টিসিবির আড়াই হাজার লিটার তেল অবৈধভাবে মজুদ

দোকান মালিকসহ গ্রেপ্তার ৪

আজাদী প্রতিবেদন | বুধবার , ১২ জুলাই, ২০২৩ at ৪:৪৭ পূর্বাহ্ণ

নগরের বায়েজিদ বোস্তামী থানা এলাকার বিসিএসআইআর গবেষণাগারের বিপরীতে কালাম স্টোর থেকে অবৈধভাবে মজুদ করা ট্রেডিং কর্পোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) লোগোযুক্ত ২ হাজার ৫৫২ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে র‌্যাব। এ সময় দোকানের মালিকসহ চারজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। গত সোমবার রাতে তেল জব্দ ও গ্রেপ্তারের ঘটনা ঘটে। ধৃতরা হচ্ছেন দোকান মালিক লক্ষ্মীপুর জেলার ধর্মপুর থানার আবুল কালামের ছেলে মো. খোরশেদ আলম (৪০), চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলার ভোলাহাট থানার আদাতলা এলাকার ইলিয়াছের ছেলে আব্দুস সালাম (৪৭) ও মো. নয়ন (২২) এবং একই জেলার গোমস্তাপুর থানার সাগরুইল এলাকার মো. এনামুল হকের ছেলে আল হাদী (২৪)

সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে র‌্যাব জানায়, টিসিবির সয়াবিন তেল খোলা বাজারে সাধারণ মানুষের নিকট স্বল্পমূল্যে বিক্রি না করে অধিক মুনাফা লাভের আশায় অবৈধভাবে কালাম স্টোরে মজুদ করে রেখেছেগোপন সংবাদে পাওয়া এই তথ্যের ভিত্তিতে দোকানটিতে অভিযান চালিয়ে ৪ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দোকানটি থেকে টিসিবির লোগোযুক্ত তেল জব্দ করা হয়।

র‌্যাব জানায়, ধৃতরা দীর্ঘদিন ধরে দোকানে মজুদ রেখে টিসিবির লোগোসম্বলিত সয়াবিন তেলের বোতলে অন্য লোগো লাগিয়ে বিক্রি করে আসছে। সরকার ভর্তুকি মূল্যে যেখানে টিসিবির তেল ১০০ টাকায় বিক্রি করার নির্দেশনা দিয়েছে, সেখানে তারা দোকানে তেল মজুদ রেখে অন্য সাধারণ পণ্যের মতো অধিক মূল্যে বিক্রি করছে। ফলে ভোক্তারা দীর্ঘ সময় লাইনে দাঁড়িয়েও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য পাচ্ছে না। ভবিষ্যতেও র‌্যাবের এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে।

র‌্যাবের চট্টগ্রাম জোনের সদর ক্যাম্প কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাহফুজুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, টিসিবির সয়াবিন তেল খোলা বাজারে ১০০ টাকায় প্রতি লিটার বিক্রির কথা। কিন্তু ধৃত খোরশেদ জানিয়েছে, তারা অবৈধ পন্থায় সংগ্রহ করা এসব তেল সরকার নির্ধারিত দামের চেয়ে বাড়তি দামে বিক্রি করত। তবে বাজারের অন্যান্য ব্র্যান্ডের চেয়ে কম দামে। এতে দ্রুত এসব তেল বিক্রি হয়ে যেত। আবার টিসিবির লোগো ফেলে অন্যান্য ব্র্যান্ডের লোগো লাগিয়ে বাড়তি দামেও বিক্রি করত।

তিনি বলেন, টিসিবির তেল তারা কাউন্সিলরদের কাছ থেকে সংগ্রহ করত বলে আমরা তথ্য পেয়েছি। কাউন্সিলরদের কাছে তালিকাভুক্ত দরিদ্র শ্রেণির লোকজনের কাছে বিক্রির জন্য টিসিবি যে তেল সরবরাহ করে সেগুলো তারা সংগ্রহ করে দোকানে মজুদ করে রেখেছিল। কাউন্সিলরদের বিষয় আমরা তদন্ত করে দেখছি। তবে তাৎক্ষণিকভাবে কোনো কাউন্সিলের নাম পেলে গ্রেপ্তার করতাম।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকৌতুক কণিকা
পরবর্তী নিবন্ধটাকা-রুপি ডেবিট কার্ড ডিসেম্বরে : গভর্নর