি’র দাম-উল্লম্ফনের পর এখন তো সৌরবিদ্যুৎ তুলনামূলকভাবে আরো সস্তা হয়ে যাবে। এমতাবস্থায় মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর কাছে আকুল আবেদন, নবায়নযোগ্য শক্তির উৎস হিসেবে সৌরবিদ্যুৎ উৎপাদনকে নির্দ্বিধায় দেশের বিদ্যুৎ খাতে প্রধান অগ্রাধিকার প্রদান করুন। ২০২১ সালে দেশের শতভাগ জনগণকে বিদ্যুৎ সুবিধায় নিয়ে এসে আপনি যে ঐতিহাসিক সাফল্য অর্জন করতে চলেছেন সে সাফল্যকে টেকসই করার জন্য বিদ্যুৎ উৎপাদনে জীবাশ্ম জ্বালানিকে ক্রমশ পরিত্যাগ করে সৌরবিদ্যুতকে প্রধান উৎসে পরিণত করা সময়ের দাবি।
লেখক : একুশে পদকপ্রাপ্ত অর্থনীতিবিদ ও অবসরপ্রাপ্ত প্রফেসর,
অর্থনীতি বিভাগ, চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়

পূর্ববর্তী নিবন্ধরোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের কী হবে
পরবর্তী নিবন্ধআবু বকর সিদ্দিক (রা.) স্মরণে ওরশ