জেল হত্যা : বাংলাদেশের ইতিহাসের এক কলঙ্কজনক অধ্যায়

ড. সেলিনা আখতার | বুধবার , ২ নভেম্বর, ২০২২ at ৭:৩০ পূর্বাহ্ণ

আগামীকাল ৩ নভেম্বর জেলহত্যা দিবস। ১৯৭৫ সালের পনেরই আগস্ট জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে সপরিবারে হত্যার পর আরেকটি কলংকজনক অধ্যায় রচিত হয় এই দিনে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অনুপস্থিতিতে যাঁরা আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন সেই সূর্য-সন্তানদের হত্যার মধ্য দিয়ে বাঙালি জাতিকে নেতৃত্বশূন্য করার এটি একটি ঘৃণ্যতম অপকর্ম। যাঁদের হৃদয়ের প্রতিটি স্পন্দনে বাংলাদেশ নাম ধ্বনিত হতো সেই জাতীয় চার নেতা সৈয়দ নজরুল ইসলাম, তাজউদ্দীন আহমদ, ক্যাপটেন এম মনসুর আলী ও এএইচএম কামারুজ্জামান।
১৫ আগস্টের হত্যাকাণ্ডটি ছিল ’৭১-এর পরাজয়ের প্রতিশোধ, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের মৌলিক চেতনা, বাঙালি জাতীয়তাবাদ, গণতন্ত্র, ধর্মনিরপেক্ষতা ও সমাজতন্ত্রকে বিলীন করে বাংলাদেশকে পাকিস্তানের আদলে পরিণত করা। হত্যাকারীদের ষড়যন্ত্র ও পরিকল্পনা ছিল অত্যন্ত সূদূরপ্রসারী ও পরিকল্পিত। বঙ্গবন্ধু ও তাঁর পরিবারের সদস্যদের হত্যা করে খুনীরা নিশ্চিত হতে পারেনি। তাদের ভয় ছিল জাতীয় চার নেতাসহ বঙ্গবন্ধুর আদর্শের অনেক অনুসারীকে, যারা খুনীদের ক্ষমতা ভাগাভাগির প্রস্তাব ঘৃণাভরে প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ১৫ই আগস্টে বঙ্গবন্ধুকে সপরিবার হত্যার মধ্য দিয়ে ক্ষমতা দখল করেও ঘাতকরা নিজেদের নিরাপদ ভাবতে পারেনি। তারা বুঝতে পেরেছিল যে, এই চার নেতা জীবিত থাকলে তারা কোনোদিন পার পাবে না। এরা বঙ্গবন্ধু হত্যার বিচার ও তাঁর আদর্শ বাস্তবায়নে অটুট থাকবেন। তাই রাতের অন্ধকারে হত্যা করা হয় চার নেতাকে। ১৫ই আগস্ট বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর খুনী মোশতাক তার মন্ত্রিসভায় যোগ দেওয়ার জন্য আহ্বান করেন এই চার নেতাকে। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে তাঁর নেতৃত্বে অবিচল থেকে একটা দেশকে স্বাধীন করে আনা এই চার নেতা খুনী মোশতাকের আহ্বানে সাড়া দেয়নি। ২৩ আগস্ট এই চার নেতাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে বন্দী করা হয়। যে কারাগারকে নিরাপদ জায়গা হিসেবে বিবেচনা করা হয়, বিশ্বের সকল রীতি-নীতি ভঙ্গ করে সেই কারাগারেই রাতের নিস্তব্ধতা ভেদ করে গর্জে ওঠে ঘাতকের অস্ত্র; জেলখানার ভেতরে গুলি করে ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে আমাদের মহান জাতীয় চার নেতাকে। এই চার নেতা আমৃত্যু বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব ও আদর্শের প্রতি অবিচল ছিলেন, ভালোবেসেছেন নিজের জীবনের চেয়েও বেশি। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আপোস নয়, সমঝোতা নয়, কাপুরুষতা নয়, হাসিমুখে মৃত্যুকে আলিঙ্গন করে বঙ্গবন্ধুর আদর্শের প্রতি অবিচল থাকার নজিরবিহীন ইতিহাস তারা বিনির্মাণ করে আদর্শের রাজনীতির এক উজ্জ্বল অধ্যায় সৃষ্টি করেছেন বিশ্ব রাজনীতির দরবারে।
১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধের পরাজিত শত্রুরা এ দেশের স্বাধীনতাকে মেনে নিতে পারেনি। পরাজয়ের প্রতিশোধ নিতে স্বাধীনতাবিরোধী দেশি-বিদেশি ওই চক্রটি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে ’৭৫ এর ১৫ আগস্ট সপরিবারে হত্যা করে। এরপর খুনি মোশতাকের নেতৃত্বে স্বাধীনতাবিরোধী ওই চক্রটি এ দেশকে পাকিস্তান বানানোর ষড়যন্ত্রে মেতে ওঠে। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর বাংলাদেশ যাতে ঘুরে দাঁড়িয়ে আর এগোতে না পারে, স্বাধীনতা যাতে ব্যর্থ হয়, বাংলাদেশ যাতে ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হয় সেই চক্রান্ত করে স্বাধীনতাবিরোধী চক্র অগ্রসর হয়। এরই অংশ হিসেবে এবং এ দেশে যাতে কোনো দিন স্বাধীনতার সপক্ষের শক্তি মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে, সে জন্য রাজনৈতিক নেতাকর্মীদের ওপর অত্যাচার, হত্যা, নির্যাতনের ষড়যন্ত্র শুরু করে। সেই ষড়যন্ত্র থেকেই জেলখানার ভেতরে এই হত্যাকাণ্ড সংগঠিত করে তারা।
মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকারের গুরুত্বপূর্ণ পদগুলোতে থেকে জাতীয় চার নেতা ঐতিহাসিক দায়িত্ব পালন করেছিলেন। ১৯৭৫ সালের ২৬ মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্বাধীনতা ঘোষণার পর পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাকে গ্রেফতার করে নিয়ে যায়। বঙ্গবন্ধুর অনুপস্থিতিতে মুক্তিযুদ্ধের সময় গঠিত বাংলাদেশ সরকারের অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন সৈয়দ নজরুল ইসলাম। ওই সরকারের প্রধানমন্ত্রী ছিলেন তাজউদ্দীন আহমদ, অর্থমন্ত্রী ক্যাপ্টেন মুনসুর আলী, খাদ্য ও ত্রাণমন্ত্রী এ এইচ এম কামারুজ্জামান। এই সরকারের নেতৃত্বে দীর্ঘ ৯ মাস মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনার মধ্য দিয়ে বিজয় অর্জিত হয়।
মানবতাবোধের চরম নির্মমতা ও নিষ্ঠুরতার সাক্ষী হচ্ছে ৩ নভেম্বর জেল হত্যা দিবস। দেশের আপামর জনতা যাদের নেতৃত্বে ও নির্দেশে এ দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে এগিয়ে নিয়ে মাত্র নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে দেশকে স্বাধীন করেছিল, যারা মুক্তিযুদ্ধকালে মুজিবনগর সরকারের বিভিন্ন রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালন করে, এ দেশের জনগণকে একত্রিত করে ও দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামকে বেগবান করে বিজয়ের পতাকা উঁচিয়ে ধরেছেন, সেই জাতীয় চার নেতাকে চরম নির্মমতার স্বাক্ষর রেখে ৩ নভেম্বর কারাগারের ভেতরে রাতের অন্ধকারে হত্যা করা হয়। আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী এক নিবন্ধে লিখেছেন, ‘ধরে নিলাম বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হয়েছিল ক্ষমতা থেকে উচ্ছেদ করার জন্য। ধরে নিলাম সৈয়দ নজরুল ইসলাম, কামরুজ্জামান ও মনসুর আলীকে হত্যা করা হয়েছিল তাঁরা বঙ্গবন্ধু সরকারের মন্ত্রী ছিলেন বলে। কিন্তু তাজউদ্দীন আহমদকে তাঁর বাসা থেকে ধরে নিয়ে জেলে পুরে হত্যা করা হলো কেন? তিনি তো তখন আর মন্ত্রী ছিলেন না। এমনকি বঙ্গবন্ধুর নবগঠিত বাকশালের সাধারণ সম্পাদকের পদও গ্রহণ করেননি।’ আবদুল গাফ্‌ফার চৌধুরী বলছেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের ‘উদ্দেশ্যটি হলো, গণতান্ত্রিক ও অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের অভ্যুদয় রোখা এবং তার রাজনৈতিক সংস্কৃতির সেক্যুলার ভিত্তিকে ধ্বংস করে দেওয়া।’
সৈয়দ নজরুল ইসলাম মহান মুক্তিযুদ্ধকালে গঠিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের (মুজিবনগর সরকার) অস্থায়ী রাষ্ট্রপতি ছিলেন। মুজিবনগর সরকারের রাষ্ট্রপতি ছিলেন জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তিনি পাকিস্তান কারগারে বন্দি ছিলেন। তাঁর অনুপস্থিতিতে উপরাষ্ট্রপতি সৈয়দ নজরুল ইসলাম রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করেন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে নেতৃত্ব দেন। ১৯৬৬ সালে ছয় দফা আন্দোলনের তীব্রতা বাড়তে থাকলে প্রেসিডেন্ট আইয়ুব খান বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবসহ বহু নেতাকর্মীকে গ্রেপ্তার করেন। সেই সংকটময় সময়ে সৈয়দ নজরুল ইসলাম আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে ময়মনসিংহ-১৭ নির্বাচনী এলাকা থেকে তিনি গণপরিষদের সদস্য এবং আওয়ামী লীগ সংসদীয় দলের উপনেতা নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালে সৈয়দ নজরুল ইসলাম উপরাষ্ট্রপতি হন।
তাজউদ্দীন আহমদ ১০ এপ্রিল গঠিত প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী। মহান মুক্তিযুদ্ধকালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পাকিস্তান কারাগারে বন্দি অবস্থায় তাজউদ্দীন আহমদ মুক্তিযুদ্ধ পরিচালনায় প্রধান ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিবাহিনীর জন্য অস্ত্র সংগ্রহ ও মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে আন্তর্জাতিক সমর্থন আদায়ে তিনি বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। অসাম্প্রদায়িক গণতান্ত্রিক প্রগতিশীল রাজনীতিতে বিশ্বাসী তাজউদ্দীন আহমদ গণতন্ত্র ও বাঙালি জাতির স্বাধিকার আদায়ের আন্দোলনে বিশেষ ভূমিকা পালন করেন। মুক্তিযুদ্ধে চূড়ান্ত বিজয়ের পর তিনি স্বাধীন দেশের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব গ্রহণ করেন। ১৯৭২ সালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নেতৃত্বে নতুন মন্ত্রিসভা গঠিত হলে তাজউদ্দীন আহমদ প্রথমে অর্থ এবং পরে অর্থ ও পরিকল্পনামন্ত্রীর দায়িত্ব পান। বাংলাদেশের সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্য হিসেবে তিনি সংবিধান রচনায় বিশেষ ভূমিকা রাখেন।
ক্যাপ্টেন মনসুর আলী প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের অর্থমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে সম্পৃক্ত মনসুর আলী ১৯৪৮ সালে যশোর ক্যান্টনমেন্টে প্রশিক্ষণ নেন এবং পিএলজির ক্যাপ্টেন পদে অধিষ্ঠিত হন। এ সময় থেকেই তিনি ক্যাপ্টেন মনসুর নামে পরিচিত। মুক্তিযুদ্ধ সংগঠন ও পরিচালনায় তিনি অনন্যসাধারণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৫৪ সালে যুক্তফ্রন্টের প্রার্থী হিসেবে পূর্ব বাংলা প্রাদেশিক পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। এ নির্বাচনে পাবনা-১ আসনের কেন্দ্রীয় মন্ত্রী আবদুল্লাহ আল মাহমুদের বিরুদ্ধে তিনি বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। নির্বাচনে আবদুল্লাহ আল মাহমুদের জামানত বাজেয়াপ্ত হয়ে যায়। ১৯৭৩ সালের নির্বাচনে মনসুর আলী আবার পাবনা-১ আসন থেকে জাতীয় সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। এ বছর তিনি আওয়ামী লীগের পার্লামেন্টারি দলের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৫ সালের বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশ কৃষক শ্রমিক আওয়ামী লীগ (বাকশাল) গঠন করলে তিনি এ সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন।
জেলখানায় নিহত অপর জাতীয় নেতা এএইচএম কামারুজ্জামান। তিনি প্রবাসী বাংলাদেশ সরকারের মন্ত্রিসভায় স্বরাষ্ট্র, ত্রাণ ও পুনর্বাসন মন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করেন। ১৯৬৬ সালে ঐতিহাসিক ছয় দফার আন্দোলনে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। ১৯৬৭ সালে নিখিল পাকিস্তান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং বিরোধীদলীয় উপনেতা নির্বাচিত হন। আইয়ুব সরকারের নির্যাতনের প্রতিবাদে এবং ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের ১১ দফা দাবির সমর্থনে ১৯৬৯ সালে তিনি পাকিস্তান জাতীয় পরিষদের সদস্যপদ থেকে পদত্যাগ করেন। ১৯৭০ সালের নির্বাচনে আবার তিনি রাজশাহী থেকে জাতীয় পরিষদের সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৩ সালে নির্বাচনে কামারুজ্জামান রাজশাহীর দুটি আসন গোদাগাডি ও তানর থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। ১৯৭৪ সালে তিনি আওয়ামী লীগের সভাপতি নির্বাচিত হন এবং মন্ত্রিপরিষদ থেকে পদত্যাগ করেন।
জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঘনিষ্ঠ সহযোদ্ধা এই চার নেতাকে জেলের অভ্যন্তরে হত্যার ঘটনা মূলত মুক্তিযুদ্ধের চেতনা ধ্বংস করারই অংশ। জাতির পিতার আদর্শ সমুন্নত রেখে ষড়যন্ত্রকারীদের নীলনকশা রুখে দিতে এই চার নেতা অতীতের মতো জাতিকে নেতৃত্ব দিতে পারেন, এটাই ছিল ষড়যন্ত্রকারীদের ভয়। জাতির পিতাকে সপরিবারে হত্যা এবং তারপর চার নেতাকে হত্যা প্রকৃতপক্ষে একই ষড়যন্ত্রের অংশ। একাত্তরে বিজয়ের ঊষালগ্নে এদেশের বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে বাঙালিকে মেধাশূন্য করার অপচেষ্টা হয়েছে। একইভাবে সেই খুনি মোশতাক ও তার দোসররা জাতীয় চার নেতাকে হত্যা করে দেশকে নেতৃত্বশূন্য করার অপচেষ্টা করেছে।
১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধকে যদি আমরা বিপ্লব মনে করি, তবে ১৯৭৫ সালের ঘটনা হলো প্রতিবিপ্লব। অর্থাৎ মুক্তিযুদ্ধের অর্জনগুলোকে ও চাওয়া-পাওয়া গুলোকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে মিনি পাকিস্তান সৃষ্টির লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধুসহ তাঁর পরিবারের হত্যাকাণ্ড সংঘটিত করা হয়েছিল। এরপর চার নেতাকেও নির্মম ও নিষ্ঠুরভাবে হত্যা করা হয়। তাই বাংলাদেশের ইতিহাসে দিনটি এক কলঙ্কিত ও কালো অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়।
লেখক : শিক্ষাবিদ; উপাচার্য, রাঙ্গামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

পূর্ববর্তী নিবন্ধযানজটে নাকাল নগরবাসী : চাই নিরাপদ সড়ক
পরবর্তী নিবন্ধচট্টগ্রামের বালক-বালিকা সাঁতারুদের জ্ঞাতার্থে