না’মায মু’মিনের মিরাজ
সম্মানিত মুসলিম ভাইয়েরা!
আল্লাহ তা’আলাকে ভয় করুন। পরিপূর্ণভাবে ইসলামে প্রবেশ করুন। ঈমানের পর ইসলামের প্রথম খুুটি হলো নামায। আল্লাহর সাথে বান্দার সম্পর্ক ও যোগসূত্র স্থাপনের মাধ্যম হলো নামায। ইসলামে নামাযের গুরুত্ব অপরিসীম। মহাগ্রন্থ আল কুরআনের ৮২ স্থানে নামাযের নির্দেশ হয়েছে। মহান আল্লাহর দরবারে নামাযী বান্দার মর্যাদা ও সম্মান বর্ণনাতীত। নামায হলো মু’মিনের মিরাজ, সর্বোত্তম ইবাদত।
পবিত্র কুরআনের আলোকে নামাযের গুরুত্ব: নামায দ্বীনের অন্যতম মূল স্তম্ভ, বান্দা কর্তৃক আল্লাহর তাওহীদ তথা একত্ববাদের স্বীকারোক্তির দলীল হলো নামায। নামায মু’মিন ও কাফিরদের মধ্যে পার্থক্য নির্ণয়কারী ইবাদত। মানবজাতি আল্লাহর সর্বশ্রেষ্ঠ সৃষ্টি। আল্লাহর দাসত্ব, ইবাদত ও বন্দেগীর মাধ্যমে বান্দার শ্রেষ্ঠত্ব নিরূপিত হয়। বান্দা একমাত্র তাঁরই ইবাদত বন্দেগীর জন্য আদিষ্ট, মহান আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “কেবল আমার ইবাদতের জন্যই আমি জ্বীন ও মানব সৃষ্টি করেছি।” (সূরা:৫১, যারিয়াত, আয়াত: ৫৬)
বান্দার ইবাদত বন্দেগী হবে আল্লাহর জন্যই নিবেদিত ও উৎসর্গীত। এতে সৃষ্টির কোন প্রকার অংশীদারিত্ব নেই। এটাই তাওহীদের মূল কথা। মহান আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “আমিই আল্লাহ, আমি ভিন্ন কোন উপাস্য নেই। সুতরাং আমার ইবাদত কর এবং আমার স্মরণার্থে নামায কায়েম করো।” (সূরা২০: তা-হা, আয়াত: ১৪)
নামাযী বান্দারাই সফলকাম: জাগতিক জীবনের সুখ-শান্তি, ভোগ-বিলাস, আনন্দ-বিনোদন, অর্থ-বিত্ত, যশ-খ্যাতি, পরিচিতি, আত্মপ্রতিষ্ঠা, শক্তিমত্তা, ক্ষমতার প্রদর্শনী, ধন-সম্পদের প্রাচুর্যতা এসব কিছু প্রকৃতপক্ষে সফলতার মাপকাটি নয়। বান্দার অন্তরে খোদাভীতি জাগ্রত থাকা, সদা-সর্বদা, জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে মহান আল্লাহর সন্তুষ্টি ও রেজামন্দিকে অগ্রাধিকার দেয়, সচ্ছলতা, অসচ্ছলতা, সুখে দু:খে, রোগে শোকে, সুস্থতা অসুস্থতা, সফলতা ব্যর্থতা, সর্বাবস্থায় সর্ব নিয়ন্তা মহান আল্লাহর উপর ঈমানের অটলতা বিশ্বাসের দৃঢ়তাই হলো মু’মিন জীবনের প্রকৃত সফলতা, মহান আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “হে ঈমানদারগণ, তোমরা রুকু করো, সিজদা করো, এবং তোমাদের প্রতিপালকের ইবাদত করো, ও সৎকর্ম করো, যাতে তোমরা সফলকাম হতে পার। (সূরা: ২২: হাজ্ব, আয়াত: ৭৭)
নামায আল্লাহর শ্রেষ্ঠতম উপহার: আল্লাহ তা’আলা তাঁর প্রিয় হাবীব ইমামুল আম্বিয়া সৈয়্যদুল মুরসালীন সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে ২৬ রজব দিবাগত রজনীতে আরশ মুয়াল্লার উর্ধ্বজগতে আমন্ত্রণ জানিয়ে তাঁর নৈকট্য ও দীদার দানে ধন্য করেছেন। শ্রেষ্ঠতম নিয়ামত নামাযকে মিরাজের উপহার স্বরূপ প্রদান করে মানবতার মর্যাদা কে সমুন্নত করেছেন। একাগ্রচিত্রে নামায কায়েমে রয়েছে মু’মিনের আত্মার প্রশান্তি, আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, জেনে রেখো, কেবল আল্লাহর স্মরণেই আত্মাসমূহ প্রশান্তি লাভ করে (সূরা: ১৩: রা’দ, আয়াত: ২৮)
নামায মহান আল্লাহকে স্মরণ করার উৎকৃষ্ট পন্থা, অন্তরে আল্লাহর ভয় ও ভালবাসার সম্পর্ক সুদৃঢ় হয় নামাযের মাধ্যমে, আল্লাহর মহানত্ব শ্রেষ্ঠত্ব মহিমা প্রকাশে নিজকে ব্যাকুল রাখা তাঁর প্রতি দাসত্বের বহি:প্রকাশ। আল্লাহ তা’আলা এরশাদ করেছেন, “আর নিশ্চয়ই আল্লাহর স্মরণ সর্বশ্রেষ্ঠ।” (২৯:৪৫)
নামায উৎকৃষ্ট চরিত্র গঠনের মাধ্যম: প্রচলিত সমাজ ব্যবস্থায় মানুষের নৈতিকতা আজ শূন্যের কোটায়। অন্যায়, অবিচার, পাপাচার, ব্যভীচার, সুদ-ঘুষ, মদ-জুয়া, দূনীতি, স্বজনপ্রীতি, লোভ-লালসা, উন্মাদনা, বেহেয়াপনা, উলংগপনা, শটতা, কপটতা, পাষন্ডতা, বর্বরতা, হিংস্রতা, জুলুম, নির্যাতন, নিপীড়ন, নিষ্পেষণ, শোষণ, লুণ্ঠন, চুরি, ডাকাতি, ছিনতাই, রাহাজানি, নৈরাজ্য, হানাহানি, বিশৃঙ্খলা ও আসামাজিক কার্যকলাপের ভয়াবহ চিত্র ও লোমহর্ষক ঘটনাবলী বর্তমানে নিত্য দিনকার সমাজ চিত্র। নৈতিক অবক্ষয়ের এ নাজুক সন্ধিক্ষণে প্রকৃত খোদাভীরু নৈতিক ও চারিত্রিক বলিষ্টতায় উন্নীত মু’মিন নামাযী বান্দারাই অধিক পরিমানে, সৎ, নিষ্টাবান, দায়িত্ব সচেতন, সময় সচেতন, কর্তব্য পরায়ন, দেশ প্রেমিক, সুনাগরিক, মানবতাবাদী, সমাজসেবী ও পারস্পরিক, শ্রদ্ধাশীল। পবিত্র কুরআনে এরশাদ হয়েছে, “নিশ্চয়ই নামায অশ্লীল ও মন্দ কাজ হতে বিরত রাখে।” (সূরা: ২৯: আনকাবুত, ৪৫)
সমাজে এক শ্রেণির নামাযী দেখা যায় যারা দৈনিক পাঁচ ওয়াক্ত নামায আদায় করে। পাশাপাশি সকল প্রকার অন্যায় অপকর্মেও তাদের সম্পৃক্ততা দেখা যায়। নামাযী হওয়ার পরও তারা অনৈসলামিক কর্মকান্ডে সংশ্লিষ্ট। প্রত্যক্ষ ও পরোক্ষভাবে অন্যায় ও অপরাধ কর্মের অংশীদার, প্রকৃতপক্ষে নামাযের রূহানিয়্যত তথা আধ্যাত্মিকতা তাদের জীবনে কার্যকর বা প্রতিফলিত হয়নি। হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, “যে ব্যক্তির নামায তাকে অশ্লীল ও মন্দ অপকর্ম হতে বিরত রাখেনা তার নামায নামাযই নহে। (তাফসীর ইবনে কাছীর)
হাদীস শরীফের আলোকে নামাযের গুরুত্ব: পার্থিব জীবন ক্ষণস্থায়ী পৃথিবীর প্রতিটি বস্তু ধ্বংশশীল, মানুষ যতই দীর্ঘজীবি হোক তাকে একদিন দুনিয়ার ক্ষণস্থায়ী জীবন ত্যাগ করে চিরন্তন অবিনশ্বর পরকালে মহান আল্লাহর আদালতে প্রতিটি কর্মের, জীবনের প্রতিটি মূহুর্তের, প্রতিটি ন্যায়-অন্যায়, ভাল মন্দ, প্রতিটি বৎসর মাস, সপ্তাহ দিন, ঘণ্টা, মিনিট, সেকেন্ড ও মূহুর্তের হিসাব পেশ করতে হবে। সর্বাগ্রে নামাযের হিসাব তলব করা হবে। নবী করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, “কিয়ামতের দিবসে সর্বপ্রথম বান্দার কাছে তার নামাযের হিসাব তলব করা হবে। (কানযুল উম্মাল হাদীস: ১৮৮৮৩, খন্ড: ৭ম, পৃ: ১১৫, নাসাঈ শরীফ, পৃ: ৫৫)
নামায পরিত্যাগ কারীর শাস্তি: হযরত আবদুল্লাহ ইবনে আমর (রা.) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, যে ব্যক্তি নামাযের হিফাজত করবে তা কিয়ামতের দিন তার জন্য নূর প্রমাণ ও নাজাতের কারণ হবে। আর যে ব্যক্তি তা হিফাজত করবেনা তা তার জন্য নূর প্রমাণ ও নাজাতের কারণ হবেনা। সূতরাং কিয়ামত দিবসে সে কারুন, ফিরআউন, হামান ও উবাই বিন হালাফের সাথে থাকবে। (মুসনাদ আহমদ বিন হাম্বল, খন্ড:২য়, পৃ: ৫৭৪, দারেমী, বায়হাকী, আনোয়ারুল বায়ান ২য় খন্ড, পৃ: ৪৯৩)
দু’রাকাত নামায জান্নাতের চেয়ে শ্রেষ্ঠ: হযরত মুহাম্মদ বিন সিরীন রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু বর্ণনা করেন, আমাকে যদি জান্নাত এবং দু’রাকাত নামায দু’য়ের মধ্যে একটি গ্রহণের এখতিয়র দেয়া হয়। আমি দু’রাকাত নামাযই গ্রহণ করবো। যেহেতু দুরাকাত নামাযে রয়েছে আল্লাহর সন্তুষ্টি, আর জান্নাতে রয়েছে আমার সন্তুষ্টি। (মুকাশিফাতুল কুলুব, আনোয়ারুল বায়ান, খন্ড: ২য়, পৃ: ৪৯১)
বেনামাযীর নাম দোজখের দরজায় লিখা থাকবে: রাসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছন, যে ব্যক্তি ইচ্ছাকৃত নামায পরিত্যাগ করে জাহান্নামের দরজায় তার নাম লিপিবদ্ধ থাকবে। (মুসলিম শরীফ, কানযুল উম্মাল, খন্ড: ৪র্থ, পৃ: ৭১)
নামাযের দশটি বরকত: হযরত আবু হুরায়রা রাদ্বিয়াল্লাহু তা’আলা আনহু থেকে বর্ণিত, রসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেছেন, নামায দ্বীনের স্তম্ভ, নামায আদায়কারীকে আল্লাহ তা’য়ালা দশটি বরকত দান করবেন।
১. দুনিয়া ও আখিরাতে তার চেহারা নূরানী হবে।
২. অন্তরে স্থিরতা ও রুহানী প্রশান্তি অর্জিত হবে।
৩. কবর আলোকিত হবে।
৪. নেকীর পাল্লা ভারী হবে।
৫. সকল প্রকার রোগ ব্যাধি থেকে দেহ সুস্থ থাকে।
৬. হৃদয়ের প্রফুল্লতা ও আনন্দ অনুভব হয়।
৭. জান্নাতে হুর ও প্রাসাদ অর্জিত হবে।
৮. দোজখের আগুন ও কিয়ামতের প্রচন্ডতা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া যাবে।
৯. আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টি অর্জন হবে।
১০. জান্নাতে আল্লাহ তা’আলার দিদার নসীব হবে। (আনোয়ারুল বায়ান, খন্ড: ২য়, পৃ: ৫০০)
যথাসময়ে নামায আদায়কারী বিনা হিসেবে জান্নাতে যাবে। রসূল করিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম এরশাদ করেন, আল্লাহ তা’য়ালা বলেন, বান্দা যদি সঠিক সময়ে নামায আদায় করে তখন বান্দার ব্যাপারে আমার প্রতিশ্রুতি হলো আমি তাকে শাস্তি দেবোনা এবং বিনা হিসেবে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (হাকিম, কানযুল উম্মাল, খন্ড:৭ম, পৃ: ১২৭)
হাদীস শরীফে এরশাদ হয়েছে, নামায মু’মিনের জ্যোতি, (কানযুল উম্মাল, খন্ড: ৭ম, পৃ: ১২৭)
নামায ফিরিস্তাদের প্রিয় ইবাদত, নবীদের সুন্নাত, নামায খোদা পরিচিতির জ্যোতি। ঈমানের অঙ্গ, দুআ কবুলের অংশ। রিযকে বরকত লাভের মাধ্যম, কবরের জগতে মুনকির নকীরের প্রশ্নের জবাবের ওসীলা, নামায কবরে সাহায্যকারী, ইসলামে যেখানে সাতবছরের শিশুদের জন্য নামায কায়েমের বিশেষ তাগিদ রয়েছে। সেক্ষেত্রে যুবক ও বৃদ্ধ মানুষের জন্য নামায কিভাবে ক্ষমাযোগ্য হবে? কখনো হবে না, সুতরাং নামায পড়ুন, শিশুদেরকেও পড়ান, নামাযের তালিম দিন। পরিবারের সকলে যখন নামাযী হয়ে যাবে। তখন ঘরের রওনক বৃদ্ধি ও বরকত বৃদ্ধি পাবে।
আল্লহ তা’আলা আমাদেরকে রসূলে করীম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম জীবনাদর্শ অনুসরণে নামাযের প্রতি যত্নবান হওয়ার তাওফিক নসীব করুন। আমীন।
লেখক : অধ্যক্ষ, মাদরাসা-এ তৈয়্যবিয়া ইসলামিয়া সুন্নিয়া ফাযিল (ডিগ্রী);
খতীব, কদম মোবারক শাহী জামে মসজিদ।
মুহাম্মদ আবুল কালাম আজাদ
জোয়ারা, মোহাম্মদপুর, চন্দনাইশ, চট্টগ্রাম।
প্রশ্ন: বর্তমানে তরুণ ইসলামী আলোচক ওয়ায়েজ বা বক্তাদের অনেককে নিজেদের নামের আগে “শায়খ” বলতে বা লিখতে দেখা যায়, এটা কতটুকু যুক্তিযুক্ত।
উত্তর: শায়খ শব্দটি আরবি, একবচন, বহুবচনে শুয়ুখুন। এর আভিধানিক অর্থ বয়োবৃদ্ধ, ভদ্রলোক, সম্মানিত, সম্ভ্রান্ত ব্যক্তি। হাদীস শাস্ত্রের পরিভাষায় যিনি হাদীস বিশেষজ্ঞ, হাদীস সংক্রান্ত গ্রন্থাবলী ব্যাপক গবেষণা ও অধ্যয়নে নিমগ্ন থাকেন, তাঁকে শয়েখুল হাদীস বলা হয়। ‘শায়েখুল হাদীস’ এটি বিশেষজ্ঞদের সম্মানসূচক উপাধি।
ইসলামে প্রথম খলিফা ও দ্বিতীয় খলিফ হযরত আবু বকর সিদ্দিক (রা.) ও হযরত উমর (রা.) দু’জন কে “শায়খায়ন” বলা হয়। হানফী মাযহাবে হযরত ইমাম আবু হানিফা ও ইমাম আবু ইউসূফ (রা.) কে “শায়খায়ন” বুঝানো হয়। হাদীসের জগতে বিশ্ব বিখ্যাত হাদীসের ইমাম ইমাম বুখারী ও ইমাম মুসলিম (র.) কে একসঙ্গে “শায়খায়ন” বলা হয়। (ইসলামী পরিভাষা: পৃ: ৭৩৬, কৃত: ড. সৈয়দ শাহ এমরান)
হিজরি ৪র্থ শতাব্দীর দ্বিতীয়ার্ধ হতে আধ্যাত্মিক ব্যক্তিত্বদের সম্মানসূচক উপাধি হিসেবে শব্দটির ব্যবহার ও প্রচলন দেখা যায়। যেমন ইবনে খালদুন কর্তৃক ফকীহ “আসাদ ইবনুল ফুয়াতকে” শায়খুল ফুতুয়্যা আখ্যা দেয়া হয়। হিজরি ৫ম শতাব্দীতে খুরাসানের সুন্নী ওলামাগণ কর্তৃক শাফিঈ মাযহাবের প্রখ্যাত আলেম ইসমাঈল ইবন আবদির রহমানকে “শায়খুল ইসলাম” সম্মানসূচক উপাধিতে ভূষিত করেছেন। (সংক্ষিপ্ত ইসলামী বিশ্বকোষ, দ্বিতীয় খন্ড, পৃ: ৩৭১, ইসলামিক ফাউন্ডেশন)
ধর্মীয় বিশেষজ্ঞ স্কলার পণ্ডিত ও বিশিষ্ট সম্মানিত মান্যবর ব্যক্তিত্বকে শায়খ বলা যেতে পারে।