জয় বাংলা ও দৈনিক আজাদী

নেছার আহমদ | রবিবার , ৬ মার্চ, ২০২২ at ৮:০৭ পূর্বাহ্ণ

২৫ ফেব্রুয়ারী ২০২২ তারিখে অধ্যাপক খালেদ শিশুসাহিত্য পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠানে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ, শিক্ষাবিদ, বঙ্গবন্ধু চেয়ার অধ্যাপক ড. মুনতাসীর মামুন প্রধান অতিথির বক্তব্যে বলেন, ‘অধ্যাপক খালেদ ছিলেন একটি প্রতিষ্ঠান। সংবিধান রচনার সাথে থাকতে পারা গৌরবের। এমন সুযোগ মানুষের জীবনে একবারই আসে। আজাদীও একটি ঐতিহ্যবাহী প্রতিষ্ঠান। অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ এবং আজাদী অবিচ্ছেদ্য অংশ। আজাদী বঙ্গবন্ধুকে নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু-আজাদী পুরস্কার’ নামে একটি পুরস্কার প্রবর্তন করতে পারে’।
ড. মুনতাসীর মামুনের বক্তব্যের প্রেক্ষিতে বলা যায়, দৈনিক আজাদী স্বাধীনতার প্রথম সংবাদপত্র। ১৭ ডিসেম্বর ১৯৭১ বিজয়ের পরের দিন দৈনিক আজাদীর প্রধান হেড লাইন ছিল ‘জয় বাংলা, বাংলার জয়’।
মুসলিম লীগ নেতা ফজলুল কাদের চৌধুরীকে বিপুল ভোটে পরাজিত করে যিনি ইতিহাস সৃষ্টি করেছিলেন তিনি হলেন আজাদীর প্রয়াত সম্পাদক অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদ। বর্তমান সরকার অধ্যাপক মোহাম্মদ খালেদকে রাষ্ট্রীয় সর্বোচ্চ পুরস্কার ‘স্বাধীনতা পুরস্কারে’ ভূষিত করেছেন।
একুশের প্রথম কবিতা ‘কাঁদতে আসিনি, ফাঁসীর দাবি নিয়ে এসেছি’ প্রকাশ করেছিলেন আজাদীর প্রতিষ্ঠাতা ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ আবদুল খালেক কোহিনূর প্রেস থেকে। তাঁর সুযোগ্য উত্তরাধিকারী আজাদীর বর্তমান সম্পাদক এম. এ. মালেক এবার একুশ পদক পেয়েছেন। দৈনিক আজাদী যেভাবে জাতিকে দিয়েছে, দেশও আজাদীকে অনেকভাবে সম্মানিত করেছে।
স্বাধীন বাংলাদেশের সংবাদপত্রের জগতে এতগুলো অর্জন অন্য কোনো সংবাদপত্রের নেই। সে হিসেবে দৈনিক আজাদী অনন্য এক মর্যদার আসনে আসীন। দৈনিক আজাদীর ‘স্বাধীনতা পুরস্কার’ অর্জন এখন সময়ের দাবি।
যে বিষয় নিয়ে শুরু করেছিলাম “স্বাধীনতার প্রথম প্রকাশিত পত্রিকা দৈনিক আজাদীর নিউজ হেড লাইন “জয় বাংলা, বাংলার জয়” নিয়ে সম্প্রতি ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে (ভার্চ্যুয়ালি) অনুষ্ঠিত মন্ত্রীসভার বৈঠক শেষে এ সিন্ধান্তের কথা জানান হয়। কোন কোন ক্ষেত্রে ‘জয় বাংলা’ বলতে হবে, সেটি বলতে গিয়ে মন্ত্রীপরিষদ সচিব বলেন, যেমন সাংবিধানিক পদাধিকারী ব্যক্তি, রাষ্ট্রের সব কর্মকর্তা কর্মচারী, রাষ্ট্রীয় বা সরকারী অনুষ্ঠান শেষে ‘জয় বাংলা’ বলবেন। এ ছাড়া সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের অ্যাসম্বলি, সভা, সেমিনারের ক্ষেত্রে ‘জয় বাংলা’ বলতে হবে।
এখানে উল্লেখ্য যে, ২০১৭ সালে সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ড. বশির আহম্মেদ ‘জয় বাংলা’কে জাতীয় স্লোগান হিসেবে ঘোষণা চেয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন, অনেক যাচাই বাচাই ও শুনানি শেষে ২০২০ এর ১০ মার্চ বাংলাদেশ হাইকোর্টের মহামান্য বিচারপতি নাজমুল আহসান ও বিচারপতি কামরুল কাদের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ ‘জয় বাংলা’ স্নোগানকে বাংলাদেশের জাতীয় স্লোগান হিসেবে গ্রহণের জন্য রায় প্রদান করেন। সে আলোকে ‘জয় বাংলা’ এখন আমাদের জাতীয় সম্পদ এবং জাতীয় স্লোগান।
আমাদের দেশে ইতিহাস চর্চার বড় একটি সমস্যা হলো নির্মোহ হতে না পারা। যে ঘটনাগুলো আমাদের জীবনকালে ঘটেছে বা আমাদের অনেকে যেসব ঘটনার সাথে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িত তারা এসব ঘটনাগুলোকে ঘিরে এক ধরনের আবেগ অনুভব করে। এ আবেগের সাথে জড়িত থাকে ভালোবাসা অথবা ঘৃণা। ফলে তারা যখন ইতিহাস লিখে তখন অনেক সময় সেখানে ভালোবাসা বা ঘৃণা তাড়িত হয়ে পড়ে। ফলে ইতিহাস একপেশে হয়ে যায় এবং তা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। এছাড়া ইতিহাস রচনার ক্ষেত্রে পর্যাপ্ত সূত্রের অভাব লক্ষ্যণীয়। নির্মোহ বা বদ্ধমূল ধারণা কিংবা রাজনৈতিক স্বার্থসিদ্ধির জন্য যে ইতিহাস তা পরবর্তীতে বাতিল হয়ে যায়।
স্বাধীনতার ৫০ বছর পূর্তির সময়কালে জাতির মূল প্রেরণাদায়ক শক্তি এবং আমাদের স্বাধীনতা সংগ্রাম ও মুক্তিযুদ্ধের এবং বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নির্দেশিত স্লোগান ‘জয় বাংলা‘র সংক্ষিপ্ত ইতিহাস, তথ্য উপাত্ত ও সূত্রের আলোকে এখানে তুলে ধরার চেষ্টা করছি।
‘জয় বাংলা’ শুধুমাত্র স্লোগান নয়। এটি আমাদের স্বাধীনতার মূল প্রেরণাদায়ক শক্তি। ১৯৭১ এর স্বাধীনতা সংগ্রামে মুক্তিযুদ্ধের সময় এ স্লোগান জনগণকে তাদের মুক্তিসংগ্রামে প্রবলভাবে প্রেরণা যুগিয়েছিল। ‘জয় বাংলা’র স্লোগানে সেদিন হানাদারদের হৃদয়কম্পন শুরু হতো এবং বাংলার মানুষ বিজয়ী শক্তি লাভ করতো, এটি ছিল জাতীয় ঐক্যের মূল শক্তি।
‘জয় বাংলা’ এর প্রাথমিক উৎপক্তি বিষয়ে জানা যায়, ব্রিটিশ বিরোধী আন্দোলনের সময়কালে মাদারীপুরের স্কুল শিক্ষক পুর্ণচন্দ্র দাস জেল জুলুম-নির্যাতনের শিকার হন। তাঁর আত্মত্যাগ ও স্বজাত্যবোধে মুগ্ধ হয়ে পূর্ণচন্দ্র দাসের কারামুক্তি উপলক্ষ্যে কালিপদ রায় চৌধুরীর অনুরোধে কবি নজরুল ইসলাম রচনা করে ১৯২২ সালে ‘ভাঙার গান’ গ্রন্থের “পূর্ণ অভিনন্দন” কবিতাটি। এ কবিতায় কাজী নজরুল ইসলাম প্রথম ‘জয় বাংলা’ শব্দটি ব্যবহার করেন। পরবর্তীতে কাজী নজরুল ইসলামের সম্পাদনায় প্রকাশিত নবপর্যায়ে নবযুগ পত্রিকায় ০৩ বৈশাখ, ১৩৪৯ বঙ্গাব্দ ১৯৪২ সাল সংখ্যার একটি প্রবন্ধ ‘বাঙালির বাংলা’ নামে প্রকাশিত হয় এ প্রবন্ধেও ‘জয় বাংলা’র উল্লেখ পাওয়া যায়।
১৯৪২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কলকাতায় ছিলেন। নবযুগ পত্রিকার সেই উদ্দীপ্ত প্রবন্ধ ‘বাঙালির বাঙলা’ বঙ্গবন্ধুকে দারুণভাবে উজ্জীবিত করেছিল। বিদ্রোহী কবি ও বাংলার জাতীয় কবি কাজী নজরুলের সে প্রবন্ধে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি বঙ্গবন্ধুকে আগ্রহী করে তোলে। যা পরবর্তীতে তিনি তাঁর দলের স্লোগান হিসেবে গ্রহণ করেছিলেন।
পরবর্তীতে মুক্তিসংগ্রামের চলমান আন্দোলনের সময়ে ১৯৬৯ এর ১৭ সেপ্টেম্বর শিক্ষা দিবস উপলক্ষ্যে কেন্দ্রীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে তিন দিন ব্যাপী কর্মসূচী ঘোষণা করে। সে কর্মসূচির ১ম দিন ১৫ সেপ্টেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মধুর ক্যান্টিনে একটি সাধারণ সভা ডাকা হয়। আহুত এ সভায় জিন্নাহ হলের (পরবর্তী নাম সূর্যসেন হল) রাষ্ট্র বিজ্ঞান বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র আফতাব উদ্দিন আহমদ সবাইকে চমকে দিয়ে চিৎকার দিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগানটি সর্বপ্রথম উচ্চারণ করেন। সাথে সাথে ইকবাল হলের (পরবর্তী সার্জেন্ট জহুরুল হক হল) ছাত্র চিশতি শাহ্‌ হেলালুর রহমানও ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। সাথে সাথে আরো কয়েকজন ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন।
৭০ এর ১১ জানুয়ারী, পল্টন ময়দানে আওয়ামী লীগের জনসভার মঞ্চের সামনের দিকে ‘জয় বাংলা’ লেখা একটি ব্যানার ঝোলানো ছিল। বিজ্ঞাপনী শিল্পী কামাল আহমেদ এটা ডিজাইন করেছিলেন। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এ সভার প্রধান বক্তা ছিলেন। মঞ্চের ওপর দাঁড়িয়ে ছাত্রনেতা সিরাজুল আলম খান প্রথম ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দেন। এ প্রথম ঢাকার একটি জনসভায় প্রকাশ্যে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান উচ্চারিত হয়। উপস্থিত জনতা এ স্লোগানে খুব সাড়া দেয়। তখন হতে এটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ছাত্র সমাজে জনপ্রিয় হয়ে পড়ে। ৭০ এর ৬ মে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নির্বাচনে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান বহুলভাবে প্রচার হয়।
১৯৭০ এর ৪-৬ জুন মতিঝিলের হোটেল ইডেনে আওয়ামী লীগের কাউন্সিল অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয়। পরবর্তীতে ৭ জুন ১৯৭০ রেসকোর্স ময়দানে আওয়ামী লীগের বিশাল জনসভা। এ সভায় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রথমবারের মত ‘জয় বাংলা’ স্লোগান প্রকাশ্যে উচ্চারণ করেন। পরবর্তীতে ১৯৭১ এর ৭ মার্চ ঐতিহাসিক ঢাকার রেসকোর্স ময়দানে লাখো লাখো বাঙালির উপস্থিতিতে ‘জাতির ম্যাগনাকাটা’ হিসেবে পরিচিতি ঐতিহাসিক ভাষণে তিনি স্বদম্ভে ঘোষণা করেন ‘জয় বাংলা’। এ ‘জয় বাংলা’র মাধ্যমে বঙ্গবন্ধু সেই দিন ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণের সমাপ্তি টানেন। ১৯৭১ এর ৭ মার্চের ভাষণের পর থেকে এটি সাধারণ মানুষের কাছে জনপ্রিয়তা লাভ করে এবং বাংলার মুক্তির ও ঐক্যের প্রতীক হিসেবে বিবেচিত হয়।
মুক্তিযুদ্ধ শুরু হওয়ার পর স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে নিয়মিত ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণ করা হতো। এ বেতার কেন্দ্রের প্রিয় সংগীত ছিল ‘জয় বাংলা বাংলার জয়’। ১১ এপ্রিল ১৯৭১ ইং স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্র থেকে প্রচারিত স্বাধীন বাংলার অস্থায়ী সরকারের প্রধানমন্ত্রী তাজউদ্দিন আহমদের প্রথম বেতার ভাষণটি শেষ হয়েছিল ‘জয় বাংলা’ স্লোগানের মধ্য দিয়ে।
‘জয় বাংলা’ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের আনুষ্ঠানিক স্লোগান। ‘জয় বাংলা’ ‘জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দু’টি নিয়মিত ব্যবহারে করেন। কিন্তু ‘জয় বাংলা’ মুক্তিযুদ্ধের প্রেরণাদায়ক ও মুক্তিযুদ্ধাদের উদ্দিপনা সৃষ্টিকারী ও জাতির ঐক্যের স্লোগান হলেও অন্যান্য সরকার ও দলের লোকেরা এটিকে আওয়ামী লীগের দলীয় স্লোগানের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখে।
আসলে মহান মুক্তিযুদ্ধে প্রেরণাদায়ক ও হৃদয় উৎসারিত স্লোগান ছিল ‘জয় বাংলা’। শুধু যুদ্ধের সময় যে যোদ্ধাদের হৃদয়ে এই স্লোগান শক্তি জুগিয়েছে তা নয়, সে সময় ছেলে-বুড়ো, নারী-পুরুষ, সবার জীবনেরই মন্ত্র ছিল ‘জয় বাংলা’নামের এ ছোট্ট কিন্তু অসীম শক্তিশালী এক স্লোগান। যুদ্ধের সময় যাঁরা শরণার্থী হয়ে ওপার বাংলায় আশ্রয় নিয়েছিলেন, তাঁরা ‘জয় বাংলা’র লোক বলে সেখানে ব্যাপকভাবে পরিচিতি লাভ করেন।
১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর যেন এক অলিখিত নির্দেশে নিষিদ্ধ হয়ে গেল ‘জয় বাংলা’ উচ্চারণ করা। ১৯৭৫ এর পরবর্তী ২১ বছর যেন বুকের ভেতর শ্বাস আটকে ছিল। কবি লিখেছেন, “আটকে ছিল অনেক বছর বুকেরই নিঃশ্বাস / বন্ধ ছিল হাসিখুশি-আনন্দ উল্লাস। এতোটা কাল হয়েনি সকাল, শুধুই ছিলো রাত/ চলছিল ঠিক গোনাগুনি কারার ধারাপাত। কারার আগুন সারা দেশে জ্বালিয়ে খেল সব / পালিয়ে গেল সুখের পাখি বুকের কলরব। ফুল ফোটে নি, চাঁদ ওঠে নি, গায় নি পাখি গান / আশার প্রাসাদ ভেঙে পড়ে, স্বপ্নরা খানখান। ক্ষয় করে সব শক্তি সাহস, জমলো বুকে ভয় / সাহস করে কেউ বলে নি জয় বাংলা জয়।”(২৩.০২.২০২২ দৈনিক আজাদীর সম্পাদকীয়)
সর্বশেষে বলতে চাই ‘জয় বাংলা’কে স্বাধীনতার পর প্রথম প্রকাশ করে বাংলার মানুষকে উদ্বেলিত করেছিল ‘দৈনিক আজাদী’। এক কথায় বলা যায় ‘দৈনিক আজাদী, অধ্যাপক খালেদ, এম. এ. মালেক এবং রাশেদ রউফ আমাদের জাতীয় সম্পদ। ‘দৈনিক আজাদী’কে স্বাধীনতার পদক দিয়ে সম্মানিত করে এ সম্পদগুলোকে সম্মানীত করা এখন জাতির নৈতিক দায়িত্ব। আমরা এ সুসংবাদের অপেক্ষায় রইলাম।
সূত্র : জয় বাংলা উইকিপিডিয়, মক্ত বিশ্বকোষ; বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা, উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ; মহিউদ্দিন আহমদ-এর ‘জাসদের উত্থান পতন: অস্থির সময়ের রাজনীতি’, প্রথমা প্রকাশন। মুনতাসীর মামুন সম্পাদিত, “কিশোর মুক্তিযুদ্ধ/ কোষ”।
লেখক : প্রাবন্ধিক; সম্পাদক, শিল্পশৈলী

পূর্ববর্তী নিবন্ধমনবৈচিত্র্য
পরবর্তী নিবন্ধদেশ হতে দেশান্তরে