টিম্বার কোম্পানির লাইসেন্সে কন্টেনার ডিপো

কালুরঘাটের সাবের কন্টেনার ডিপোকে দুই লাখ টাকা জরিমানা

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১৬ জানুয়ারি, ২০২৩ at ৭:৪৭ পূর্বাহ্ণ

ট্রেড লাইসেন্স ও ফায়ার লাইসেন্সের সাথে ব্যবসার ধরনের কোনো মিল নেই। টিম্বার কোম্পানি হিসাবে লাইসেন্স থাকলেও পরিচালিত হচ্ছে কন্টেনার ডিপো হিসেবে। গতকাল কালুরঘাটের ভারী শিল্প এলাকার হাজী সাবের টিম্বার কোম্পানি লিমিটেডে (কন্টেনার ডিপো) অভিযানে গেলে এ চিত্র দেখতে পান জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত। অভিযানে প্রতিষ্ঠানটির এজিএম মো. এনামুল হককে ২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে। পাশাপাশি এক মাসের মধ্যে সব রকম ত্রুটি বিচ্যুতি সংশোধন করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। শীতের মধ্যে বড় ধরণের অগ্নি দুর্ঘটনা রোধে ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে প্রতিষ্ঠানটিকে এ জরিমানা করা হয়। এ সময় ফায়ার সার্ভিসের টিমও উপস্থিত ছিল। অভিযানে ব্যাপক অনিয়ম দেখা যায় উল্লেখ করে ম্যাজিস্ট্রেট প্রতীক দত্ত বলেন, ২০২১ সালের ২১ জুন প্রতিষ্ঠানটির ফায়ার লাইসেন্সের মেয়াদ শেষ হয়। এর মধ্যে গত বছর বিএম ডিপোর ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড দেখতে হয়েছে। এত বড় দুর্ঘটনার পরও সাবের কন্টেনার ফায়ার লাইসেন্স নবায়ন করেনি। প্রতিষ্ঠানটি গত বছরের ৭ জুন এ নবায়নের জন্য আবেদন করে। কিন্তু পর্যাপ্ত অগ্নি নির্বাপণ ব্যবস্থা না থাকায় এবং সেফটি প্ল্যান না থাকায় ফায়ার সার্ভিস কর্তৃপক্ষ লাইসেন্সের নবায়ন স্থগিত রাখে। ম্যাজিস্ট্রেট বলেন, ডিপোর ভিতরে গিয়ে দেখা যায়, একটি খালি কন্টেনারে অবৈধভাবে প্রায় ২০০ ড্রাম ডিজেল মজুদ করা হয়েছে। ড্রামগুলোর বেশ কয়েকটির মুখ খোলা এবং পাশেই পড়ে রয়েছে প্রচুর সিগারেটের ছাই ও অবশিষ্টাংশ। ডিপোতে নেই পর্যাপ্ত সিসিটিভি ক্যামেরা। এছাড়া গত ১৪ বছর ডিপো চালনা করলেও ফায়ার সেফটি প্ল্যান অনুমোদনের জন্য প্রতিষ্ঠানটি কোনো ব্যবস্থাই নেয়নি।

বাংলাদেশ ন্যাশনাল বিল্ডিং কোড অনুযায়ী ২০ একরের এই ডিপোতে প্রায় দেড় হাজার কন্টেনার থাকার কথা থাকলেও ছিল মাত্র ৩৫ টি, যার বেশিরভাগই অকেজো। ডিপোতে ১০০ জন বেতনভুক্ত কর্মচারী থাকলেও ফায়ারের প্রশিক্ষণ রয়েছে মাত্র ৪ জনের। তাদের কেউই ফায়ার এঙটিংগুইসার ব্যবহার করতে জানেন না। ডিপোতে ছিল না কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর থেকে পাস করা কোনো লে আউট প্ল্যান। এ বিষয়ে জেলা প্রশাসক আবুল বাসার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান বলেন, যাদের ফায়ার লাইসেন্স নেই বা লাইসেন্স থাকলেও ত্রুটি বিচ্যুতির কারণে মানুষের প্রাণহানি ঘটতে পারে, এ ধরণের প্রতিষ্ঠানের কোনো ছাড় নেই। বিএম ডিপোর মত ঘটনা যেন আর এই চট্টগ্রামে না ঘটে সেজন্য জেলা প্রশাসন সচেতন রয়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএটা রান্নাঘরের আগুন না, কেউ লাগিয়ে দিয়েছে
পরবর্তী নিবন্ধসভাপতি-সম্পাদকের দ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে, মানববন্ধন আজ