মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক এবং সম্মান শ্রেণীর গণ্ডি পেরিয়ে গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সমাবর্তন পাই। কিন্তু তা থেকে বঞ্চিত জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। অথচ দেশের সকল পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা পায় সমাবর্তন। একজন শিক্ষার্থীর সমাবর্তনের কথা মনে পড়লে পরনে কালো গাউন এবং মাথায় কালো টুপি পড়ে ছবি তোলার দৃশ্য চোখের সামনে ভেসে উঠে। সকল শিক্ষার্থীদের লালিত একটা স্বপ্ন থাকে, গ্র্যাজুয়েশন শেষ করার পর সমাবর্তন পাওয়া। এ সমাবর্তন শুধু কালো গাউন, টুপি পরে ছবি তোলা নয় এর সাথে অনেক সম্মান এবং গর্ব জড়িত। কিন্তু দুঃখজনক হলেও এটাই সত্যি এ ধরনের সম্মান শুধু দেশের পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দেখা যায়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এর থেকে বঞ্চিত। এছাড়া প্রতি বছর জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সারা বাংলাদেশের বিভিন্ন কলেজ থেকে প্রায় চার লাখ শিক্ষার্থী স্নাতক সম্পন্ন করে থাকেন। স্নাতক সম্পন্ন করার পর তাদের হাতে শুধুমাত্র একটি কাগজের সার্টিফিকেট ধরিয়ে দেওয়া হয়। যদিও এর আগে প্রতিষ্ঠার আড়াই দশক পর ২০১৭ সালের ১৭ জানুয়ারি বঙ্গবন্ধুর আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম সমাবর্তন অনুষ্ঠিত হয়। এ সমাবর্তনে নানা ভোগান্তি বিরাজমান ছিল। সমাবর্তনের দিন দেওয়া হয়নি কোন সার্টিফিকেট। এরপর থেকে নিশ্চুপ হয়ে গেল বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। আজও দ্বিতীয় সমাবর্তনের দেখা পেল না জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। পরিশেষে এটাই বলব বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে শিক্ষার্থীদের সমাবর্তনের এ দাবি পূরণ করা হোক।
জেসমিন আক্তার
শিক্ষার্থী, জয়নাল হাজারী কলেজ ফেনী