৭১ এর যুদ্ধাপরাধী জামায়াতে ইসলামীর এখনও রাজনীতিতে থাকার বিষয়টি ‘বিস্ময়কর’ বলে মন্তব্য করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক মেয়র আ জ ম নাছির উদ্দীন।
তিনি বলেন, এই অবাক বিস্ময়ের মূল খলনায়ক জিয়াউর রহমান, এরশাদ এবং অতঃপর খালেদা জিয়া ও তার কুসন্তান তারেক জিয়া। এদের প্রত্যেককেই মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে কাঠগড়ায় দাঁড়িয়ে কঠোর শাস্তি ভোগ করতে হবে।
গতকাল মঙ্গলবার নগরীর থিয়েটার ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে মহানগর আওয়ামী লীগের উদ্যোগে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্ঠ সন্তান শহীদ শেখ রাসেলের ৫৯তম জন্মদিন পালন উপলক্ষে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন। তিনি বলেন, চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সিটি মেয়র আ.জ.ম. নাছির উদ্দীন বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা চট্টগ্রাম মহানগর ও সংলগ্ন এলাকার ৬টি আসনে যাকেই নৌকা প্রতীক দেবেন তার বিজয় সুনিশ্চিত করতে ঐক্যের ভিত্তিকে সুদৃঢ় করে এখনই ভোটারদের মন জয় করার কাজ শুরু করে দিতে হবে।
মহানগর আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি মাহতাব উদ্দীন চৌধুরী বলেন, দেশ-বিদেশে বিএনপি-জামাত ও তথাকথিত সুশীলরা বাংলাদেশের মানবাধিকার গেল গেল বলে হৈ-চৈ শুরু করে দিয়েছেন। এর মধ্যেও বাংলাদেশ জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনে সর্বোচ্চ রেকর্ড সংখ্যক ১৬০ ভোট পেয়ে সদস্য নির্বাচিত হওয়াটা যারা মানবাধিকার গেল বলে হৈ-চৈ করেছে তাদের গালে শক্ত একটি চপেটাঘাত।
সভায় আরো বক্তব্য রাখেন সহ-সভাপতি এড. ইব্রাহিম হোসেন চৌধুরী বাবুল, খোরশেদ আলম সুজন, আলতাফ হোসেন চৌধুরী বাচ্চু, শেখ মো. ইসহাক, নোমান আল মাহমুদ, শফিক আদনান, চৌধুরী হাসান মাহমুদ হাসনী, হাসান মাহমুদ শমসের প্রমুখ। এছাড়া পেয়ার মোহাম্মদ, বখতেয়ার উদ্দীন খান, সাইফুদ্দিন খালেদ বাহার, মহব্বত আলী খান, মো. ইলিয়াছ, মোর্শেদ আক্তার চৌধুরী, হাজী বেলাল আহমদ, হাজী সিদ্দিক আলম, হারুনুর রশিদ, সাহাবউদ্দীন আহমেদ, আবু তাহের, আনছারুল হক, মো. ইলিয়াছ, মো. মঈনুদ্দিন, রেজাউল করিম কায়সার, সামশুল আলম, গিয়াস উদ্দীন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।