টিকটক যখন মৃত্যুর কারণ

মো. সাইফুল মিয়া | মঙ্গলবার , ১৯ জুলাই, ২০২২ at ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ

স্মার্টফোনের যুগে আলোচিত একটি অ্যাপের নাম ‘টিকটক’। সাধারণত নিজেকে পরিচিত করা ও দর্শকদের বিনোদন দেয়ার জন্যই টিকটকের সাহায্যে ভিডিও প্রচার করা হয়। কিন্তু মাঝে মধ্যে এমন কিছু ঘটনা ঘটেছে যার জন্য সেই প্রচারকারীকে বহু হয়রানির শিকার হয়েছে। আবার অনেকের জীবনের ইতি টানতে হয়েছে। তাই বর্তমান প্রজন্মের তরুণ-তরুণীদের মধ্যে এটি মৃত্যুফাঁদ হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে। সম্প্রতি প্রকাশিত বাংলাদেশ মুঠোফোন গ্রাহক অ্যাসোসিয়েশনের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, চলতি বছরে টিকটক করতে গিয়ে ১০ জন তরুণ-তরুণী প্রাণ হারিয়েছে।

মূলত করোনাকালীন সময়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় কিশোর-কিশোরীদের সময় কাটানোর মাধ্যম হিসেবে টিকটকের ব্যবহার শুরু হয়েছিল। সারাদিন ভিডিও করা নিয়ে ব্যস্ত থাকার কারণে একটা সময় তারা এটিতে আসক্ত হয়ে পড়ছে। এখন যেখানে পারে সেখানেই ফোনের ক্যামেরা চালু করে ভিডিও করা শুরু করে দেয়। চলন্ত ট্রেনের ছাদ, রেলব্রিজ, গাছের মগডাল, চলন্ত গাড়ি থামিয়েও ভিডি করতে দেখা যায়। টিকটকে গা ভাসিয়েছে আমাদের দেশের কিছুর মডেল ও নায়ক-নায়িকাসহ সংস্কৃতিকর্মীরা। বাদ যায়নি শিক্ষক, শিক্ষার্থী, আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরাও। অনেকেই শাস্তির সম্মুখীন হয়েছেন।

এছাড়া টিকটকের মাধ্যমে অপরাধে ঝুঁকছে উঠতি বয়সী কিশোর-কিশোরীরা। তাই এখনি তরুণ সমাজকে এ অ্যাপসের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে সচেতন করা জরুরি। তাছাড়া টিকটক বাংলাদেশের লাইসেন্সধারী কোনো প্রতিষ্ঠান নয়। এই প্রতিষ্ঠানটি বাংলাদেশ থেকে কয়েক হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আয় করে অথচ সরকার এটির থেকে কোনো প্রকার রাজস্ব পায় না। সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনা করে এটি বন্ধ করা জরুরি হয়ে পড়েছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধক্রাশ! একটি সর্বনাশা রোগ
পরবর্তী নিবন্ধসমপ্রীতির বিরুদ্ধে কালো হাত