টেস্ট ক্রিকেটকে বিদায় বললেন রুবেল হোসেন

ক্রীড়া প্রতিবেদক | মঙ্গলবার , ২০ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৫:৫০ পূর্বাহ্ণ

দলে জায়গা নেই বেশ কিছুদিন ধরে। হয়তো সামনে দলে ঢুকার সম্ভাবনাও নেই তেমন। তাই সেটা বেশ ভালভাবেই যেন বুঝতে পারছেন রুবেল হোসেন। তাইতো সাদা পোশাকের ক্রিকেটকে বিদায় বলে দিলেন এই পেসার। যদিও টেস্ট ক্রিকেটে তার রেকর্ড মোটেও সুখকর নয়। ২৭ টেস্ট খেলে উইকেট নিয়েছেন ৩৬টি। টেস্ট ক্রিকেটে ২০টির বেশি উইকেট শিকারি বোলারদের মধ্যে ইতিহাসের সবচেয়ে বাজে বোলিং গড় তার । হয়তো এই ফরম্যাটে আর নিজের ভবিষ্যত দেখছেননা। তাই নিজের সিদ্ধান্তের কথা নির্বাচকদের আগেই মৌখিকভাবে জানিয়েছিলেন রুবেল। ৩২ বছর বয়সী পেসার গতকাল সোমবার সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে জানান, বিসিবিতে চিঠি দিয়ে তিনি অবসরের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছেন আনুষ্ঠানিকভাবে। ২০০৯ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফর দিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে রুবেলের আবির্ভাব। অভিষেকে টেস্টে প্রথম ইনিংসে দারুণ বোলিং করে নিয়েছিলেন ৩ উইকেট। তবে সেই শুরুটা আর ধরে রাখতে পারেননি তিনি। পরের ৬ ইনিংস মিলিয়ে উইকেট ছিল মাত্র ১টি। ক্যারিয়ারের পঞ্চম টেস্টে ২০১০ সালে হ্যামিল্টনে স্বাদ পান ইনিংসে ৫ উইকেটের। তবে ২৯ ওভারে রান খরচ করেন ১৬৬। সেটিই প্রথম আর শেষ। এরপর আর কখনও ৫ উইকেট পাওয়া হয়নি তার। বেশির ভাগ সময়ই টেস্টে তিনি ধুঁকেছেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে নিয়মিত মুখ হলেও ২০১৪ সালের পর টেস্টে আর নিয়মিত সুযোগ পাননি তিনি। গত প্রায় ৮ বছরে টেস্ট খেলতে পেরেছে মাত্র ৫টি। তাতে উইকেট নিয়েছেন ৪টি। এর মধ্যে ৩টিই নিয়েছেন ২০২০ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে। টেস্ট ক্রিকেটের মতো প্রথম শ্রেণির ক্রিকেটে তার সার্বিক পরিসংখ্যাও উজ্জ্বল নয়। ৬০ ম্যাচ খেলে উইকেট কেবল ৯৭টি। অবসরের কারণ হিসেবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে রুবেল বললেন তরুণদের সুযোগ করে দেওয়ার কথা। বাংলাদেশ জাতীয় দলের পাইপলাইন শক্তিশালী করার ক্ষেত্রে লঙ্গার ভার্সন টুর্নামেন্টগুলো গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে। আমি মনে করি এই টুর্নামেন্টগুলোতে তরুণ পেসাররা যত বেশি সুযোগ পাবে, আমাদের পাইপলাইন তত মজবুত হবে। তাই তরুণ ক্রিকেটারদের সুযোগ করে দেয়ার জন্য আমি লাল বলের ক্রিকেট থেকে অবসরের সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তিনি বলেন বাংলাদেশের হয়ে ২৭টি টেস্ট ম্যাচ খেলার সৌভাগ্য হয়েছে আমার। যা আমার ক্যারিয়ারের অন্যতম অর্জন। আমি বিশ্বাস করি, লাল বলের ক্রিকেটে আন্তর্জাতিক ও ঘরোয়া ক্রিকেটের এই পথচলায় আমাকে যারা সহযোগিতা করেছেন, তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা। আশা করছি সামনের দিনগুলোতে আপনাদের পাশে পাব। তিনি বলেণ টেস্ট থেকে বিদায় নিয়েছি। তবে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে বাংলাদেশ জাতীয় দলকে আমার আরও কিছু দেয়ার মত সামর্থ্য আছে। তাই ডিপিএল, বিপিএলসহ অন্যান্য সাদা বলের টুর্নামেন্টে আমি নিয়মিত খেলা চালিয়ে যাব।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ক্রীড়া চক্র চুকবল কমিটি গঠিত
পরবর্তী নিবন্ধনারী সাফ চ্যাম্পিয়নশিপে সব পুরস্কার বাংলাদেশের