জাপানের পূর্ব উপকূলে অতি শক্তিশালী এক ভূমিকম্পে কয়েক ডজন লোক আহত হয়েছেন। এ ভূমিকম্পে রাজধানী টোকিও সহ অন্যান্য শহরের ভবনগুলো কেঁপে উঠে ও ব্যাপক এলাকা বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়ে।
তবে শনিবারের এই ভূমিকম্পে বড় ধরনের কোনো ক্ষয়ক্ষতি হয়নি বলে ধারণা করা হচ্ছে। কোনো সুনামি সতর্কতাও জারি করা হয়নি বলে জানিয়েছে আন্তর্জাতিক বার্তা সংস্থা রয়টার্স। বিডিনিউজ
প্রাথমিকভাবে ভূমিকম্পের মাত্রা ৭ দশমিক ৩ এবং এর কেন্দ্র ফুকুশিমা প্রিফেকচারের উপকূলে ভূত্বকের ৬০ কিলোমিটার গভীরে বলে জানিয়েছে জাপানের আবহওয়া সংস্থা।
স্থানীয় সময় রাত ১১টা ৮ মিনিটে উৎপত্তি হওয়া ভূমিকম্পটিতে রাজধানী টোকিওসহ অন্যান্য শহরের ভবনগুলোও কেঁপে উঠেছে।
সাগরতলে বড় ধরনের ভূমিকম্প হলেও কোনো সুনামি সতর্কতা জারি করা হয়নি বলে জানিয়েছে আবহওয়া সংস্থাটি।
বার্তা সংস্থা কিয়োদো জানিয়েছে, অন্তত দুই ডজন লোক আহত হয়েছেন।
দেশটির রাষ্ট্রায়ত্ত গণমাধ্যম এনএইচকে-তে সম্প্রচারিত এক ব্রিফিংয়ে সরকারের মুখপাত্র কাতসুনোবু কাতো জানিয়েছেন, নয় লাখ ৫০ হাজার বাড়ি বিদ্যুৎবিহীন হয়ে পড়েছিল।
ফুকুশিমা ও আশপাশের প্রিফেকচারগুলোসহ মূলত উত্তরপূর্ব জাপানেই বিদ্যুৎ বিপর্যয়ের এ ঘটনা ঘটেছে।
টোকিও ইলেকট্রিক পাওয়ার কোম্পানি হোল্ডিংস জানিয়েছে, ভূমিকম্পের কারণে তাদের ফুকুশিমা দাইচি ও দায়িনি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র বা কাহিওয়াজাকি-কারিবা পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের কার্যক্রমে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি।
এসব কেন্দ্রের আশপাশে তেজস্ক্রিয়তার মাত্রার কোনো হেরফের হয়নি বলেও জানিয়েছে তারা।
ফুকুশিমা দায়িনি ও ওনাগাওয়া পারমাণবিক স্থাপনার কার্যক্রমে কোনো বিঘ্ন ঘটেনি বলে কাতোও নিশ্চিত করেছেন।
প্রায় ১০ বছর আগে ২০১১ সালের ১১ মার্চ ভয়াবহ এক ভূমিকম্প ও পরবর্তী ব্যাপক সুনামিতে জাপানের উত্তরপূর্বাঞ্চল ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছিল।
ঐ সময় সিকি শতাব্দির মধ্যে বিশ্বের সবচেয়ে মারাত্মক পারমাণবিক বিপর্যয় ঘটেছিল। বিপর্যয়ের একটি ঘটনার কেন্দ্রস্থল ছিল দাইচি পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র।
বিশ্বের সবচেয়ে কম্পনপ্রবণ এলাকায় অবস্থিত জাপানে প্রায়ই ভূমিকম্প হয়। বিশ্বের ৬ বা ততোধিক মাত্রার ভূমিকম্পের প্রায় ২০ শতাংশ সংঘটিত হয় জাপানে।