চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশনের মেয়র রেজাউল করিম চৌধুরী বলেছেন, সিটি কর্পোরেশন নগরীর ৪১টি ওয়ার্ডে ডেঙ্গু চিকনগুনিয়া প্রতিরোধের অংশ হিসেবে প্রকাশ্য স্থানে ও নালা নর্দমার স্তুপকৃত ময়লা-আবর্জনা পরিষ্কার করে যাচ্ছে। কিন্তু এভাবে মশক নিধন ও পরিচ্ছন্নতা রক্ষা করা সম্ভব নয়। মশার প্রাদুর্ভাব থেকে মুক্তি পেতে নগরবাসীর মাঝে এ বিষয়ে সচেতনতাও জরুরি। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন নগরী গড়ার প্রত্যয় নিয়ে তিনি বলেন, সমন্বিত মশক নিধন ব্যবস্থাপনার আওতায় প্রথম পদক্ষেপটিই হচ্ছে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ব্যবস্থাপনা। আমাদের চারপাশের যেখানে এডিস মশা জন্মানোর লক্ষণ দেখা যাবে সেসব স্থান সম্পর্কে সকলকে সচেতন হতে হবে।
আবহাওয়াগত কারণে নগরীতে এখন মশার উপদ্রব বেড়েছে। এই ক্র্যাশ প্রোগ্রামের মাধ্যমে নগরীর প্রতিটি ওয়ার্ডের ঝোঁপঝাঁড় পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও নালা-নর্দমায় যেখানে মশা জন্ম হয় সেখানে ওষুধ ছিটানো হবে।
গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে চকবাজার ওয়ার্ডে চট্টগ্রাম সরকারি কলেজ ক্যাম্পাস, কলেজ রোড, হাফেজ টাওয়ার, মরিয়ম হাউস ও দেবপাহাড় এলাকায় মশক নিধন কার্যক্রমে ক্র্যাশ প্রোগ্রাম পরিদর্শনকালে মেয়র একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চকবাজার ওয়ার্ড কাউন্সিলর নুর মোস্তফা টিনু, প্রধান পরিচ্ছন্ন কর্মকর্তা ও মেয়রের একান্ত সচিব মুহাম্মদ আবুল হাশেম, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মারুফা বেগম নেলী ও আকবর আলী, প্রণব শর্মা প্রমুখ।
মেয়র ডেঙ্গুসহ মশাবাহিত রোগ প্রতিরোধে নগরবাসীর সহযোগিতা কামনা করে বলেন, বাড়ির আঙ্গিনা ও ছাদবাগান নিজ নিজ উদ্যোগে পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। এটা আমাদের সকলের নাগরিক দায়িত্ব। মেয়র চট্টগ্রাম নগরীকে একটি স্বাস্থ্যকর নিরাপদ বাসযোগ্য ও পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিণত করতে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।