জগাই কাকু ডাঙায় শুয়ে দিচ্ছিল চিৎসাঁতার,
কিশোর–বুড়ো অবাক ভেবে এটা কেমন পাথার!
উড়ছে ধুলো,মাটির ‘পরে আঁকছে নখের আঁচড়,
ধুলোর ডাঙা দেবেই পাড়ি তিনি বড্ড নাছোড়।
একস্থানেই থেমে আছে হাত–পা দোলায় খালি,
পানির বদল নাকে–মুখে ঢুকছে উড়ো বালি।
পিঁপড়ে বুঝি কামড়ে গেছে চুলকালো পিঠ নাড়ি,
বলল হেসে সুড়সুড়ি দেয় বোয়ালমাছের দাড়ি।
বলল আবার ডুব দেবো না লুঙ্গিটা বেশ ফাটা,
সেথায় আবার গুঁতো দেবে ট্যাংরামাছের কাঁটা।
কভু আবার হাত–পা গুলো জোরে দিল দোল সে,
বলল এবার পড়ল পিছে পুঁটি–টাকি–খোলসে।
গাঁয়ের সবাই দেখতেছিল কাকুর মজার নাটক,
হঠাৎ এসে জগাই কাকি করল তাকে আটক।
হচ্ছে কীসব! চেঁচায় কাকি চোখদুটিও রাঙায়,
বলল কাকু,শিখছি সাঁতার জল না খেয়ে ডাঙায়!