জয় হোক সাহিত্য ও সংস্কৃতির

গৌতম কানুনগো | শনিবার , ২৫ নভেম্বর, ২০২৩ at ৮:৫৫ পূর্বাহ্ণ

ইতিহাস ঐতিহ্য সংগ্রহ সংরক্ষণসহ নানা সৃজনশীল কাজে পৃষ্ঠপোষকতার মাধ্যমে চট্টগ্রাম একাডেমি লেখক সাংবাদিক ও আগামী প্রজন্মকে সচেতন ও উৎসাহিত করে চলেছে। সৃজনশীলতা যতই বাড়বে ততই বাংলার সাহিত্য ইতিহাস ও ঐতিহ্য সমৃদ্ধ হবে। চট্টগ্রাম একাডেমি গুণীজনদের সম্মাননা প্রদান করে চলেছে; তারই ধারাবাহিকতায় এ বছর প্রবন্ধ এবং গবেষণায় বিশেষ অবদানের জন্য চট্টগ্রাম একাডেমি প্রদত্ত শিল্পশৈলী পুরস্কার প্রদান করা হয় বীর মুক্তিযোদ্ধা ও গবেষক ডা. মাহফুজুর রহমানকে। গত ১৮ নভেম্বর ফয়েজ নুরনাহার মিলনায়তনে চট্টগ্রাম একাডেমির মহাপরিচালক প্রাবন্ধিক আমিনুর রশীদ কাদেরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য দেন বাংলা একাডেমি পুরস্কার প্রাপ্ত কবি ও শিশুসাহিত্যিক রাশেদ রউফ। কথামালায় অংশগ্রহণ করেন শিক্ষাবিদ ও সাহিত্যিক ড. আনোয়ারা আলম, বীর মুক্তিযোদ্ধা কবি সাথী দাশ, কবি ও সাংবাদিক ওমর কায়সার, বাংলা একাডেমি পুরস্কারপ্রাপ্ত মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক গবেষক মুহাম্মদ শামসুল হক, কবি ও প্রাবন্ধিক অভীক ওসমান, কথাসাহিত্যিক দীপক বড়ুয়া, সৃজনশীল প্রকাশক পরিষদের সভাপতি শাহ আলম নিপু, শিল্পশৈলী সম্পাদক প্রাবন্ধিক নেছার আহমদ, লেখক প্রাবন্ধিক খনরঞ্জন রায়। সংবর্ধিত অতিথিকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান চট্টগ্রাম একাডেমির পরিচালক অনুবাদক ফারজানা রহমান শিমু এবং কবি কোহিনুর শাকি। এরপর নেছার আহমদ সম্পাদিত ‘শিল্পশৈলী’র মোড়ক উন্মোচন করা হয়। পুরস্কার প্রাপ্ত গবেষককে সম্মাননা স্মারক, সনদপত্র ও চেক প্রদান করেন মঞ্চে উপবিষ্ট সভাপতিসহ অন্যান্য অতিথিরা। মুহুর্মুহু করতালির মাধ্যমে উপস্থিত দর্শক শ্রোতারা তাঁকে অভিনন্দন জানান। মিলনায়তনে ছিল উপচেপড়া। অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে ডা. মাহফুজুর রহমান বলেন, সঠিক ইতিহাস না জেনে ইতিহাস লেখা যায় না। মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় তরুণ প্রজন্মকে উজীবিত করতে হবে। সভাপতির বক্তব্যে মহাপরিচালক আমিনুর রশীদ কাদেরী বলেন, একজন বীর মুক্তিযোদ্ধাকে সম্মান জানাতে পেরে চট্টগ্রাম একাডেমি আনন্দিত এবং গর্বিত। তিনি তাঁর সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘায়ু কামনা করেন। পুরো অনুষ্ঠান সঞ্চালনায় ছিলেন বিশিষ্ট বাচিকশিল্পী আয়েশা হক শিমু। জয় হোক সাহিত্য ও সংস্কৃতির।

পূর্ববর্তী নিবন্ধআমরা করি প্রবাসে বাস
পরবর্তী নিবন্ধআমাদের চুনতি