মূলত মানুষকে সচেতন করার জন্য প্রতি বছর ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ডায়বেটিক সমিতি ডায়বেটিস সচেতনতা দিবস পালন করে। ১৯৫৬ সালের ২৮ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশ ডায়বেটিক সমিতি প্রতিষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে এই রোগ মহামারী রূপ নিয়েছে। এক জরীপ মতে, বিশ্বে প্রতি সাত সেকেন্ডে একজন মানুষ ডায়বেটিসে আক্রান্ত হচ্ছে। যদিও ডায়বেটিক একবারে ভালো হয়ে যাবার রোগ না, একবার যার হবে সারা জীবন এই রোগ তার সঙ্গী হয়ে থাকবে। শুধুমাত্র সচেতনতার মাধ্যমে কিছু নিয়মশৃঙ্খলা মানলেই ডায়বেটিস নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব এবং জটিলতা মুক্ত, সুস্থ ও কর্মক্ষম জীবন ধারণ সম্ভব।
জেনে নেই খাদ্যের নিয়ম :
১। ডায়বেটিক রোগী কখনোই অনেকক্ষণ না খেয়ে থাকবেন না।
২। একবারে বেশি করে খাবার খাবেন না।
৩। পাঁচ বেলা খাবার খেতে হবে।
৪। প্রচুর আঁশ জাতীয় খাবার খাবেন।
৫। শর্করা পরিমিত পরিমাণে খেতে হবে।
ব্যায়ামের নিয়ম :
১। ৭ দিনে অন্ততঃ ৫ দিন ৩০ মিনিট করে মোট ১৫০ মিনিট হাঁটবেন।
২। সাঁতার কাটলে ২৫ মিনিট।
৩। সাইকেল চালালে ২০ মিনিট।
৪। ইয়োগা করলে অন্ততঃ ৪০ মিনিট।
যা করা নিষেধ :
১। কম খাবার খাওয়া নিষেধ।
২। চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া ওষুধ সেবন নিষেধ এবং
৩। দীর্ঘ সময় চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া নিজে নিজে ওষুধ সেবন নিষেধ
৪। মিষ্টি খাওয়া নিষেধ।
অতএব, ডায়বেটিস নিয়ে নিজে জানুন এবং অন্যকেও জানাতে সাহায্য করুন। ভয় দূর করুন। ডায়বেটিস মূলত কোনো রোগ না। অবহেলা এবং অসচেতনতার ফলে এই রোগটি বেড়ে গিয়ে দেহে জটিলতা তৈরি করে। ফলে পায়ের পাতা থেকে মাথার চুল পর্যন্ত নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে।
করণীয় :
১। বংশে থাকুক বা না থাকুক বছরে একবার জিআইটি পরীক্ষাটি করিয়ে নিন।
২। দেহের ওজন বাঞ্চিত রাখার চেষ্টা করুন।
৩। সুষম খাদ্যে অভ্যস্ত হোন।
৪। দিনের খাবারকে ৫–৬ ভাগে ভাগ করে খান।
৫। ধুমপান, মদ্যপান, জর্দা, তামাক ব্যবহার থেকে বিরত থাকুন।
৬। স্ট্রেচ মুক্ত জীবন ধারণ করুন।
৭। প্রতিদিন ৩০ মিনিট হলেও যে কোনো উপায়ে হাঁটার চেষ্টা করুন।
লেখক : ক্লিনিক্যাল নিউট্রিশনিস্ট ও কনসালটেন্ট, ল্যাব এইড হসপিটাল লিমিটেড, চট্টগ্রাম