শিশুরা অত্যন্ত কোমল হৃদেয়ের হয়। শিশুর বন্ধু সকলে। তাদের গড়ে তুলতে হবে জাতির পিতার আদর্শে। তারাই আগামী প্রজন্ম। এ দেশের ভাবমূর্তি আগামীতে শিশুরাই উজ্জ্বল করবে। ১৭ মার্চ ১৯২০ খ্রিস্টাব্দে এ বাংলায় যে শিশুটি জন্মেছিল আজ সেই শিশুর জন্ম দিনকে কেন্দ্র করে জাতীয় শিশু দিবস। যে শিশু জন্মেছিল বলেই জন্মেছিল একটি দেশ। একটি স্বাধীন সার্বভৌম মানচিত্রের স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। আজ শুভ জন্মদিনে এ মহান বাঙালি জাতির জনকের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করছি। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সোনার বাংলাদেশ তার জন্মের সুবর্ণরেখা অতিক্রম করেছে; চোখে বাংলাদেশের সহস্রাব্দের স্বপ্ন। হাজার বছরের বাঙালি জাতীয়বাদের চেতনায় প্রতিষ্ঠিত প্রিয় স্বদেশ নানা ঘোর অন্ধকার, ঘাত প্রতিঘাতের পরও পঞ্চাশ বছরের এ রাষ্ট্র আজ বিশ্বে রোল মডেল! প্রতিটি খাতেই দেশের অগ্রগতি উল্লেখ করার মতো। গত পাঁচ দশকের এ বাংলাদেশের জনগণের জীবনমানে প্রযুক্তির জাগরণ হয়েছে। মানুষের রুচিবোধ, শিল্পবোধ, মানবিকতা, নাগরিক অধিকার, দারিদ্র বিমোচন, অর্টিজম শিশুদের কল্যাণ, বয়স্ক ভাতা ও মাতৃত্বকালীন ভাতা, মুক্তিযোদ্ধাদের বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা, গৃহহীনদের গৃহ নির্মাণ, মানবিক সংস্কৃতিতে মানুষের রূপান্তরের ৫১ বছর পেরোল।
বাঙালির জাতীয় চেতনার ভিত্তি তৈরী হয়েছে কয়েক হাজার বছরে আর তার পথক্রমায় বাংলাদেশ তৈরী হয়েছে শত শত বছরের সংগ্রামের আত্মদানে। শত শত স্বপ্নবান মানুষের অধিকার আছে। যেখানে অধিকারের প্রসঙ্গ আসে তখন গণমানুষের কল্যাণ চিন্তা জাগ্রত হয়। বাংলার শিল্প, সাহিত্য, চিত্রকলা সংগীত, কাব্য রচনা, ধ্যানমগ্নতা, নতুন আবিষ্কারের আনন্দ এ সবই বাঙালির চিত্রায়ন ও শিল্প অর্থাৎ বঙ্গবন্ধুর রাষ্ট্র চেতনা মানে রাজনীতিবিদ, লেখক, কবি, শিল্পী, কৃষক, স্থপতি এ রকম বহু চিন্তার, বহু কর্মের মানুষের সম্মিলিত যোগফল স্বপ্নের বাংলাদেশ।











