কাজল নয়, চোখই বলছে কথা!
চোখের ভেতর থেকে
বাইশ মহল্লার পথ পাড়ি দিয়ে
প্রেম আসো রাজপথ আর সংগ্রামে
নেতাদের প্রতারণা এড়িয়ে!
হৃদয়তান্ত্রিক জনতার
গণতন্ত্রের লালজবা চুলে গেঁথে নাও!
শিশুহত্যার প্রতিশোধ নিতে
মোড়ে মোড়ে গড়ো দুরন্ত ভাস্কর্য
গণচিত্রকলার মতো জনতার চোখে
আঁকো সর্বপ্রাণমুখী মাটি ও আকাশ;
নিয়ে আসো প্রশান্তিবায়ু
বিশ্বকর্মার বিক্ষিপ্ত মনে!
পাড়া–মহল্লা–বিদ্যালয়–কলেজ–ভার্সিটিতে
অভিশাপ মুছে দিয়ে সরস্বতীর হাত খুলে দাও
ফিরিয়ে দাও বীণা, অর্ফিউসের সুর!
থেমিসের হাতের দাঁড়িপাল্লা ফিরিয়ে দাও
চোখ আবৃত করো তার
কবিতার মতো উজ্জ্বল পতাকায়।
সুলতানের চিত্রকলার মতো সুপুষ্ট জনতার দেশে
লালনের ধর্ম জানুক
বেহাত সংগ্রামের জনযোদ্ধার রাইফেল
মিছিল হয়ে ফিরেছে আবার।
সংগ্রামের পায়ে চুমু খেয়ে লেখো অভয়ের ইশতেহার
মায়ের বুকের মতো নিরাপদ প্রিয়তর চোখের ইশারা!
গলে পড়ো জোছনার গায়
চোখসমগ্র পাঠ করে হেঁটে যাও নির্জলা কবিতার ঘরে
পান করো রোদ, বৃক্ষের হাসি, প্রণয়ের সুরা
হেঁটে যাও মাতালের বৈঠকী খিস্তি–খেউড়
এড়িয়ে কেবল দুধের শিশুর মিষ্টিঘ্রাণ
হৃদয়ের গভীর অন্তরীক্ষে। বলো ফুলের নামে
দোকানীর ক্ষুধাতুর তুকতাক
মিটিয়ে দেবো? নর–নারী মিথুনের দেশ
অগস্ত্যের মতো যাবে কি কোথাও?
পান করো ঈর্ষার বিষ। নীলাম্বরী দীর্ঘতনু
আধুলির ধাতব গরিমা গলে পড়ো জোছনার গায়