টেকনাফে ২ কেজি আইসসহ গ্রেপ্তার ৪

৪০০ বস্তা সিমেন্টসহ বোট জব্দ

টেকনাফ প্রতিনিধি | মঙ্গলবার , ৬ জুন, ২০২৩ at ৫:২৩ পূর্বাহ্ণ

টেকনাফে বিজিবি অভিযান চালিয়ে ২ কেজি ১১৭ গ্রাম আইস, ৪০০ বস্তা সিমেন্টসহ একটি ইঞ্জিনচালিত বোট জব্দ করেছে। এ সময় রোহিঙ্গাসহ চার জনকে আটক করা হয়। গত রোববার দিবাগত রাতে টেকনাফের দমদমিয়া জালিয়ারদ্বীপ নাফ নদী পয়েন্টে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়েছে বলে নিশ্চিত করেছেন টেকনাফ ব্যাটালিয়ন (২ বিজিবি) অধিনায়ক লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

আটকরা হলেন উখিয়া কুতুবপালং ২ নং রোহিঙ্গা ক্যাম্পের এ/১ ব্লকের আব্দুদের ছেলে মো. জুবায়ের (৩০), টেকনাফ পৌরসভা ৭ নং ওয়ার্ড জালিয়াপাড়া মো. কামাল হোসেনের ছেলে মো. সাদেক হোসেন (২৯), সেন্টমার্টিন ইউনিয়নের ৭ নং ওয়ার্ড কোনাপাড়ার আব্দুর রহমানের ছেলে মো. হামিদুর রহমান (১৯) ও মো. বাবুলের ছেলে মো. ইমরান (১৯)

লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ জানান, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে ৪ জুন রাতে জালিয়ারদ্বীপ এলাকায় বিজিবি অবস্থান গ্রহণ করে। রাত সাড়ে ৮টার দিকে সন্দেহভাজন একটি ইঞ্জিনচালিত কাঠের বোটকে তল্লাশির জন্য থামানো হয়। এ সময় বোটের আরোহী একজন মিয়ানমারের ও তিনজন বাংলাদেশি নাগরিককে তল্লাশি এবং জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তাদের স্বীকারোক্তিতে বোটে থাকা সিমেন্টের বস্তার নিচ হতে ২ কেজি ১১৭ গ্রাম ক্রিস্টাল মেথ (আইস) পাওয়া যায় । এ সময় অবৈধভাবে মাদকদ্রব্য বহনের দায়ে বোট এবং বোটে থাকা ৪০০ বস্তা সিমেন্টও জব্দ করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে আটকরা জানান, ইঞ্জিন চালিত বোটটি তিনজন বাংলাদেশি নাগরিকসহ ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে সেন্টমার্টিন থেকে ভাড়া করে টেকনাফ স্থল বন্দরে নিয়ে আসা হয়। টেকনাফ স্থল বন্দর থেকে ৪০০ বস্তা সিমেন্ট বোটে লোড করে এবং সিমেন্টের বস্তার নিচে মাদকদ্রব্য লুকিয়ে রাখা হয়। এসব মাদকদ্রব্য হোয়াইক্যং এলাকা দিয়ে বাংলাদেশে পাচার করে এবং বোটটি সিমেন্ট নিয়ে মিয়ানমারের উদ্দেশ্যে চলে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল বলে জানা যায়। আটক মিয়ানমার নাগরিক জুবায়ের রোহিঙ্গা সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের সক্রিয় সদস্য। তার কাছে একটি ইউনিফর্মের ক্যাপ পাওয়া যায় যা সন্ত্রাসী নবী হোসেন গ্রুপের ইউনিফর্মের ক্যাপ। উক্ত সিমেন্টের মালিকও নবী হোসেন।

বিজিবি অধিনায়ক আরও জানান, টেকনাফ স্থল বন্দরে মিয়ানমার থেকে বড় কার্গো বোটের মাধ্যমে যে সকল পণ্য আমদানি করা হয়, সে সকল পণ্য বন্দরে খালাস করার পর পুনরায় উক্ত কার্গো বোটের মাধ্যমে বাংলাদেশ থেকে মিয়ানমারে পণ্য রপ্তানি করা হয়। কিন্তু টেকনাফ বন্দর থেকে বাংলাদেশি বোটে করে কোনো পণ্য মিয়ানমারে রপ্তানি করা হয় না। এছাড়া রাতের অন্ধকারে বন্দর থেকে ইঞ্জিন চালিত কাঠের বোটটি টেকনাফ বন্দরের উত্তর দিকে হোয়াইক্যংয়ের উদ্দেশ্যে যাওয়ার পরিকল্পনা ছিল, যা সম্পূর্ণ অবৈধ।

জব্দকৃত সিমেন্ট এবং কাঠের বোট টেকনাফ শুল্ক গুদামে জমা করে আসামিদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার জন্য টেকনাফ মডেল থানায় হস্তান্তর কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন বলে জানান লে. কর্নেল মো. মহিউদ্দীন আহমেদ।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্যাম্পে রোহিঙ্গা যুবককে গুলি করে হত্যা
পরবর্তী নিবন্ধহাইকোর্টে ডা. সাবরিনার জামিন, মুক্তিতে বাধা নেই