জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞান অনুষদে ২০২০-২১ শিক্ষাবর্ষে স্নাতক (সম্মান) প্রথম বর্ষে ভর্তি হওয়ার জন্য সাক্ষাৎকার দিতে আসে মোস্তফা কামাল নামে এক শিক্ষার্থী। গতকাল বুধবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করে জিজ্ঞাসাবাদ করেন। জিজ্ঞাসাবাদে ওই শিক্ষার্থী দাবি করে, সে ভর্তি পরীক্ষা দেয়নি, তার পরীক্ষা অন্য কেউ দিয়েছে। এছাড়া একই উপায় অবলম্বন করে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের (চবি) ডি ইউনিটে তার দুই বন্ধু উত্তীর্ণ হয়েছে বলেও দাবি করে ওই শিক্ষার্থী।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রক্টর আ স ম ফিরোজ উল হাসান গণমাধ্যমকে জানান, আমরা গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ওই শিক্ষার্থীকে আটক করেছি। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায় তার পরীক্ষা অন্য কেউ দিয়েছে৷ সে পরীক্ষায় অংশ নেয়নি। একই প্রক্রিয়ায় তার দুই বন্ধু চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে চান্স পেয়েছে।
আটক মোস্তফা কামালের বাড়ি টাঙ্গাইল জেলার তাড়ুটিয়া উপজেলায়। বিশ্ববিদ্যালয়ের গাণিতিক ও পদার্থ বিজ্ঞান অনুষদে সে ৩০০তম অবস্থানে ছিল।
মোস্তফা কামাল গণমাধ্যমকে জানান, প্রক্সির মাধ্যমে তার দুই বন্ধু আশিক ও ফরহাদ চবির ডি ইউনিটে উত্তীর্ণ হয়েছে। আর এসব কাজ ৪ লাখ টাকার বিনিময়ে রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের চতুর্থ বর্ষের এক শিক্ষার্থীর মাধ্যমে হয়েছে।
এ ব্যাপারে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজবিজ্ঞান অনুষদের ডিন ও ডি ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর ড. মুস্তাফিজুর রহমান সিদ্দিকীর সাথে যোগাযোগ করে মুঠোফোন পাওয়া যায়নি। তবে বিষয়টি অধিকতর খতিয়ে দেখা হবে বলে জানান চবি প্রক্টর ড. রবিউল হাসান ভুঁইয়া। তিনি আজাদীকে বলেন, বিষয়টি আমরা জেনেছি। এ ব্যাপারে ইউনিট সংশ্লিষ্টদের জানানো হয়েছে। ঘটনার সত্যতা যাচাই-বাছাই করা হবে। উত্তীর্ণ দুই শিক্ষার্থীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।