দক্ষিণ আফ্রিকার রেকর্ড রান সংগ্রহে চাপা পড়লেও তা থেকে উঠে দাঁড়ানোর চেষ্টা করেছিল শ্রীলংকা। তাদের লক্ষ্য ছিল ৪২৯ রানের। তবে এই বিশাল চ্যালেঞ্জের সামনে একেবারে ভেঙে পড়েনি লংকানরা। বিশ্বকাপের রেকর্ড সংগ্রহকে টপকে যেতে না পারলেও তারা থেমেছে ৩২৬ রানে। শ্রীলংকাকে ১০২ রানে হারিয়ে বিশ্বকাপে দাপুটে শুরু হয়েছে দক্ষিণ আফ্রিকার।
ইনিংসের দ্বিতীয় ওভারে মাত্র ১ রানে ওপেনার পাথুম নিসাঙ্কাকে হারায় শ্রীলংকা। কুশল পেরেরা একদিকে নিষ্ক্রিয় থাকলেও কুশল মেন্ডিস ঝড় তোলেন। তাতে স্কোরবোর্ডে আশা জাগানিয়া পুঁজি জমা হতে থাকে। অষ্টম ওভারে ৬৬ রানের এই জুটি ভেঙে যায় পেরেরার (৭) বিদায়ে। মেন্ডিস ৪২ বলে চারটি চার ও আটটি ছয়ে ৭৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলে থামতেই শ্রীলংকা লাইনচ্যুত হয়। পরবর্তীতে চারিথ আসালাঙ্কা ও অধিনায়ক দাসুন শানাকা ফিফটি করে শ্রীলংকাকে লড়াইয়ে রাখেন। দুজনে মিলে ৮২ রান যোগ করেন ষষ্ঠ উইকেটে। আসালাঙ্কা ৬৫ বলে ৮ চার ও ৪ ছয়ে ৭৯ রান করে থামেন। শ্রীলংকাকে লড়াইয়ে রাখতে সামনে থেকে হাল ধরেন শানাকা। কাসুন রাজিথার সঙ্গে অষ্টম উইকেটে ৫৮ রান যোগ করেন তিনি। ৬২ বলে ৬৮ রানে বিদায় নেন শানাকা। রাজিথার ৩৩ রানে ভর করে শ্রীলংকা তিনশ পার করে। তার কিছুক্ষণ পর মাথিশা পাথিরানাকে বোল্ড করে কাগিসো রাবাদা প্রেটিয়াদের জয় নিশ্চিত করেন। ৪৪.৫ ওভারে ৩২৬ রানে অলআউট হয় শ্রীলংকা। গেরাল্ড কোয়েটজি সর্বোচ্চ তিন উইকেট নেন। দুটি করে উইকেট শিকার করেন মার্কো জানসেন, রাবাদা ও কেশভ মহারাজ।
এর আগে বিশ্বকাপে নিজেদের শুরুটা দক্ষিণ আফ্রিকা এমনভাবে করবে সেটা হয়তো কেউ কল্পনাও করতে পারেনি। শ্রীলংকার বোলিং লাইনআপের ওপর তান্ডব চালিয়েছে স্রেফ। তিন সেঞ্চুরিতে বিশ্বকাপের ইতিহাসে সর্বোচ্চ দলীয় সংগ্রহ করে দক্ষিণ আফ্রিকা। এইডেন মারক্রামের দ্রুততম বিশ্বকাপ সেঞ্চুরির সঙ্গে কুইন্টন ডি কক ও রাসি ফন ডার ডুসেনও তিন অঙ্কের ঘরে পৌঁছান। তাতে ৫ উইকেটে ৪২৮ রান করে প্রোটিয়ারা। ডি কক ১০০ রান করেন। ইনিংস সেরা ১০৮ রান আসে ফন ডার ডুসেনের ব্যাটে। ৫৪ বলে ১০৬ রানের বিস্ফোরক ইনিংস খেলেন মারক্রাম।