বঙ্গোপসাগরে ৬টি মাছ ধরার ট্রলারে জলদস্যুদের হাতে একজন মাঝি গুলিবিদ্ধসহ ৩৫ জন জেলে অহতের ঘটনা ঘটেছে।
জলদস্যুর কবলে পড়া একটি ট্রলার বুধবার (৯ অক্টোবর) সকালে আনোয়ারা উপকূলে ফিরে আসলে ঘটনাটি প্রকাশ হয়। মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) দুপুরে কক্সবাজার থেকে ১৬০ কিলোমিটার দূরে গভীর সমুদ্রে সোনার চর এলাকায় এ ঘটনা ঘটেছে বলে জেলেরা জানায়।
আহত মাঝি মাল্লাদের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত শনিবার আনোয়ারা উপজেলার রায়পুর ইউনিয়নের পূর্ব গহিরা শঙ্খ নদীর ফকির হাট ঘাট থেকে ২০ থেকে ২৫ টি মাছ ধরার ট্রলার সাগরে যায়।
প্রতিটি ট্রলারে ১২ জন করে মাঝি মাল্লা ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে ৩ টি ট্রলারে করে ২০ থেকে ২৫ জন জলদস্যু অস্ত্র-সস্ত্র নিয়ে তাদের ৬ টি ট্রলারকে ঘিরে ফেলে। এসময় জলদস্যুরা গুলি করতে করতে তাদের ট্রলারে উঠেপড়ে।
একপর্যায়ে জলদস্যুরা মাঝি ও জেলেদের মারধর করে মালামাল, মাছ, তেল, টাকা পয়সা, মোবাইল সব কিছু নিয়ে নেয়।
এ ঘটনায় আহত হয় আল্লাহর দান ট্রলারের মাঝি আবদুস শুক্কুর (৩৫), জেলে মহিউদ্দিন(৩০), আলমগীর (৩২), ফোরকান (৩৪), আলমগীর (৪২), আলমান (২২), মিনহাজ (২০), ইউনুস (৩০), আহমদ ছাফা (৩৫), ইদ্রীস (৩০) ও আবদুস সবুর (৪০)।
অহত অন্যান্যরা এখনো উপকূলে ফিরে আসেনি। গুলিবিদ্ধ আবদুস শুক্কুর মাঝিকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত সবাই স্থানীয় উপজেলার রায়পুর ইউনয়িনের বাসিন্ধা। ক্ষতিগ্রস্থ ছয়টি ট্রলারের মালিকরা হল মো. ইয়াছিন, আবদুস সবুর, মো. ইদ্রীস, গিয়াস উদ্দিন, মো. আলী ও সাদ্দাম হোসেন।
ক্ষতিগ্রস্ত ট্রলার আল্লাহর দানের মালিক আবদুস সবুর বলেন, আমার ট্রলারে ১২ জন মাঝি মাল্লা ছিল। মঙ্গলবার দুপুরে আমার ট্রলার ডাকাতের কবলে পড়ে মারধরের শিকার হয়। এতে ট্রলারের সবাই আহত হয়। মাঝি আবদুস শুক্কুর গুলিবিদ্ধ হয়।
বুধবারে ভোরে ট্রলারটি উপকূলে ফিরে আসলে আমরা আহতদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। মাঝির গায়ে দুই তিনটা গুলি লেগেছে। ডাকাতেরা ট্রলারের মাছ,২০০ লিটার তেলসহ ১০ লাখ টাকার মালামাল নিয়ে গেছে।
তিনি আরও জানান, ক্ষতিগ্রস্ত বাকী ট্রলারের ইঞ্জিন সমস্যার করণে তারা এখনো আসতে পারেনি, আমরা এখান থেকে বিকল্প কয়েকটি ট্রলার পাঠিয়েছি।
আনোয়ারা বারআউলিয়া নৌ-পুলিশ ফাঁড়ির ইনর্চাজ টিটু দত্ত জানান, ডাকাতের ঘটনাটি গভীর সমুদ্রে ঘটেছে, তাই আমরা নৌ-বাহিনী ও কোস্টগার্ডকে জানাব। তবে এখনো কেউ এঘটনা নিয়ে অভিযোগ করেনি।