কক্সবাজারের টেকনাফে বাড়ি ফেরার পথে অপহরণের শিকার সেই মাদ্রাসা ছাত্রকে ২১ দিন পর উদ্ধারের কথা জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল শনিবার রাত ৮টার দিকে বিষয়টি জানান টেকনাফ থানার ওসি মুহাম্মদ ওসমান গণি। পাশাপাশি এই অপহরণের ঘটনায় জড়িত চক্রের সবাইকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলেও দাবি করেন ওসি। তবে শিশুটিকে উদ্ধার বা গ্রেপ্তার অভিযানের বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি পুলিশ। এ ব্যাপারে রোববার সকালে টেকনাফ থানায় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে বিস্তারিত তুলে ধরা হবে বলে জানান ওসি ওসমান গণি। খবর বিডিনিউজের।
গত ৯ মার্চ দুপুরে মাদ্রাসা থেকে বাড়ি ফেরার পথে টেকনাফের হ্নীলার পূর্ব পানখালী এলাকা থেকে অপহরণের শিকার হয় ছয় বছর বয়সি শিশুটি। সে পূর্ব পানখালী এলাকার আবু হুরাইরা (রা.) মাদ্রাসার প্রথম শ্রেণির ছাত্র।
শিশুটির মায়ের বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, শিশুটি প্রতিদিনের মত গত ৯ মার্চ সকালে স্থানীয় আবু হুরাইরা (রা.) মাদ্রাসায় পড়তে যায়। সেখান থেকে দুপুরে বাড়ি ফেরার পথে সে অপহরণের শিকার হয়। পরে তার মা ঘটনাটি থানা পুলিশকে লিখিতভাবে জানান। পুলিশ ঘটনাস্থলের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ সংগ্রহ করে। শিশুটিকে বোরকা পরা এক নারী একটি অটোরিকশায় তুলে নিতে সিসি ক্যামেরার ফুটেজে দেখতে পায় পুলিশ।
পরদিন অর্থাৎ ১০ মার্চ অভিযান চালিয়ে অপহরণে ব্যবহৃত অটোরিকশাটির চালক ও এক নারীসহ পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করে। পাঁচজনই রোহিঙ্গা। অপরদিকে, ২১ দিন পর পুলিশ শিশুটি উদ্ধারসহ পুরো চক্রের সবাইকে গ্রেপ্তারের খবর জানাল। পুলিশের তথ্য বলছে, গত এক বছরে টেকনাফের বিভিন্ন এলাকা থেকে ১১৭ জনকে অপহরণের ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে ৫৯ জন স্থানীয় বাসিন্দা, বাকিরা রোহিঙ্গা নাগরিক। ভোক্তভুগিদের স্বজনদের দেওয়া তথ্য বলছে, অপহরণের শিকার ব্যক্তিদের মধ্যে অন্তত ৫১ জন মুক্তিপণ দিয়ে ছাড়া পেয়েছেন।