আর একটু হলে টেস্ট ইতিহাসের সর্বনিম্ন ইনিংসের রেকর্ডে নাম লেখা হয়ে যেতো ওয়েস্ট ইন্ডিজের। কিংস্টন টেস্টে তারা অলআউট হয়েছে মাত্র ২৭ রানে। এটি এখন টেস্টে দ্বিতীয় সর্বনিম্ন দলীয় স্কোর। লজ্জার রেকর্ডের এই তালিকায় এক নম্বরে আছে নিউজিল্যান্ড। ১৯৫৫ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ২৬ রানে গুটিয়ে গিয়েছিল কিউইরা। এটিই এখন পর্যন্ত ইতিহাসে সর্বনিম্ন। তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা নিউজিল্যান্ড নয়। টেস্ট ইতিহাসের সর্বনিম্ন ছয় দলীয় ইনিংসের মধ্যে চারটিই দক্ষিণ আফ্রিকার। নিউজিল্যান্ডের ২৬ আর ওয়েস্ট ইন্ডিজের ২৭ রানের পর তৃতীয় সর্বনিম্ন ইনিংসটি দক্ষিণ আফ্রিকার। ১৮৯৬ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে গেবেরহায় ৩০ রানে অলআউট হয়েছিল প্রোটিয়ারা। পরের তিনটি লজ্জার রেকর্ডও তাদেরই। ১৯২৪ সালে বার্মিংহ্যামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে করে ৩০ রান। ১৮৯৯ সালে একই দলের বিপক্ষে কেপটাউনে ৩৫ রানে অল আউট হয় প্রোটিয়ারা। ১৯৩২ সালে মেলবোর্নে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৩৬ রানে অলআউট হয়েছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। টাইগার ভক্তদের মনে নিশ্চয়ই একটা নীরব ভয় কাজ করছে। তবে বাংলাদেশ প্রথম ১০ সর্বনিম্ন টেস্ট স্কোরের লজ্জার রেকর্ডে নাই। বাংলাদেশের টেস্টে সর্বনিম্ন স্কোর ৪৩। ২০১৮ সালে নর্থ সাউন্ডে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে নিজেদের ইতিহাসে সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহের রেকর্ড গড়ে টাইগাররা। তবে টেস্ট ইতিহাসের সার্বিক রেকর্ডে এটি বেশ নিচের দিকে। বাংলাদেশের ৪৩ রানে অলআউট হওয়ার রেকর্ড আছে ১৪ নম্বর অবস্থানে। এর বাইরে সর্বনিম্ন ৩০ ইনিংসেও আর নাম নেই বাংলাদেশের।