আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যের জন্য ‘জাতীয় লজিস্টিক নীতির’ খসড়া অনুমোদন করেছে সরকার। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সভাপতিত্বে গতকাল সোমবার তাঁর কার্যালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে জাতীয় লজিস্টিক নীতির খসড়ায় অনুমোদন দেওয়া হয়।বৈঠক শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন সচিবালয়ে সাংবাদিকদের বলেন, লজিস্টিক ব্যবস্থাপনা নিয়ে এর আগে বাংলাদেশে কোনো নীতিমালা ছিল না। অনেক দিন থেকে এটার দাবি ছিল। আমদানি ও রপ্তানি বাণিজ্যে লজিস্টিক সাপোর্টের গুরুত্ব অপরিসীম। মোট ব্যয়ের একটা বড় অংশ এখানে আছে। খবর বিডিনিউজের।
মন্ত্রিপরিষদ সচিব বলেন, নীতিমালা অনুযায়ী নির্ধারিত সময় বা স্বল্পতম সময়ে অল্প ব্যয়ে ও স্মুথলি যাতে পণ্য সরবরাহ ব্যবস্থাটা নিশ্চিত হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকল মন্ত্রণালয়ের তরফ থেকে কার্যক্রম গ্রহণ করা হবে। কী কী কার্যক্রম গ্রহণ করলে এই সার্ভিসটা দেওয়া সম্ভব হবে সে সংক্রান্ত দিক–নির্দেশনা নীতিমালায় রয়েছে।
নীতিমালা অনুযায়ী, প্রধানমন্ত্রী নেতৃত্বে একটি কাউন্সিল গঠন করা হবে। এই কাউন্সিল সামগ্রিক দিক নির্দেশনা দেবে। এছাড়া মুখ্য সচিবের নেতৃত্বে একটি সমন্বয় কমিটি থাকবে। সচিব বলেন, রপ্তানি পণ্য উৎপাদন স্থান থেকে ক্রেতার কাছে পৌঁছানো পর্যন্ত যাত্রাটি যাতে বাধাহীন হয়, সেজন্য কী সহায়তা করা যায়, সে বিষয়ে নীতিমালায় বলা হয়েছে। আমাদের যোগাযোগের যে অবকাঠামো আছে, সেখানে সড়ক নির্ভর হয়ে গেছি।
সামনে রেল ও নৌ–পথ নির্ভরতা বাড়াতে যা যা করণীয় তা করা হবে। এছাড়া জিপিএস ট্র্যাকিং ও কানেক্টিভিটি হাব অর্থাৎ একটি নির্দিষ্ট জায়গায় একটি কানেক্টিভিটি হাব হবে, সেখানে পণ্য সরবরাহের জন্য ওয়ারহাউস ও পণ্য যাতে পচে না যায় সেই ব্যবস্থা করা হবে। এ সংক্রান্ত সব নীতিমালা পরীক্ষা করে ব্যবসাবান্ধব করতে বলা হয়েছে। কোন সেবা ব্যক্তিখাতে আসবে, কোনটা পিপিপি হবে, কোনটায় সরকার বিনিয়োগ করবে সেই তালিকাও রয়েছে। মানবসম্পদ উন্নয়ন একটি বড় খাত, আমরা দেখেছি এখানে ১০৬ ধরনের পেশার কথা বলা হয়েছে, সেখানে ৫২ ক্যাটাগরিতে প্রশিক্ষণও রয়েছে। সর্বনিম্ন কত ঘণ্টার প্রশিক্ষণ হবে তারও একটা বিধানের কথা নীতিমালায় বলা আছে।
এদিন মন্ত্রিসভা বৈঠকে ‘মেরিটাইম ট্রান্সপোর্ট’ এবং ‘মিউচুয়াল অ্যাডমিন্সিট্রিটিভ অ্যাসিসট্যান্স ইন কাস্টামস ম্যাটারস’ বিষয়ে কাতার ও বাংলাদেশের মধ্যে স্বাক্ষরের জন্য দুটি চুক্তির খসড়াতেও অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।