জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপন নিয়ে হাই কোর্টের প্রশ্ন

| বুধবার , ১৭ আগস্ট, ২০২২ at ৫:৩৪ পূর্বাহ্ণ

চার ধরনের জ্বালানি তেলের দাম বাড়িয়ে গত ৫ আগস্ট জারি করা প্রজ্ঞাপন কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়েছে হাই কোর্ট। এক রিট আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল বিচারপতি মো. মজিবুর রহমান মিয়া ও বিচারপতি কাজী মো. ইজারুল হক আকন্দের হাই কোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করে।
আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের সচিব ও উপ-সচিব এবং বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন বিইআরসির চেয়ারম্যান, মন্ত্রিপরিষদ সচিব, আইন ও বিচার বিভাগের সচিব ও রাষ্ট্রপতির কার্যালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। গণশুনানি না করে জ্বালানি তেলের দাম বাড়ানোর বৈধতা নিয়ে আদালতে করা রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ ও আইনজীবী জ্যোর্তিময় বড়ুয়া। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অরবিন্দ কুমার রায়। খবর বিডিনিউজের।
ইউনুছ আলী আকন্দ বলেন, শুনানিতে আদালতে বলেছি, বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইন-২০০৩ এর ২২ এবং ৩৪ ধারা লঙ্ঘন করে এই সার্কুলার জারি করা হয়েছে। এখানে সংবিধানের ১৫ ও ৩১ অনুচ্ছেদও লঙ্ঘন করা হয়েছে। তিনি বলেন, এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন আইনের ৩৪ ধারায় বলা আছে যে, গণশুনানি করে এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন তেলের মূল্যবৃদ্ধি করতে পারে। কিন্তু এ আইনে সরকারকে তেলের মূল্যবৃদ্ধির ক্ষমতা দেওয়া হয়নি। মূল্যবৃদ্ধির ক্ষমতা এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের। সরকার রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এই মূল্যবৃদ্ধি করেছে, যা এনার্জি রেগুলেটরি কমিশনের ২২ এবং ৩৪ ধারার লঙ্ঘন। আদালত সন্তুষ্ট হয়ে রুল দিয়ে বিবাদীদের কাছে ব্যাখ্যা চেয়েছেন।
এর আগে গত ৮ আগস্ট জ্বালানি তেলের দাম বৃদ্ধির প্রজ্ঞাপনের কার্যকারিতা স্থগিত চেয়ে হাই কোর্টে রিট আবেদন করেন আইনজীবী ইউনুছ আলী আকন্দ। ওই রিট আবেদনে প্রজ্ঞাপনটি কেন আইনগত কর্তৃত্ববহির্ভূত করা হবে না এবং প্রজ্ঞাপনটি প্রত্যাহার বা বাতিল করতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তাও জানতে আদেশ চাওয়া হয়েছিল।

পূর্ববর্তী নিবন্ধধর্ষণ চেষ্টা মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
পরবর্তী নিবন্ধগোসলে নেমে নিখোঁজ পর্যটকের সন্ধান দুইদিনেও মেলেনি