ডেঙ্গু মোকাবিলায় সমন্বিত উদ্যোগ চান মেয়র

বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় চিকিৎসা ক্ষেত্রে বেসরকারি হাসপাতালকে জাতীয় গাইডলাইন অনুসরণের আহ্বান

| শুক্রবার , ৪ নভেম্বর, ২০২২ at ৫:৩৭ পূর্বাহ্ণ

চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, ডেঙ্গু মোকাবেলায় সমন্বিত ও সঠিক পরিকল্পনা গ্রহণ এখন সময়ের দাবি। নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিত করা চসিকের সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলেও এককভাবে ডেঙ্গুর মতো রোগের প্রকোপ বৃদ্ধি প্রতিরোধ করা সম্ভব নয়। সে কারণে সমন্বিত উদ্যোগের প্রয়োজন বিধায় এই সভাটি অনেক গুরুত্ব বহন করে। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকালে বাটালিহিলস্থ নগর ভবনের সম্মেলন কক্ষে ডেঙ্গুর প্রকোপ বৃদ্ধি প্রতিরোধে করণীয় নির্ধারণ বিষয়ক নগরীর বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিদের সাথে মতবিনিময় সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
চসিক প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা মো. আবুল হাশেমের সঞ্চালনায় এতে বক্তব্য রাখেন সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম, চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার মো. শামীম আহসান, চসিক বর্জ্য স্ট্যান্ডিং কমিটির সভাপতি কাউন্সিলর মোবারক আলী, সিভিল সার্জন ডা. মোহাম্মদ ইলিয়াস চৌধুরী, চসিক সচিব খালেদ মাহমুদ, প্রধান স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. সেলিম আকতার চৌধুরী, বিভাগীয় সহকারী পরিচালক ডা. সুমন বড়ুয়া, সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মাহফুজুর রহমান, বিভাগীয় কীট তত্ত্ববিদ মো. মফিজুল হক শাহ, এভার কেয়ার হাসপাতালের জিএম ডা. ফজলে আকবর চৌধুরী। উপস্থিত ছিলেন চসিক প্রধান প্রকৌশলী রফিকুল ইসলাম, স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ইমাম হোসেন, সিডিএ প্রতিনিধি মোহাম্মদ ওসমান, তানভীর হোসেন, সার্জিস্কোপ হাসপাতালের ম্যানেজার মো. ইনামুল হক, শামীম আহমেদ হেলাল, মিজানুর রহমান প্রমুখ।
মেয়র বলেন, বিগত তিন মাস ধরে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন ডেঙ্গু ও মশকবাহিত রোগ প্রতিরোধে বিশেষ ক্রাশ প্রোগ্রাম পরিচালনা করে আসছে। মশক নিধন কাজে অতীতে ২০০ জন স্প্রেম্যানের স্থলে ৪০০ জন উন্নীত করা হয়েছে। ৮০টি ফগার মেশিন ও ৩২০টি স্প্রে মেশিন দিয়ে ওষুধ ছিটানোর কাজ চলমান আছে। সকল আবাসিক ও মহল্লা কমিটির সভাপতি, সাধারণ সম্পাদক বরাবর ডিও লেটার পাঠিয়ে মহল্লা ও আবাসিকে বসবাসরত ভবন মালিক ও ভাড়াটিয়াদের সচেতন করার পরামর্শ দেয়া হয়।
মেয়র বেসরকারিভাবে পরিচালিত হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের উদ্দেশ্যে বলেন, আমরা জানতে পেরেছি নগরীরতে বেসরকারি হাসপাতালগুলো ডেঙ্গু চিকিৎসায় জাতীয় গাইডলাইন অনুসরণ করছেন না যা অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি চট্টগ্রাম সিভিল সার্জনকে বেসরকারি ক্লিনিকে জাতীয় গাইডলাইন অনুসারে ডেঙ্গুর চিকিৎসা সেবা প্রদানে তদারিকর আহ্বান জানান। মেয়র বেসরকারি ক্লিনিকগুলোতে কমপক্ষে পাঁচটি শয্যা গরীব-অসহায় রোগীদের জন্য বিনামূল্যে সংরক্ষণে রাখার উপর গুরুত্বারোপ করেন।
চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল শামীম আহসান বলেন, চমেক হাসপাতালে এখন পর্যন্ত ডেঙ্গু রোগে আক্রান্ত হয়ে ৭ জন রোগী মারা গেছেন। তারা সকলে অন্তিম সময়ে হাসপাতালে আসেন চিকিৎসার জন্য। তবে আজ অবধি সহস্রাধিক রোগী হাসপাতালে চিকিৎসা গ্রহণ করে সুস্থ হয়েছেন।
চসিকের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মোহাম্মদ শহীদুল আলম বলেন, ডেঙ্গু রোগীর ঠিকানা ও অবস্থান সংগ্রহ করে তাতে কুইক রেস্পন্স টিমের মাধ্যমে ব্যবস্থা নিতে হবে। সিভিল সার্জন ডা. মো. ইলিয়াস চৌধুরী বলেন, ডেঙ্গু প্রতিরোধে মশক, পোষক ও পরিবেশ- এই তিনটি বিষয়ে গুরুত্ব দিতে হবে। শুধু নালা নর্দমায় ওষুধ ছিটালেই এডিস মশা প্রজননক্ষেত্র ধ্বংস হবে না। সেক্ষেত্রে চসিককে নালায় ওষুধ ছিটানোর চাইতে সচেতনতার উপর জোর দিতে হবে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধরাজবন বিহারে কঠিন চীবর দানোৎসব শুরু
পরবর্তী নিবন্ধকর্ণফুলীর জেটিতে জাহাজে আগুন