টানা সপ্তম দিন শতাধিক মৃত্যু, কমেছে শনাক্ত

খুলনা ও ঢাকায় মৃত্যুতে ঊর্ধ্বগতি

| রবিবার , ৪ জুলাই, ২০২১ at ৬:২৪ পূর্বাহ্ণ

দেশে টানা তিন দিন আট হাজারের বেশি কোভিড-১৯ রোগী শনাক্তের পর এই সংখ্যা ৬ হাজারের ঘরে নামলেও দৈনিক মৃত্যু সপ্তম দিনের মতো ১শ’র বেশি রয়েছে। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর জানিয়েছে, গতকাল শনিবার সকাল পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় ৬ হাজার ২১৪ জনের মধ্যে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ধরা পড়েছে। মৃত্যু হয়েছে ১৩৪ জনের। শুক্রবার ৮ হাজার ৪৮৩ জনের মধ্যে সংক্রমণ এবং ১৩২ জনের মৃত্যুর খবর এসেছিল। গত তিন ধরে ৮ হাজারের বেশি রোগী শনাক্তের পর কঠোর লকডাউনের মধ্যে এই প্রথম তা দুই হাজারের মতো কমল। নতুন রোগীদের নিয়ে দেশে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা পৌঁছেছে ৯ লাখ ৩৬ হাজার ২৫৬ জনে। সরকারি হিসেবে এক দিনে সেরে উঠেছেন ৩ হাজার ৭৭৭ জন। তাদের নিয়ে এই পর্যন্ত সুস্থ হলেন ৮ লাখ ২৯ হাজার ১৯৯ জন। সেই হিসেবে দেশে এখন সক্রিয় রোগীর সংখ্যা ৯২ হাজার। অর্থাৎ প্রায় ১ লাখ ব্যক্তি এই মুহূর্তে সংক্রমণ নিয়ে রয়েছেন। আরও ১৩৪ জনের মৃত্যুতে দেশে মৃতের সংখ্যা পৌঁছেছে ১৪ হাজার ৯১২ জনে। খবর বিডিনিউজের।
গত কয়েক দিনের মতো খুলনা ও ঢাকা বিভাগে মৃত্যুর সংখ্যার ঊর্ধ্বগতি রয়েছে। এক দিনে খুলনায় ৩৯ এবং ঢাকায় ৩৮ জনের মৃত্যু ঘটেছে। এক দিনে নমুনা পরীক্ষা প্রায় আট হাজারের মতো কমেছে। শুক্রবার যেখানে ৩০ হাজারের বেশি নমুনা পরীক্ষা হয়েছিল, এক দিনে তা কমে দাঁড়িয়েছে ২২ হাজার ৬৮৭টি। নমুনা বিবেচনায় রোগী শনাক্তের হার এখনও ২৭ দশমিক ৩৯ শতাংশ, যা বিশেষজ্ঞদের ভাষায় উদ্বেগজনকই রয়েছে। এই পর্যন্ত ৬৬ লাখ ৯৩ হাজার নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় সার্বিক শনাক্তের হার রয়েছে ১৩ শতাংশের উপরে।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের হিসাবে, এক সপ্তাহের ব্যবধানে নমুনা পরীক্ষা বেড়েছে ১৯ দশমিক ৪৬ শতাংশ। রোগী শনাক্তের হার বেড়েছে ৫০ শতাংশ। মৃত্যুও বেড়েছে ৪৬ শতাংশের মতো। গত এক দিনে আগের মতোই বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকা বিভাগে ৩ হাজার ৩৩২ জন। নমুনা পরীক্ষা বিবেচনায় শনাক্তের হার ২৮ শতাংশ। চট্টগ্রাম বিভাগে ৮৪৪, খুলনা বিভাগে ৫৩৯, রংপুর বিভাগে ৫৩২, রাজশাহী বিভাগে ৪২৬, সিলেট বিভাগে ২০৩, বরিশাল বিভাগে ১২২, ময়মনসিংহ বিভাগে ১৪৮ জন নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছে। জেলার হিসেবেও সবচেয়ে বেশি রোগী শনাক্ত হয়েছে ঢাকায় ২ হাজার ৮৫৪ জন। তারপরে রয়েছে দিনাজপুর (২৫৮), যশোর (২৫০), চট্টগ্রাম (২৬২), কুমিল্লা (১৭০), ফরিদপুর (১৪৮), সিলেট (১২২), পাবনা (১১৮), বগুড়া (১১২), কঙবাজার (১০১), নোয়াখালী (১০২), রাজশাহী (১০০)।

পূর্ববর্তী নিবন্ধশেষ কেমোথেরাপির আগেই সব শেষ
পরবর্তী নিবন্ধমিশ্র ডোজ নিয়ে দেশে গবেষণার উদ্যোগ