আবাসন প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন রিহ্যাব চট্টগ্রাম আঞ্চলিক কমিটির চেয়ারম্যান ও কেন্দ্রীয় কমিটির ভাইস প্রেসিডেন্ট আব্দুল কৈয়ুম চৌধুরী বলেছেন, যে হারে নির্মাণ সামগ্রীর দাম বাড়ছে তা যদি চলতে থাকে আবাসন ব্যবসায়ীদের পথে বসতে হবে। এ ব্যাপারে সরকারকে দ্রুত পদক্ষেপ নিতে হবে। এই খাত টিকিয়ে রাখতে হলে প্রয়োজনে ট্যাক্স-ভ্যাট কমিয়ে সরকারকে আমাদের পাশে দাঁড়াতে হবে। তিনি বলেন, পরিস্থিতি এতই ভয়াবহ যে, এটি অনুধাবন করতে বিলম্ব হলেই আমাদেরকে চরম মূল্য দিতে হবে।
তিনি বলেন, নির্মাণ-সংশ্ল্লিষ্ট প্রতিটি পণ্যের দাম ৩৫-৪০ শতাংশ পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে। দাম বৃদ্ধির ফলে আবাসন ব্যবসা অনেকটা বন্ধের পথে। ফ্ল্যাটের বুকিং বাবদ অনেক গ্রাহকের সাথে আমাদের চুক্তি হয়েছে। এখন দাম বৃদ্ধির পরও আমরা তাদের কাছ থেকে আর বাড়তি টাকা নিতে পারব না। এর ফলে আমাদের লোকসানের মুখে পড়তে হচ্ছে।
আব্দুল কৈয়ুম চৌধুরী বলেন, দাম বৃদ্ধির পরিমাণ যদি সামান্য হতো তাহলে আমরা তা পুষিয়ে নিতে পারতাম। কিন্তু এখন পরিস্থিতি এমন যে তা পোষানো কোনোমতেই সম্ভব নয়। এভাবে চলতে থাকলে আমাদের প্রতিষ্ঠান বিক্রি করে দিতে হবে। নির্মাণ-সংশ্ল্লিষ্ট সব পণ্যের দাম বৃদ্ধির ফলে শুধু যে আবাসন ব্যবসায়ীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন তা নয়। এভাবে চলতে থাকলে সরকারের সমস্ত উন্নয়ন কার্যক্রমও বাধাগ্রস্ত হবে।
তিনি বলেন, আমরা হিসেব করে দেখেছি যে, প্রতি বর্গফুট ফ্ল্যাটে নির্মাণ ব্যয় গড়ে ৭শ থেকে ৮শ টাকা বেড়ে গেছে। বাড়তি এই টাকার যোগান কোত্থেকে আসবে তা নিয়ে আমাদেরকে চিন্তাভাবনা করতে হবে। এখন বাড়তি দামে ফ্ল্যাট বিক্রি করতে হবে। কিন্তু যেগুলো ইতোমধ্যে বিক্রির চুক্তি হয়েছে সেগুলোতে দাম বাড়ানো কঠিন। তবে এক্ষেত্রে আমাদের সবাইকে এগিয়ে এসে সমন্বয় করতে হবে। দাম বৃদ্ধি না করে কোনোভাবেই নির্মাণ কার্যক্রম অব্যাহত রাখা সম্ভব হবে না। ৫৫ হাজার টাকার রড ৯৩ হাজার টাকা হওয়ার ব্যাপারটি যদি সংশ্লিষ্টরা না ভাবেন তাহলে আবাসন ব্যবসায়ীদের অস্তিত্ব বিপন্ন হয়ে যাবে। আগামী দু-চারদিনের মধ্যে রিহ্যাব নেতৃবৃন্দ বসে করনীয় নির্ধারণ করবেন বলে তিনি উল্লেখ করেন।












