ডিএনএ পরীক্ষার পর দুই লাশ শনাক্ত, একজনের বিচ্ছিন্ন পা পরিবারের কাছে হস্তান্তর

বিএম কন্টেনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ড

সীতাকুণ্ড প্রতিনিধি | শুক্রবার , ১৬ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:১০ পূর্বাহ্ণ

সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়িতে বিএম কন্টেনার ডিপোতে অগ্নিকাণ্ডে নিহত আরও দুই ব্যক্তির লাশ এবং অন্য আরেকজনের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পা তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ। গতকাল বৃহস্পতিবার বিকেলে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গ থেকে এ লাশ দুটি হস্তান্তর করা হয়। এ নিয়ে নিহত ৫১ জনের মধ্যে ৩৯ জনের লাশ শনাক্ত করা হলো। এর আগে শনাক্ত করা যায়নি এমন ১৪টি দেহাবশেষের মধ্যে তিনটির ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার ফলাফল পায় পুলিশ।
বিষয়টি নিশ্চিত করে ঘটনার দায়ের করা মামলার তদন্ত কর্মকর্তা সীতাকুণ্ড থানার পরিদর্শক (তদন্ত) সুমন বণিক বলেন, নতুন শনাক্ত করা ব্যক্তিরা হলেন মো. মাঈন উদ্দিন (২৩) ও মো. জুয়েল রানা (৩১)। মাঈন উদ্দিনের বাড়ি নোয়াখালীর হাতিয়া উপজেলার সিরাজপুর গ্রামে। জুয়েল রানার বাড়ি একই জেলার কোম্পানীগঞ্জ উপজেলার শাহজাদপুর গ্রামে। মাঈন উদ্দিনের লাশ গ্রহণ করেছেন তাঁর বাবা হেদায়েত উল্ল্যাহ এবং জুয়েল রানার লাশ গ্রহণ করেছেন তাঁর স্ত্রী জেসমিন আক্তার। গত ৪ জুন রাতে বিএম কন্টেনার ডিপোতে বিস্ফোরণ ও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫১টি দেহাবশেষ উদ্ধার করেছিল পুলিশ। নিহত ব্যক্তিদের মধ্যে ২৯ জনকে প্রথমেই শনাক্ত করা গেছে। চেহারা বিকৃত হয়ে যাওয়ায় ২২টি দেহাবশেষের ডিএনএ সংগ্রহ করে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ফরেনসিক ল্যাবে পাঠানো হয়। এর মধ্যে গত ৭ জুলাই আটটি লাশের ডিএনএ পরীক্ষার ফলাফল আসায় শনাক্ত করা আটজনকে পরিবারের সদস্যদের কাছে হস্তান্তর করা হয়। অবশিষ্ট ১৪টি দেহাবশেষের পরিচয় তখনো শনাক্ত করা যায়নি।
সুমন বণিক আরো বলেন, বিএম কন্টেনার ডিপোর পুড়ে যাওয়া ১৪ দেহাবশেষের মধ্যে ডিএনএ পরীক্ষায় তিনজনের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া গেছে। এর মধ্যে দুজন মাঈন উদ্দিন ও জুয়েল রানা। অপর দেহাবশেষটি আবুল হাসেম নামে একজনের। সে সময় ডিএনএ পরীক্ষার মাধ্যমে শনাক্ত করে পরিবারের কাছে হাসেমের লাশও হস্তান্তর করে পুলিশ। কিন্তু বিস্ফোরণে তার ছিন্ন-বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া শরীরের অন্য সব অঙ্গ পাওয়া গেলেও একটি পা পাওয়া যায়নি। ঘটনার ৩ মাস পর নমুনার ফলাফলের ভিত্তিতেই নিহত আবুল হাসেমের বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়া পা তার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করেছে পুলিশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধঅধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ বাংলাদেশের ইতিহাসের অবিচ্ছেদ্য অংশ
পরবর্তী নিবন্ধস্থানীয়দের সাথে ওয়াসার বিরোধ