জুমে হাসছে সোনালি ধান

নাইক্ষ্যংছড়ি প্রতিনিধি | রবিবার , ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২২ at ৬:৪৪ পূর্বাহ্ণ

নাইক্ষ্যংছড়িতে পাহাড়জুড়ে জুমের ধান। সেগুলো এখন পাকতে শুরু করেছে। পাকা সোনালি ধানের অপরূপ দৃশ্য নজর কারছে সকলের। চাষিদের চোখে-মুখেও দেখা যাচ্ছে হাসির ঝিলিক। সপ্তাহ খানেক পর শুরু হবে ধান কাটা, মাড়াই ও শুকানোর কাজ। সব কর্মযজ্ঞই চলবে পাহাড়ের গায়ে।
চাষিরা বলেন, জুম চাষ এখন অনেক কমে গেছে। মূলত পাহাড়ের চিরচারিত প্রথা জুম চাষাবাদ টিকিয়ে রাখার জন্য আমাদের আদিবাসীদের অনেক সংগ্রাম করতে হয়। কারণ এটি আমাদের আদি পেশা। জানা যায়, বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়িসহ ৭ উপজেলায় বসবাসকারী পাহাড়ি পরিবারগুলো প্রায় সকলেই জুম চাষ করে। জেলার মারমা, চাকমা, তঞ্চঙ্গ্যা, ম্রো, খুমি, লুসাই, পাংখো, বম, চাকসহ ১১টি আদিবাসী সম্প্রদায়ের অধিকাংশই জুম চাষের উপর নির্ভরশীল। জুমের উৎপাদিত ধান থেকে বছরের ১২ মাসের অন্তুত ৮ মাসের খাদ্যের জোগান মজুদ করে নেয় তারা।
নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার সোনাইছড়ি ইউনিয়নের জুমখোলা এলাকার চাষি অংথোয়াই মারমা জানান, এ বছর আবহাওয়া ভালো থাকায় ফলনও ভাল হয়েছে। নিজেদের জন্য রেখে বাকি ধান বিক্রি করে ভাল টাকাও আয় করতে পারবেন তারা। নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা কৃষি অফিসার এনামুল হক বলেন, প্রতিবছর এপ্রিল-মে মাসে শুরু হয় জুমে ধান লাগানোর প্রক্রিয়া। এরপর নানা পরিচর্যায় কেটে যায় ৪ মাসের বেশি সময়। সেপ্টেম্বর মাসের শেষ দিকে পাহাড়ে ধান পাকতে থাকে। শুরু হয় জুমের ধান কাটা। অক্টোবরের গোড়ার দিকটা পর্যন্ত বেশ সরব থাকে এই ফসল ঘরে তোলার কাজ। জুমিয়ারা তখন সারা দিন কাজে ব্যস্ত থাকেন। ঘুমধুম এলাকার বাসিন্দা জুম চাষি অন্না মে তংচঙ্গা জানান, ফলন ভাল হওয়ায় খুব খুশি তিনি। তবে সীমান্তে মিয়ানমার বাহিনীর গোলাবর্ষণ তাদেরকে আতংকিত করে রেখেছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধকরোনায় এক দিনে ৪ মৃত্যু
পরবর্তী নিবন্ধ২৮ দিনে ই-নামজারি বাস্তবায়নের উদ্যোগ