গত এক সপ্তাহের ব্যবধানে ব্যক্তিগত কাজে আমাকে দু’বার কুমিল্লা মাধ্যমিক উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ডে যাতায়াত করতে হয়েছে। সাধারণত লং জার্নির ক্ষেত্রে আমি দূরপাল্লার বাসে যাতায়াতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।এই প্রথম ট্রেনে ভ্রমনের সিদ্ধান্ত নিই। বিজয় এঙপ্রেস ট্রেন যোগে কুমিল্লা যাওয়ার উদ্দেশ্যে সকাল ৭টায় চট্টগ্রাম রেল স্টেশনে পৌঁছে দেখি যাত্রীরা যে যার মতো করে ট্রেনের বগি ও সিট নম্বর খুঁজতে ব্যস্ত। ব্লেকবোর্ডে লেখার চক দিয়ে ট্রেনের গায়ে নম্বর লিখে দেয়া হলেও কুয়াশাঘন ভোরে বিশেষ করে বয়সের ভারে ন্যূব্জ পুরুষ মহিলাদের ক্ষেত্রে তা বুঝে নিতে অসুবিধা হচ্ছিল। ট্রেনের ভেতরে মেঝেতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে ছিলো ময়লা। ট্রেন স্টেশন থেকে ছেড়ে যাবার অল্প কিছুক্ষণ আগে একজন ঝাড়ুদার এসে যাত্রীদের সরিয়ে ঝাড়ু দেয়া আরম্ভ করলে যাত্রীদের সাধারণের মধ্যে বিরূপ প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি হয়। তাছাড়া যাত্রী ওঠা নামার সময় প্রায় প্রতিটি স্টেশন থেকে বিভিন্ন খাবার ও ফলমূল বিক্রেতারা কোন রকম অনুমতি ছাড়া ট্রেনের মধ্যে অবাধে ঢুকে পড়ায় প্রতিনিয়ত যাত্রীরা নিরাপত্তাহীনতায় ভুগতে থাকে। কর্তৃপক্ষের চরম উদাসীনতার কারনে সাধারণ জনগণ ট্রেন ভ্রমণে আগ্রহ হারিয়ে ফেলছেন। আশাকরি রেলওয়ে কর্তৃপক্ষ উল্লিখিত বিষয়গুলো বিবেচনায় এনে যাত্রী সাধারণের জানমালের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণে এগিয়ে আসবেন।