‘ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে’ গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র ও মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জাহাঙ্গীর আলমের বহিষ্কারাদেশ আবার তুলে নিয়েছে আওয়ামী লীগ। চলতি বছর এ নিয়ে দ্বিতীয়বার তাকে ক্ষমা করল ক্ষমতাসীন দল। গত জানুয়ারিতেও একই শর্তে দলে ফেরানোর চার মাসের মাথায় বিদ্রোহী নেতাকে স্থায়ী বহিষ্কার করার কথা জানানো হয় দলের পক্ষ থেকে। আগের বার ১৩ মাস দলের বাইরে ছিলেন তিনি। এবার পাঁচ মাসেই শেষ হলো স্থায়ী বহিষ্কার। খবর বিডিনিউজের।
গতকাল আওয়ামী লীগের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভবিষ্যতে সংগঠনের স্বার্থ পরিপন্থী কর্মকাণ্ড ও শৃঙ্খলা ভঙ্গ না করার শর্তে ক্ষমাপ্রার্থীদের প্রতি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদ সাধারণ ক্ষমা ঘোষণা করে। সেই সূত্রে আপনার প্রতিও ক্ষমা প্রদর্শন করা হলো। জাহাঙ্গীরকে এক আগেও বহিষ্কার করার কথা জানিয়ে একই বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ভবিষ্যতে কোনো প্রকার সংগঠনবিরোধী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হলে, তা ক্ষমার অযোগ্য বলে বিবেচিত হবে।
এই আদেশের বিষয়ে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া বলেন, তার (জাহাঙ্গীর) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। চিঠির বাইরে আমার কোনো বক্তব্য নেই।
গাজীপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে নৌকা মার্কার প্রার্থী আজমত উল্লা খানের বিরুদ্ধে দ্বিতীয়বারের মতো বিদ্রোহ করে বহিষ্কার হওয়ার পর জাহাঙ্গীর অবশ্য দলে ফেরার বিষয়ে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। ১৩ জুন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে মেয়র হিসেবে তার মা জায়েদা খাতুনের শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে মুজিব কোট গায়ে তিনিও ছিলেন। এরপর তিনি সাংবাদিকদের কাছে দাবি করেন, প্রধানমন্ত্রী আবার তাকে ক্ষমা করে দিয়েছেন। বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারের চিঠি পেয়ে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন, যত বিপদই হোক, তা কাটিয়ে ওঠা যায়। আমি অভিনন্দন জানিয়েছি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ, গাজীপুরের জনগণ ও দেশবাসীকে। আদর্শের জায়গা থেকে রাজনীতিটা করতে চাই। সবার কাছ থেকে সহযোগিতা চাই, দোয়া চাই।