ইরানি কমান্ডার জেনারেল কাসেম সোলেমানি হত্যার ঘটনায় যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিচার না হলে এ হত্যাকাণ্ডের বদলা নেওয়ার অঙ্গীকার করেছে ইরান। সোলেমানি হত্যার দ্বিতীয় বর্ষপূর্তিতে দেওয়া ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্ট ইব্রাহিম রাইসি এই অঙ্গীকার করেন। ইরানে সর্বোচ্চ নেতা আয়াতুল্লাহ আলি খামেনির পরই সবচেয়ে ক্ষমতাধর ব্যক্তি হিসেবে আলোচিত নাম কাসেম সোলেমানি। ইরানি রেভল্যুশনারি গার্ডের কুদস বাহিনীর এই কমান্ডার যুদ্ধক্ষেত্রে মিলিশিয়াদের উদ্বুদ্ধ করে এবং রাজনৈতিক নেতাদের সঙ্গে সংলাপ চালিয়ে মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে ইরানের প্রঙি যুদ্ধে সহায়তা করেছিলেন। ২০২০ সালের ৩ জানুয়ারি তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের নির্দেশে ইরাকের বাগদাদে চালক বিহীন বিমান (ড্রোন) হামলায় তিনি নিহত হন। সোমবার সোলেমানির মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষ্যে দেওয়া ভাষণে ইরানের প্রেসিডেন্ট রাইসি বলেন, জেনারেল সোলেমানিকে হত্যার অপরাধে ট্রাম্প এবং মাইক পম্পেওকে (সাবেক মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী) সুষ্ঠ একটি আদালতে বিচার করা না হলে, মুসল্লিরা আমাদের শহীদদের বদলা নেবে। তিনি আরও বলেন, হামলাকারী, খুনি ও মূল অপরাধী- যুক্তরাষ্ট্রের তৎকালীন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প- এর বিচার হতেই হবে এবং তা হতে হবে ইসলামিক আইনের আওতায়। ধর্মীয় অনুশাসন অনুযায়ী তার বিরুদ্ধে সাজার রায় হতে হবে। ইরানের ইসলামিক আইনের আওতায় নিহতের পরিবার অর্থ নিয়ে আপোস-মীমাংসায় যেতে রাজি না হলে খুনের অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত ব্যক্তির মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা যায়। ইরানের এটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ জাফর মোন্তাজেরি রাষ্ট্রীয় টিভিতে বলেছেন, ইরানের বিচার বিভাগীয় কর্মকর্তারা ৯ টি দেশের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করে সোলেমানি হত্যার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৭৪ জন মার্কিন নাগরিকসহ ১২৭ জনকে শনাক্ত করেছে।