জরুরি ছাড়া সাধারণ রোগী ভর্তি ও অস্ত্রোপচার নয়

চমেক হাসপাতাল ।। করোনা পরিস্থিতিতে চাপ সামলাতে সিদ্ধান্ত

আজাদী প্রতিবেদন | সোমবার , ১২ জুলাই, ২০২১ at ৬:০৩ পূর্বাহ্ণ

করোনার ঊর্ধ্বগামী সংক্রমণের বর্তমান পরিস্থিতিতে সাধারণ রোগীদের অতিরিক্ত চাপ সামলাতে কয়েক দফা সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর আওতায় সাধারণ রোগীদের মাঝে অতি জরুরি ছাড়া অন্য রোগীদের ভর্তি সীমিত রাখা এবং জরুরি অস্ত্রোপচার ছাড়া রুটিন অস্ত্রোপচার আপাতত স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
১০ জুলাই চমেক হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ূন কবীর স্বাক্ষরিত এক অফিস আদেশে এ সিদ্ধান্তের কথা জানানো হয়েছে। অফিস আদেশে বলা হয়, জরুরি অস্ত্রোপচার ছাড়া রুটিন অস্ত্রোপচার আপাতত স্থগিত থাকবে। জরুরি রোগী ভর্তি ছাড়া রুটিন রোগী ভর্তি আপাতত বন্ধ থাকবে। যারা জরুরি রোগের বাইরে সাধারণ বা দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন, তাদের ব্যবস্থাপত্র দিয়ে বাড়িতে চিকিৎসা গ্রহণের জন্য ছাড়পত্র দেওয়া হবে। সব স্বাস্থ্য কর্মকর্তা, নার্সিং কর্মকর্তা-কর্মচারী ও অন্যান্য স্বাস্থ্যকর্মীদের দায়িত্ব পালনের সময় অত্যাবশ্যকভাবে মাস্ক পরিধান করতে হবে। এ সংক্রান্ত সিদ্ধান্ত ও আদেশের সত্যতা নিশ্চিত করে চমেক হাসপাতাল পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল এস এম হুমায়ুন কবীর আজাদীকে বলেন, ঊর্ধ্বগামী সংক্রমণে হাসপাতালের করোনা ইউনিটে দিন দিন রোগীর সংখ্যা বাড়ছে। কিছু দিন আগেও যেখানে একশর কম রোগী ছিল, এখন সেখানে রোগীর সংখ্যা প্রায় তিনশজন। রোগীর সংখ্যা আরো বাড়তে পারে বলে আমরা আশঙ্কা করছি। দিন দিন রোগী বাড়লেও হাসপাতালের বিদ্যমান ডাক্তার-নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মী দিয়ে এসব রোগীর সেবা দিতে হচ্ছে। অর্থাৎ এই সময়ে অতিরিক্ত জনবল কিন্তু আমরা পাইনি। হাসপাতালের অন্যান্য রোগীর সেবাও চালু রাখতে হচ্ছে। করোনা রোগীর সংখ্যা যেহেতু দিন দিন বাড়ছে, সাধারণ রোগীদের মাঝে অতি জরুরি ছাড়া অন্যান্য রোগী ভর্তি সীমিত করতে আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি। একইভাবে জরুরি অস্ত্রোপচার ছাড়া অন্যান্য রুটিন অস্ত্রোপচার আপাতত স্থগিত থাকবে।
তিনি বলেন, অন্য সাধারণ রোগীদের এই সময়ে হাসপাতালে অবস্থান করা অনেকটা ঝুঁকিপূর্ণ। খুব বেশি জরুরি না হলে এবং যেসব রোগীকে বাসায় রেখে চিকিৎসা দেওয়া যাবে, তাদের রিলিজ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কারণ, সাধারণ ওয়ার্ডগুলোতে রোগীর চাপ কিছুটা কমাতে পারলে বিদ্যমান জনবল দিয়ে করোনা ইউনিটের চিকিৎসা সেবা আরো ভালোভাবে দেওয়া যাবে। মূলত এ কারণেই এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত, চমেক হাসপাতালের ৩০০ শয্যার করোনা ওয়ার্ডে গতকাল সন্ধ্যা পর্যন্ত ভর্তি রোগীর সংখ্যা ২৮০ ছাড়িয়েছে। আর দশটি আইসিইউ-এইচডিইউর একটি শয্যাও খালি নেই। বিশেষ করে গত কয়েক দিনে চট্টগ্রামে করোনা রোগীর সংখ্যা হু হু করে বেড়ে গেছে। এই ক’দিনে রোগীর চাপে চট্টগ্রামের সরকারি-বেসরকারি হাসপাতালগুলোকে হিমশিম খেতে হচ্ছে।

পূর্ববর্তী নিবন্ধবাকলিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে হামলা, চার সদস্য আহত
পরবর্তী নিবন্ধকাল থেকে আবার গণ টিকাদান