ড্রাগন ফল বেচে অনেকে স্বাবলম্বী

কাপ্তাই প্রতিনিধি | রবিবার , ১২ নভেম্বর, ২০২৩ at ১০:২০ পূর্বাহ্ণ

ড্রাগন বিদেশী ফল। এক দশক আগেও বাংলাদেশে ড্রাগন ফল খুব বেশি পরিচিত ছিলনা। কিন্তু এখন গ্রামে গঞ্জে সর্বত্র এই ফল ব্যাপক পরিচিত। শুধু পরিচিতই নয় ড্রাগন ফল এখন আমাদের দেশের মাটিতে ফলে। অনেক মানুষ সুস্বাদু ড্রাগন ফল খেতে পছন্দ করেন। অনেকে ড্রাগন ফল বিক্রি করে স্বাবলম্বীও হয়েছেন। কাপ্তাইয়ে অবস্থিত পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রের প্রাক্তন প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ড. মো. আলতাফ হোসেন বলেন, একসময় এই ড্রাগন ফল আমাদের কাছে অপিরিচ ছিল। কিন্তু কৃষি বিভাগের মাধ্যমে এই ফলটিকে সর্বত্র পরিচিত করানো হয়। এখন ড্রাগন ফল চেনেনা এমন লোকের সংখ্যা খুঁজে পাওয়া মুশকিল। তিনি বলেন, রাঙ্গামাটি জেলায় পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্রে প্রথমে ড্রাগন ফলের চাষ করা হয়। এক বছরের মধ্যে ফলন ভালো হওয়ায় জনসাধারণের মাঝে এই ফলকে পরিচিত করানো হয়। এবং অনেককে ড্রাগন ফল চাষ সম্পর্কে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। এখন অনেক সংস্থা নিজ উদ্যোগে ড্রাগন ফলের চাষ করেন। পাহাড়ি কৃষি গবেষণা কেন্দ্র ছাড়াও উপজেলায় ৪১ বিজিবি, ১০ আর ই ব্যাটালিয়ন, ৫৬ ই বেঙ্গল, বানৌজা শহীদ মোয়াজ্জম এবং কর্ণফুলী পেপার মিলের অতিথি ভবনে দৃষ্টিনন্দন জায়গায় ড্রাগন ফলের বাগান দেখা গেছে। একটি ড্রাগন গাছ কোনভাবে টেকাতে পারলে সেখান থেকে অনবরত ফল পাওয়া যায় বলে ড্রাগন ফল চাষকে লাভজনক হিসেবেও অনেকে মনে করেন।

বাজারে কয়েক ধরণের ড্রাগন ফল দেখা যায়। তবে সবচেয়ে আকর্ষনীয় হলো মেজেন্টা রঙের ড্রাগন ফল। এই রঙের ড্রাগন ফল অধিকাংশ লোকের কাছে অনেক প্রিয়। এছাড়াও সাদা এবং হালকা হলুদ রঙের ড্রাগন ফলও দেখা যায়। সরেজমিন পরিদর্শনে কাপ্তাই উপজেলা সদর বরইছড়ি বাজার, কাপ্তাই নতুন বাজার, দোভাষী বাজার, লিচুবাগান, রাইখালী বাজারসহ বিভিন্ন এলাকায় রাস্তার পাশে অনেক ক্ষুদ্র ব্যবসায়ীকে ড্রাগন ফল বিক্রি করতে দেখা গেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধপ্রধানমন্ত্রীর ত্রাণ তহবিলে স্ট্যান্ডার্ড ব্যাংকের কম্বল প্রদান
পরবর্তী নিবন্ধলিডার্স স্কুল এন্ড কলেজের পুরস্কার বিতরণী