জীবন অমূল্য সম্পদ। জীবনটাকে কখনো হাল্কা করে দেখা উচিত নয়, পাপও বটে। কারণ মনুষ্য জীবন বড়ই দুর্লভ। অনেকপুণ্যের প্রভাবে মানুষ হয়ে জন্ম লাভ করা যায়। যারা এ জীবনকে হেলা করে, অসম্মান করে, অবজ্ঞা করেঅপমৃত্যুকে আহবান করে, আলিঙ্গন করে, সৃষ্টিকর্তা তাকে কখনো ক্ষমা করেন না। মনে রাখতে হবে, এজীবন আমার নয় । আজ আমার মৃত্যু হলে আমার স্থান কোথায় হবে? এ মূল্যবান জীবনকে গঠন করতে হবে। যতটুকু সম্ভব ক্ষমতা অনুযায়ী মানুষের কাজে লাগাতে হবে, সমাজের কাজে লাগাতে হবে, দেশের কাজে লাগাতে হবে। তাহলে জীবনের মূল্যায়ন হবে, কাজের সন্তুষ্টিআসবে, আর মনে আনন্দ আসবে। মনটাকে আকাশের মতো বড় ভাবতে হবে। ছোট ছোট ঘটনাগুলো জমতে থাকা কালো মেঘে ঘনীভূত হয়ে বজ্রপাতের সৃষ্টি হতে পারে। মনে রাখতে হবে, এ বিশাল আকাশে কালো মেঘের অস্তিত্ব তেমন নেই। সব জায়গাতে একই সময় বৃষ্টি হয় না। সংকীর্ণতাকে কখনো মনে স্থান দিতে নেই। কাজেই সকল দু:খ কষ্টকে জয় করে এগিয়ে যেতে হবে সামনে। বিশাল খোলা আকাশ সামনে দাঁড়িয়ে আছে তোমাকে কাছে টেনে নিতে। আনন্দের মাধ্যমে কষ্টকে ভোলা যায়। তাই আনন্দের যে কোন মাধ্যমকে তোমায় খুঁজে নিতে হবে কষ্টটাকে ভোলার জন্য। এ দুর্লভ মানব জীবনকে অবজ্ঞা, অপমান করার কোন অধিকার কারো নেই। সবার মনে রাখতে হবে, তুমি একা নও। তোমার মা-বাবা অনেক কষ্ট করে তোমাদের বড় করেছে। এমনকোন কাজ করা উচিত নয়, যাতে বাবা-মা কষ্ট পান। কারণ বাবা মার চোখের জল স্বয়ং ঈশ্বর ও দেখতে পছন্দ করেন না। নিজের জীবনটাকে অবশ্যই ভালোবাসতে হবে। কারণ নিজেকে ভালোবাসার মাধ্যমে সৃষ্টি কর্তাকে ভালোবাসা যায়।