ডিজিটাল হবার একি বিড়ম্বনা!

শুকলা আচার্য | বুধবার , ২৪ নভেম্বর, ২০২১ at ৬:৩৮ পূর্বাহ্ণ

উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণে তথ্য প্রযুক্তির ব্যবহার চলছে প্রতি পরতে পরতে। নাগরিক হিসেবে ১৮ উর্দ্ধোদের যেমন এন আই ডি রয়েছে তেমনি প্রতিটা শিশুর রয়েছে জন্মনিবন্ধন সনদ। অবশ্য প্রাপ্ত বয়স্কদেরও এই সনদ এখন অপরিহার্য। কিন্তু এই সনদ নির্ভুলভাবে হাতে পাওয়া শিক্ষা সনদ থেকেও দুর্লভ হয়ে পড়েছে। জন্ম নিবন্ধন সনদ নিয়ে নানা বিড়ম্বনার সম্মুখীন হন নি এমন মানুষ কম। হয় দীর্ঘসূত্রতা নয় তো ভুলে ভরা সনদ। এখন প্রতিটা স্কুলে চলছে শিক্ষার্থীদের ইউনিক আইডির কাজ যেখানে তার সব তথ্য নির্ভুল হওয়া আবশ্যক। অনলাইন জন্ম নিবন্ধন সনদ ছাড়া এখন কিছুতেই কোন তথ্য সাবমিট করা যায় না। সন্তানেরটার জন্য তার মা বাবা, মা বাবার জন্য তাদের মা বাবার সনদগুলোও ডিজিটাল করতে হচ্ছে। আর এই ডিজিটালাইজেশনের সাপোর্টিং কাগজ পত্র গুলো যথাযথ কর্তৃপক্ষের স্বাক্ষর নিয়ে জমা দেয়া কতখানি ঝক্কিঝামেলার তা কেবল ভুক্তভোগীরাই জানেন। প্রতি পদে পদে তিক্ত অভিজ্ঞতা। আবার কিছু কিছু স্কুলে ইংরেজি ভার্সানের সনদ দাবী করছে যা পূর্ব ঘোষিত নয়। এখানে আরেক দফা ধাক্কা। শিক্ষা মন্ত্রণালয় যদি আগে ভাগে সময় নিয়ে সবার ইংরেজি সনদ দাবী করত বা সেই কাজটা ত্বরান্বিত করার জন্য সংশ্লিষ্ট জনদের নির্দেশনা দিতেন তাহলে অভিভাবকদের শেষমুহূর্তে দৌড়ঝাপের প্রয়োজন হত না। জন্ম নিবন্ধন সনদ এর আরেকটা দুর্বল দিক হচ্ছে নামগুলো কেবলমাত্র বাংলা অথবা ইংরেজিতে লেখা থাকা। এক্ষেত্রে এনআইডির মত যদি নামগুলো দুই মাধ্যমে লেখা থাকতো তাহলে অনেক ফলদায়ক এবং কার্যকর হত। এ সমস্যা নিরসনে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। তবে সুসংবাদ হল এই যে, এখন থেকে শিশুর জন্মের ৪৫ দিনের মধ্যে জন্মনিবন্ধন করাতে হবে। নয়তো সে তার টিকা থেকে বঞ্চিত হতে পারে। এ বিষয়ে মা ও শিশু কল্যান মন্ত্রণালয় আশাকরি অনেক বেশি তৎপর এবং কৌশলী পদক্ষেপ গ্রহণ করবেন। নির্ভুল জন্মনিবন্ধন সনদ প্রত্যেক নাগরিকের অধিকার। সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় বর্তমানে বিরাজমান সমস্যার আশু সমাধান হবে আশা করি।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমি কষ্টের ফেরিওয়ালা
পরবর্তী নিবন্ধবিড়ম্বনার আরেক নাম এনআইডি ও জন্মনিবন্ধন