কক্সবাজারের টেকনাফ উপকূলে ভেসে আসছে মৃত কচ্ছপ। সমপ্রতি কয়েকটি মৃত ভেসে এসেছে বলে জানিয়েছেন স্থানীয়রা। উপকূলের শাহপরীর দ্বীপ এলাকার নাফ নদীর মোহনা ও ঘোলার চর সমুদ্র সৈকতে গত রোববার ও গতকাল সোমবার দুইদিনে ভেসে এসেছে ২টি মৃত কচ্ছপ। স্থানীয় বাসিন্দা দিল মোহাম্মদ এ তথ্য জানান। মৃত অলিভ রিডলি বা জলপাই রঙের সামুদ্রিক কচ্ছপ দুটির ওজন আনুমানিক ২০ থেকে ২৫ কেজির বেশি।
শাহ পরীর দ্বীপ জেটিঘাটের দোকানদার আবু তালেব জানান, নাফ নদী থেকে জেটির পাশে জোয়ারের পানিতে ভেসে এসেছে মৃত একটি বড় কচ্ছপ। কচ্ছপটি পচে দুর্গন্ধ ছড়াচ্ছে। এতে পর্যটক ও স্থানীয়রা দুর্ভোগে পড়ছে। স্থানীয়রা ধারণা করছেন, কচ্ছপগুলো জেলেদের জালে আটকে, সমুদ্রে চলাচলকারী বড় নৌযানের ধাক্কায় এবং উপকূলে ডিম পাড়তে এসে মৃত্যু হয়ে থাকতে পারে।
পরিবেশ বিষয়ক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন এনভায়রনমেন্ট পিপলের প্রধান নির্বাহী রাশেদুল মজিদ বলেন, কক্সবাজার উপকূলীয় এলাকায় যে মৃত কচ্ছপ পাওয়া যাচ্ছে, এসব কচ্ছপের শরীরে আঘাতের চিহ্ন থাকে। সাগরে পুঁতে রাখা মাছ ধরার জালে আটকা পড়লে জেলেরা লাঠিসোটা দিয়ে পিটিয়ে কিংবা ধারালো অস্ত্র দিয়ে আঘাত করে কচ্ছপকে হত্যা করে সমুদ্রে নিক্ষেপ করে। জোয়ারের পানিতে কচ্ছপগুলো উপকূলে ভেসে এলে কুকুর খেয়ে ফেলেছে অথবা পচে দুর্গন্ধ ছড়ায়। জেলেদের সচেতন করা, ডিম দেওয়ার স্থানটি নিরাপদ পরিবেশ তৈরি এবং সৈকতে কুকুরের বিচরণ রোধ করা জরুরি। তা না হলে কচ্ছপ রক্ষা করা যাবে না।