টিকা নেওয়ার পর অ্যান্টিবডি টেস্ট কি জরুরি?

| বুধবার , ৭ এপ্রিল, ২০২১ at ৭:০৮ পূর্বাহ্ণ

রোগ-প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ল কিনা, টিকা কি কার্যকর? কত প্রশ্ন জাগে মনে। এক বছরের মহামারীতে কিছুটা স্বস্তির নিশ্বাস বয়ে এনেছিল টিকা। তবে সেই স্বস্তিই যেন কাল হয়ে দাঁড়াল। বর্তমানে করোনাভাইরাস সংক্রমণ গত বছরের চেয়েও দ্রুত গতিতে বাড়ছে। পরিস্থিতি সামাল দিতে আবারও শুরু হয়েছে দেশব্যাপী লকডাউন। টিকার কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য টিকা গ্রহণের পর কিছু সতর্কতা অবলম্বনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছিল। টিকার কিছু পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া আছে আর সেগুলোর মধ্যে কয়েকটিকে ধরা হয় টিকার কার্যকারিতার লক্ষণ।
ওষুধের তুলনায় টিকা ভিন্ন। সেটা কাজ করছে কিনা বুঝতে সময় লাগে। অনেক টিকা একবার নিলেই সারাজীবনের মতো একটি নির্দিষ্ট রোগের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ ব্যবস্থা তৈরি হয়। তবে করোনাভাইরাসের জন্য এমন টিকা এখনও তৈরি হয়নি। ফলে টিকা গ্রহণকারীদের মনে স্বভাবতই প্রশ্ন আসবে টিকা আসলেই কাজ করছে তো? খবর বিডিনিউজের।
অপরদিকে করোনাভাইরাসও মিউটেশনের মাধ্যমে তার বৈশিষ্ট্য পাল্টাচ্ছে। ফলে টিকা আসলেই কাজ করছে কিনা সেসব প্রশ্নও জাগতে পারে। এক্ষেত্রে টিকা নেওয়ার পর অ্যান্টিবডি টেস্ট করানো কি আবশ্যক?
মহামারীর বর্তমান তীব্রতা জানার প্রধান উপায় হলো নতুন করোনা সংক্রমণ পরীক্ষা করানো। অ্যান্টিবডি টেস্ট হলো করোনার বিরুদ্ধে লড়াই করার কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা শরীরে তৈরি হয়েছে কিনা সেই পরীক্ষা। দুটি পরীক্ষার ওপরেই মানুষ এখন জোর দিচ্ছেন। বিশেষত যারা টিকা নিয়েছেন তাদের ইমিউনিটি তৈরি হয়েছে কিনা সেটা জানতে অ্যান্টিবডি টেস্ট করছেন।
আন্তর্জাতিক মাপকাঠিতে অ্যান্টিবডির সংখ্যা ‘১০-১০০০ আই-ইউ’ হলে তাকে ধরা হয় সুরক্ষিত। বিশেষজ্ঞদের মতে, টিকার মাধ্যমে অ্যান্টিবডি কাউন্ট পৌঁছাতে পারে ৩০০ পর্যন্ত। তবে শুধুই সংখ্যার হিসেবে সুরক্ষা নিশ্চিত হওয়াও সম্ভব নয়। যেমন সুরক্ষা দেওয়া মতো পর্যাপ্ত অ্যান্টিবডি থাকার পরও ভিন্ন কোনো জটিলতার কারণে সেই অ্যান্টিবডি নিষ্ক্রিয় থেকে যেতে পারে। যারা ইতোমধ্যে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন তাদের ক্ষেত্রেও এমনটা হতে পারে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধমহামারীর এক বছরে ২৪ ঘণ্টায় সর্বোচ্চ মৃত্যু ও শনাক্ত
পরবর্তী নিবন্ধবাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্য বাড়াতে নীতি সহায়তায় জোর প্রধানমন্ত্রীর