জন্ম নিবন্ধন ও জাতীয় পরিচয়পত্র মানুষের জীবনের অত্যন্ত প্রয়োজনীয় দুটি জিনিস। যা নাগরিকের রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি তথা পরিচয় বহন করে। জাতীয় পরিচয়পত্র আঠারোর্ধ্ব বয়সীরা ভোটার হওয়ার মাধ্যমে পেলেও জন্ম নিবন্ধন জন্মের পর থেকেই দেয়া হয়। বিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া থেকে শুরু করে জীবনের শেষ অবধি জন্ম নিবন্ধন নানা কাজে ব্যবহৃত ও প্রয়োজন হয়। অনেক সময় বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজও বাঁধার সম্মুখীন হয় জন্ম নিবন্ধন সংক্রান্ত নানা কারণে। এক কথায় বলতে গেলে জন্ম নিবন্ধন আধুনিক জীবন পরিচালনায় অপরিহার্য বস্তু। তবে দুঃখজনক বিষয় হচ্ছে, জন্ম নিবন্ধনকে কেন্দ্র করে হয়রানি ও বিড়ম্বনা। ২০১৭ সালের ১৮ ডিসেম্বর জারি হওয়া সর্বশেষ প্রজ্ঞাপনে দেখা যায়, নতুন জন্ম নিবন্ধন আবেদন ফি ৫০ টাকা ও জন্ম তারিখ সংশোধন আবেদন ফি ১০০ টাকা। কিন্তু বিভিন্ন এলাকায় দেখা যায় এই ৫০, ১০০ টাকার জায়গায় সাধারণ মানুষকে জিম্মি করে ৫০০, ৬০০ থেকে ১০০০ টাকা পর্যন্ত হাতিয়ে নেয়া হয়। যা সরকারি নির্দেশনা ও বিধিবিধানকে বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শনের শামিল। তাছাড়া এতে সাধারণ মানুষের মাঝে সরকারের ভাবমূর্তিও নষ্ট হয়। সম্প্রতি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জাতীয় সংসদে ঘোষণা দিয়েছেন, জন্ম নিবন্ধন করতে সরকার নির্ধারিত ফি থেকে বাড়তি টাকা দাবির তথ্য পেলে চেয়ারম্যান, সচিব, মেম্বার, গ্রাম পুলিশ কারো চাকরি থাকবে না। মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর এই ঘোষণা যেন সত্য হয়। সরকারের দায়িত্বশীল ব্যক্তিরা যেন এই জনবান্ধব ঘোষণা বাস্তবায়ন করেন। লেখক: সাহিত্যকর্মী