করোনা ভাইরাস বাস্তবতায় সংক্রমণের ভয়ে অনেকেই হাতে নিতে চাইছেন না অনেক কিছুই। এরকম সামগ্রীর মধ্যে বইও রয়েছে। তাই হয়তো, মানুষকে আশ্বস্ত করতে ইউভি আলোর মাধ্যমে বই জীবাণুমুক্ত করার চেষ্টা করছে জাপানের পাঠাগার। গোটা জাপানজুড়েই পাঠাগারগুলোতে আল্ট্রাভায়োলোট (ইউভি) বা অতিবেগুনী রশ্মির যন্ত্র বসানো হচ্ছে। রয়টার্স উল্লেখ করেছে, ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ইউভি আলোতে বই জীবাণুমুক্ত ও পৃষ্ঠা থেকে ধুলো খসে পড়তে দেখছেন পাঠাগারে আগতরা।
উত্তর টোকিও’র ইতাবাশি অঞ্চলের নারিমাসু লাইব্রেরিতে এ ধরনের যন্ত্র রয়েছে ২০১৮ সাল থেকেই। কিন্তু পাঠাগারটির ব্যবস্থাপক জানিয়েছেন, এখন তিন গুণের মতো বেশি ব্যবহৃত হচ্ছে যন্ত্রটি। পাঠাগারে সামনের টেবিলে থাকা রক্ষকরাই এভাবে বই জীবাণুমুক্ত করছেন। বই দেওয়ার সময় একবার, এবং বই ফেরত নেওয়ার সময় একবার। তবে ব্যাপারটিকে এখনও বাধ্যতামূলক করা হয়নি। খবর বিডিনিউজের।
প্রতি সপ্তাহেই পাঠাগার থেকে সন্তানের জন্য শিশুদের উপযোগী বই নেন এরিকো ইসোজাকি। তিনি বলেন, আমার সন্তান নীল অতিবেগুনী রশ্মি দেখতে পছন্দ করে। আমি ঠিক নিশ্চিত না এটি কাজ করে কি না, তবে কোনো কিছু না থাকার চাইতে এটা ভালো। রয়টার্স উল্লেখ করেছে, পাঠাগারের অনেক রক্ষকই অনেক বয়োজ্যেষ্ঠ। তাদের অতিরিক্ত নিরাপত্তা দেওয়াটাও গুরুত্বপূর্ণ। এদের অনেকেই বই ফেরত নেওয়ার সময় ইউভি আলোর যন্ত্র ব্যবহার করেন। এরকমই একজন ৭৭ বছর বয়সী ইয়াসুহিতো কোবাইয়াশি। তিনি বলেছেন, এটি বই জীবাণুমুক্ত করার কারণে আমি নিশ্চিন্ত বোধ করি। তবে এটি আদৌ কার্যকর কি না সে ব্যাপারে নিশ্চিত নই। রয়টার্স বলছে, বড় মাপের মৃত্যু এবং সংক্রমণ এড়াতে পারলেও বর্তমানে সংক্রমণের তৃতীয় ঢেউ পার করছে জাপান।