জলদস্যু সম্রাট বাইশ্যা এখন পাহারাদার

বাঁশখালী প্রতিনিধি | শুক্রবার , ২৯ এপ্রিল, ২০২২ at ৭:৪০ পূর্বাহ্ণ

আবদুল হাকিম বাইশ্যা, এখন সময় বঙ্গোপসাগরে যার কথা ছাড়া চলা ফেরাও করা অনেক কষ্টসাধ্য ছিল। যাকে সাগরের ও উপকূলের জলদস্যু সম্রাট হিসাবে আখ্যায়িত করা হত। একসময়ের সেই প্রভাবশালী বাইশ্যা এখন ছনুয়া উপকূলে বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজে ১০ হাজার টাকা বেতনে পাহারাদারের কাজ করছেন। বাঁশখালীর ছনুয়া ইউনিয়নের ৮নং খুদুকখালী গ্রামের মোহাম্মদ আলীর পুত্র আবদুল হাকিম বাইশ্যা সংসার জীবনে দুই স্ত্রীসহ ৪ ছেলে ৪ মেয়ের জনক। ২০২০ সালের ১২ নভেম্বর বাঁশখালী আদর্শ উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বীর মুক্তিযোদ্ধা আসাদুজ্জামান খাঁন কামাল এমপি, বাঁশখালীর সংসদ সদস্য মোস্তাফিজুর রহমান চৌধুরী, বাংলাদেশ পুলিশের আইজিপি ড. বেনজির আহমেদ, র‌্যাব ফোর্সেস অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) কর্নেল তোফায়েল মোস্তফা সরোয়ার সহ ঊর্ধতন কর্মকর্তাদের হাতে ১১টি জলদস্যু বাহিনীর ৩৪ জন জলদস্যু নিয়ে আত্মসমর্পন করেন আবদুল হাকিম বাইশ্যা। আত্মসমর্পণের পর দীর্ঘ ১১ মাস ১২ দিন জেলে কাটিয়ে আসার পর স্বাভাবিক জীবনযাপন ও সংসার চালানোর তাগিদে বিভিন্ন স্থানে চাকুরি খুঁজছিলেন।

পরে কয়মাস আগে বাঁশখালীর ছনুয়া উপকূলে পরিচালিত বেড়িবাঁধ সংস্কার কাজে পাহারাদার হিসাবে চাকুরি শুরু করেন। এ ছাড়া নিজের ছোট টং জাল নিয়ে মাছ ধরেন বলে জানান। গতকাল বাঁশখালী উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা সাইদুজ্জামান চৌধুরী, সহকারী কমিশনার (ভূমি) উমর ফারুক সহ দায়িত্বশীল কর্মকর্তারা আত্মসমর্পণকারী ৩৪ জন জলদস্যুকে ঈদের উপহার সামগ্রী প্রদান করেন। এ সময় বাইশ্যা বাহিনীর প্রধান আবদুল হাকিম বাইশ্যা জানান, এখন পর্যন্ত প্রায় ১০টি মামলা চলমান থাকায় প্রতিনিয়ত তাকে আদালতে হাজিরা দিতে হয়। তিনি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী দ্রুত মামলাগুলো নিষ্পত্তির আহ্বান জানান। তিনি আরো জানান, অনেকগুলো মামলায় তাকে জড়ানো হয়েছে; যেগুলোতে তিনি জড়িত ছিলেন না।

পূর্ববর্তী নিবন্ধএক ক্লিকেই মিনিমাইজ হবে সব উইন্ডো
পরবর্তী নিবন্ধযুদ্ধের বাজারে চড়ছে ডলার, চড়তে পারে আরও