জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের সর্বজনীন নিয়মিত পর্যালোচনা বা ইউনিভার্সাল পিরিয়ডিক রিভিউ (ইউপিআর) ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে অবাধ, সুষ্ঠু ও সহিংসতামুক্ত নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য বর্তমান সরকারের প্রতিশ্রুতির কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে বাংলাদেশ। গতকাল সোমবার জেনেভা থেকে যুক্ত হয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এ কথা জানান। খবর বাংলানিউজের।
আইনমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশনকে সহযোগিতার পাশাপাশি কমিশনকে শক্তিশালী করার জন্য সরকারের নেওয়া ব্যবস্থা সম্পর্কে উপস্থিত সবাইকে অবহিত করেছি। নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে আইনি ব্যাখ্যা আমি সভায় উপস্থাপন করেছি। জেনেভায় জাতিসংঘ মানবাধিকার কাউন্সিলের ইউপিআর ওয়ার্কিং গ্রুপের বৈঠকে অংশ নেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। বৈঠকের বিষয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। সংবাদ সম্মেলনে জেনেভা থেকে যুক্ত হন মন্ত্রী আনিসুল হক ও পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপস্থিত ছিলেন পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম। সংবাদ সম্মেলনে আইনমন্ত্রী আনিসুল হক জানান, রিভিউয়ে শ্রমিক অধিকার, আসন্ন জাতীয় নির্বাচন, নারী নির্যাতন প্রতিরোধ, মানবাধিকার সম্পর্কিত কিছু ইনস্ট্রুমেন্টসে আমাদের সম্ভাব্য র্যাটিফিকেশন, মানবাধিকার ইত্যাদি বিষয়ে অগ্রিম প্রশ্ন ছিল। আমি যথাযথভাবে প্রশ্নগুলোর উত্তর দিয়েছি। বিভিন্ন প্রতিকূলতা স্বত্বেও সুশাসন, আইনের শাসন, ন্যায়বিচার ও জবাবদিহিতা প্রতিষ্ঠা ও মতপ্রকাশের স্বাধীনতা নিশ্চিত করার জন্য বাংলাদেশ সরকার কাজ করে যাবে বলে আমি কাউন্সিলকে জানিয়েছি।
আইনমন্ত্রী বলেন, সভায় ১১১টি দেশ বাংলাদেশের মানবাধিকার পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনায় অংশ নিয়েছে। এর মধ্যে ৯০টি দেশ বাংলাদেশের মানবাধিকার প্রশংসা করেছে। স্লোভাকিয়া ও কানাডা ছাড়া অন্য কোনো দেশ কড়া সমালোচনা করেনি। সভায় যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য ও বেলজিয়াম বাংলাদেশের নির্বাচন ইস্যুতে আলোচনা তুলেছে। তারা সুষ্ঠু ও অবাধ নির্বাচনের কথা বলেছে।