টেকনাফে ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রীকে গণধর্ষণ আটক ১

টেকনাফ প্রতিনিধি | শনিবার , ২৬ নভেম্বর, ২০২২ at ৫:৫৭ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফে ষষ্ঠ শ্রেণির এক ছাত্রী গণধর্ষণের শিকার হয়েছে। এ ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করেছে পুলিশ। ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা অনুমানিক ৬ টায় টেকনাফ উপজেলার হোয়াইক্যং ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড কাঞ্জর পাড়া জলিলের বসতভিটায় এ ঘটনাটি ঘটে। এ ঘটনা নিয়ে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান বরাবরে সালিসি বৈঠক ও অন্যান্য কারণে থানায় অভিযোগ দায়ের করতে বিলম্ব হয়েছে বলে জানিয়েছেন মামলার বাদী ভুক্তভোগী ছাত্রীর বড় ভাই। এ ঘটনায় জড়িত হোয়াইক্যং উত্তর কাঞ্জর পাড়ায় বসবাসকারী টেকনাফ উপজেলার বাহারছড়া ইউনিয়নের ১নং ওয়ার্ড শামলাপুর নয়া পাড়ার মৃত খলিল আহমদ প্রকাশ মশা আলী খলিলের ছেলে রফিক উদ্দিনকে (৩০) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। মামলায় অভিযুক্ত অন্যরা হল- আব্দুল আমিন প্রকাশ নুরুল আলম (৩২) ও বাদশা (৪৫) সহ আরো অনেকে।

অভিযোগে জানা যায়, ভিকটিম টেকনাফ হোয়াইক্যং ইউনিয়নের একটি মাদ্রাসার ৬ষ্ঠ শ্রেণীর নিয়মিত শিক্ষার্থী। প্রতিদিনের ন্যায় ১৭ নভেম্বর সন্ধ্যা আনুমানিক ৬ টায় ভিকটিম পাশের বাড়ির জলিলের টিউবওয়েল থেকে কলসি নিয়ে খাওয়ার পানি আনতে যায়। ওই জায়গায় তখন রফিক উদ্দিন (৩০), আব্দুল আমিন প্রকাশ নুরুল আলম (৩২) ও বাদশা (৪৫) সহ আরো কয়েকজন বখাটে আড্ডা দিচ্ছিল। তারা একা পেয়ে ওই ছাত্রীকে মুখ চেপে ধরে পার্শ্ববর্তী জলিলের বসতভিটার ভেতরে নিয়ে যায়। এ সময় বাদশা গেট বন্ধ করে পাহারা দেয় এবং রফিক উদ্দিন ও নুরুল আলম তাকে ধর্ষণ করে। এক পর্যায়ে মেয়েটি চিৎকার দিলে আশেপাশের লোকজন এগিয়ে এলে তারা মেয়েটিকে একটি টমটম গাড়িতে তুলে নিয়ে যায়। তখন এলাকার লোকজন তাড়া করে। কিন্তু তারা দ্রুত ভিকটিমকে নিয়ে হোয়াইক্যং লম্বাবিল এলাকায় চলে যায়। সেখানে একটি বাড়িতে তাকে দুইদিন আটকে রাখে। এদিকে পরিবারের সদস্যরা দুই দিন যাবত খোঁজাখুঁজি করতে থাকে এবং স্থানীয় চেয়ারম্যানকে বিষয়টি জানানো হয়।
পরে ১৯ নভেম্বর সকালে ঘটনা কাউকে বললে বা প্রশাসনকে জানালে ভিকটিমকে হত্যার হুমকি দিয়ে হোয়াইক্যং আমতলী রাস্তার মাথায় ছেড়ে দেয় ধর্ষণকারীরা। এদিকে ঘটনাটি জানার পরও চেয়ারম্যান কোনো ধরনের সুরাহা না করায় গত ২৩ নভেম্বর মেয়েটির ভাই থানায় অভিযোগ দায়ের করেন।

অভিযোগ পাওয়ার পর টেকনাফ মডেল থানার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক নাছির উদ্দীন মজুমদার প্রধান আসামি রফিক উদ্দিনকে আটক করে আদালতে সোপর্দ করেন। মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল হালিম জানান, ছাত্রী ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত একজনকে আটক করা হয়েছে এবং অন্য আসামিদের ধরতে তৎপর রয়েছে পুলিশ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধনেদারল্যান্ডসের সাথে ড্রয়ে ইকুয়েডরের সম্ভাবনা উজ্জ্বল
পরবর্তী নিবন্ধতাজিংডং নাকি সাকা হাফং