বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড আয়োজিত দেশের প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেট লিগ জাতীয় ক্রিকেট লিগের দ্বিতীয় স্তর থেকে প্রথম স্তরে উঠা নিশ্চিত হয়ে গেছে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দলের। লিগের শেষ রাউন্ডের ম্যাচে আরো একটি জয়ের দ্বার প্রান্তে দাড়িয়ে চট্টগ্রাম বিভাগীয় দল। জহুর আহমদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে চার দিনের ম্যাচের দ্বিতীয় দিন শেষেই জয়ের সুবাস পাচ্ছে চট্টগ্রাম। প্রথম ইনিংসে ১০০ রানে পিছিয়ে থাকা রাজশাহী বিভাগীয় দল দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নেমে ৯৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে। তাই বলা যায় জয়ের একেবারে কিনারায় চট্টগ্রাম বিভাগীয় দল। এখন বাকি চারটি উইকেট হারিয়ে আর কত রান যোগ করতে পারে রাজশাহী সেটাই দেখার। আর তাতে কত লক্ষ্য দাঁড়ায় চট্টগ্রামের সামনে সেটাও দেখার। বলা যায় আজই জয় নিশ্চিত হয়ে যাবে চট্টগ্রামের। আর তাতেই দ্বিতীয় স্তরে চ্যাম্পিয়ন হয়ে আবার প্রথম স্তরে উঠে আসবে চট্টগ্রাম।
গত শনিবার শুরু হওয়া চার দিনের ম্যাচের প্রথম দিনে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ১৮৯ রানে অল আউট হয় রাজশাহী বিভাগ। চট্টগ্রামের দুই স্পিনার নাঈম হাসান এবং হাসান মুরাদ মিলে নিয়েছিলেন ৭ উইকেট। যেখানে হ্যাটট্রিক করেছিলেন নাঈম হাসান। আর পেসার হাসান মাহমুদ নিয়েছিলেন তিন উইকেট। জবাবে ব্যাট করতে নেমে প্রথম দিন শেষে ২ উইকেটে ৭২ রান করেছিল চট্টগ্রাম। গতকাল আবার ব্যাট করতে নেমে আগের দিন ঘোষিত টেস্ট দলে জায়গা পাওয়া শাহাদাত হোসেন দিপু এবং অধিনায়ক ইরফান শুক্কুরের ব্যাটে ভর করে নিজেদের প্রথম ইনিংসে ২৯০ রান করে চট্টগ্রাম। অধিনায়ক ইরফান শুক্কুর এক রানের জন্য শতক বঞ্চিত হন। ৯৯ রানে আউট হন তিনি। শাহাদাত হোসেন দিপুও শতকের দিকে এগিয়ে গিয়েও সেটা তুলে নিতে পারেননি। তিনি ফিরেছেন ৮৭ রান করে। এ দুজন ছাড়া শামীম ২২ , সাব্বির ২০ রান করেন। রাজশাহীর পক্ষে সানজামুল নিয়েছেন ৬ উইকেট।
প্রথম ইনিংসে ১০১ রানে পিছিয়ে থাকা রাজশাহী ব্যাট করতে নামে দ্বিতীয় ইনিংসে। এই ইনিংসেও চট্টগ্রামের স্পিনার হাসান মুরাদের ঘুর্নির মুখে পড়তে হয় রাজশাহীর ব্যাটারদের। বর্তমান টেস্ট দলের অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত, সাবেক অধিনায়ক মুশফিকুর রহিম, জাতীয় দলের ওপেনার তানজিদ হাসান তামিম কেউই দাড়াতে পারেনি চট্টগ্রামের স্পিনারদের সামনে। ফলে দ্বিতীয় দিন শেষে ৯৯ রান তুলতেই ৬ উইকেট হারিয়ে ফেলেছে রাজশাহী। এখনো দুই রানে পিছিয়ে শান্ত–মুশফিকরা। তানজিদ ফিরেছেন রানের খাতা খোলার আগেই। নাজমুল হোসেন শান্ত করেন ৩৭ বলে ২০ রান। সাবেক অধিনায়ক মুশফিক করেন ১৭ বলে ১৬ রান। দলের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩১ রান করেন প্রিতম কুমার। এছাড়া ১৪ রানে অপরাজিত আছেন সানজামুল ইসলাম। চট্টগ্রাম বিভাগের পক্ষে হাসান মুরাদ নিয়েছেন ৩১ রানে ৩ উইকেট। প্রথম ইনিংসের ৪ উইকেট সহ দুই ইনিংস মিলিয়ে এই তরুন নিয়েছেন ৭ উইকেট। আগের দিন প্রথমবারের মত টেস্ট দলে ডাক পাওয়া কক্সবাজারের এই ক্রিকেটার টেস্ট দলে ডাক পাওয়াটাকে দারুণভাবে উদযাপন করলেন। এখনো রাজশাহীর ৪ উইকেট বাকি। সেখান থেকে আর কয়টি উইকেট হাসান মুরাদের পকেটে ঢুকে সেটাই এখন দেখার। একটি করে উইকেট নিয়েছেন হাসান মাহমুদ, ইফরান হোসেন এবং নাঈম হাসান। আজ ম্যাচের তৃতীয় দিন। আজ চট্টগ্রামের সামনে কতটা লক্ষ্য নির্ধারন করতে পারে রাজশাহী সেটাই এখন দেখার। তবে চট্টগ্রাম নিশ্চয়ই চাইবে যত দ্রুত সম্ভব রাজশাহীকে অল আউট করে তাড়াতাড়ি ম্যাচটি শেষ করে দিতে।