চট্টগ্রাম ক্রিকেট আম্পায়ার্স এন্ড স্কোরার্স এসোসিয়েশন আয়োজিত ইস্পাহানী মাস্টার্স টি–টোয়েন্টি ক্রিকেট টুর্নামেন্টের চার সেমিফাইনালিষ্ট নির্ধারণ হয়ে গেছে আগেই। গত শনিবার ছিল নিয়ম রক্ষার দুটি ম্যাচ। এম এ আজিজ স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত দিনের প্রথম খেলায় ট্রিপল ‘এস’ মাস্টার্স ৪১ রানে এ্যামেচার ক্রিকেট ক্লাবকে পরাজিত করে। টসে জিতে ট্রিপল ‘এস’ মাস্টার্স প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে ৭ উইকেটে ১২৩ রান সংগ্রহ করে। দলের হয়ে মুসাব্বির রিয়াসত অপরাজিত ৩৫, সাইফুদ্দিন টিটু ২৬ এবং শাহ পরান নিশান ২২ রান করেন। অতিরিক্ত রান হয় ১৮। এ্যামেচার ক্লাবের হাসান সিরাজি এবং সলিম উল্লাহ প্রত্যেকে ২টি করে উইকেট নেন। জবাবে এ্যামেচার ক্রিকেট ক্লাব ২০ ওভারে ৯ উইকেট হারিয়ে ৮২ রান করতে সমর্থ হয়। দলের পক্ষে আলমগীর হোসেন অপরাজিত ১৭ এবং আলি বাহার ১৪ রান করেন। অতিরিক্ত রান হয় ১২। ট্রিপল ‘এস’ এর রবিউল হাসান এবং আবদুল্লাহ আল মাসুম ৩টি করে উইকেট নেন। ২টি উইকেট পান মো. তৌহিদ। এ খেলায় ম্যান অব দি ম্যাচ হন বিজয়ী দলের আবদুল্লাহ আল মাসুম। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন সিজেকেএস নির্বাহি কমিটির সদস্য আ ন ম ওয়াহিদ দুলাল। একই ভেন্যুতে দিনের অপর খেলায় লিজেন্ড ক্রিকেট ক্লাব ৬ উইকেটে হাক্কানি ক্রিকেট ক্লাবকে পরাজিত করে। দুটি দলই সেমিফাইনালে উঠে গেছে। গতকাল ছিল এ দু’দলের নিয়ম রক্ষার ম্যাচ। টসে জিতে হাক্কানি প্রথমে ব্যাট করে। নির্ধারিত ২০ ওভারে তারা ৪ উইকেট হারিয়ে ১৫৯ রান সংগ্রহ করে। দলের অধিনায়ক ইমরান হোসেন ৪৩ বলে সর্বোচ্চ ৬৯ রান করেন। এছাড়া কামরুজ্জামান মাসুদ ও গোলাম মোরশেদ ১৬ রান করে সংগ্রহ করেন। অপরাজিত ১৯ রান করেন আনসার উদ্দিন আহমেদ। রায়হান উদ্দিনও করেন ১৯ রান। অতিরিক্ত থেকে আসে ১৯ রান। লিজেন্ড ক্রিকেট ক্লাবের নাজমুল আলম ২টি উইকেট পান।
জবাবে লিজেন্ড ক্রিকেট ক্লাব ১৮.৫ ওভার খেলে ৪ উইকেট হারিয়ে ১৬০ রান তুলে নেয়। দলের বিদ্যুৎ দাশ গুপ্ত সর্বোচ্চ ৫৮ রান করেন। অন্যদের মধ্যে মাহফুজুল হক ২৯, আসিফ আহমেদ ১৫,নাজমুল আলম ৩০ এবং বেলাল জনি অপরাজিত ২১ রান করেন। এ খেলায় ম্যান অব দি ম্যাচ নির্বাচিত হন বিজয়ী দলের নাজমুল আলম। তার হাতে পুরস্কার তুলে দেন চট্টগ্রাম জেলা ফুটবল এসোসিয়েশনের সভাপতি এস এম শহীদুল ইসলাম।